ইংল্যান্ড নয়, বাংলাদেশই এগিয়ে

ঢাকা: ক্রিকেটের আতুর ঘর বলা হয় ইংল্যান্ডকে। এটা যেমন ধ্রুব সত্য। একই সঙ্গে এটাও সত্য এক ওয়ার্ল্ড টি-২০ ছাড়া আইসিসির বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইংলিশরা। ক্রিকেট বিধাতা কেন ইংল্যান্ডের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করে সেটা বড় একটা প্রশ্ন !

hi-res-110044587-captain-shakib-al-hasan-of-bangladesh-and-team-mate_crop_exact

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ সাফল্য তিনবার রানার্সআপ হওয়া। ১৯৯২ সালে সর্বশেষ দলটি ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ইমরান খানের পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ বিসর্জন দিতে হয় ইংলিশদের। এরপর ১৯৯৬ বিশ্বকাপে তারা সেমিফাইনাল খেলে।

এর পরের পাঁচটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। এই বিশ্বকাপগুলোতে শীর্ষ আট দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ড জিতেছে মাত্র পাঁচটিতে। এই পরিসংখ্যান নিশ্চয় জানা আছে বাংলাদেশের। শুধু কি তাই, সর্বশেষ ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ তিনবারের দেখায় এগিয়ে বাংলাদেশই। দু’বার বাংলাদেশ,একবার জিতেছে ইংল্যান্ড। এই দু’দল গত বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেখানে ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল্লাহ, শফিউল ইসলামের কল্যাণে বাংলাদেশ জিতেছিল ২ উইকেটে। অবশ্য এক দিক দিয়ে বেশ পেছনে বাংলাদেশ। আর সেটা হলো এই দলের আটজনেরই যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা নেই।

ক্রিকেটকে বলা হয়, মেন্টাল গেম। সেদিক থেকে আবার এগিয়ে বাংলাদেশ। কারণ চার ম্যাচ খেলে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল আছে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে। পক্ষান্তরে চার ম্যাচে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট দুই। তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে ইংল্যান্ডকে জিততেই হবে। হারলেই বিদায়। আর বাংলাদেশ হেরে গেলেও সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিততেই হবে। সেটাও যদি না হয়, তবে প্রার্থনা করতে হবে যেন আফগানিস্তান ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়।

Related posts

Leave a Comment