অশরীরী !!!

আজও অনেক রাতে ঘুম ভেঙে গেল মুর্তজার। পাশের ঘরে কারা কথা বলছে। পুরুষ কন্ঠও রয়েছে । মনের ভুল? গতকালও অনেক রাতে ঘুম ভাঙার পর এমনই পুরুষকন্ঠের আওয়াজ শুনেছিল মুর্তজা। বিছানা ছেড়ে উঠে পাশের ঘরে আলো জ্বালিয়ে কাউকে দেখতে পায়নি। বিছানায় মেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল রাশেদা । তাহলে কে কথা বলল ? পুরুষ কন্ঠে? আমার মনের ভুল? খানিকটা বিভ্রান্ত বোধ করেছিল মুর্তজা । …এই মুহূর্তে পাশের ঘরে এসে আলো জ্বালায় মুর্তজা । গীতি আর মুন্নীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে রাশেদা। ঘরে আর কেউ নেই। অথচ স্পষ্ট পুরুষের কন্ঠ শুনতে পেলাম। মনে…

শেষ রাতের ট্রেন !!

“এই চা গরম -চা গরম ” – চিকন একটা গলায় চিৎকার করে চলেছে মিশকালো একটা লোক- হাতে এক বিশাল চায়ের ফ্লাক্স- চিল্লাতে চিল্লাতে রাজু সাহেবের সামনে মিনিট তিনেক ধরে ঘুর ঘুর করছে। যত বার রাজু সাহেবের সামনে যাচ্ছে ততবার রাজু সাহেব বিরক্ত হচ্ছেন- কিন্তু চা ওয়ালার কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। লাকসামের রেলস্টেশনের ওয়েটিং এ রাজু সাহেব আজ রাত্রের গুটি কয়েক যাত্রির মাঝে একজন। স্যুট বুট পড়া বলে রাজু সাহেবের দিকে বার বার এগিয়ে আসছে একের পর এক হকার। তিনি সবাই কে ফিরিয়ে দিয়েছেন। উনার মা উনাকে ভরপেট খাইয়ে দিয়েছে। আর পই…

।। লাল বৃত্তে বন্দি ।।

বাসায় ঢুকেই নাদিয়ার মা জুলেখা বেগম ভুরু কুঁচকে বললেন, “এ কেমন বাসা ঠিক করেছ? বড্ড ছিমছাম আর নির্জন। তার উপর শহরের এক মাথায়।” নাদিয়ার বাবা ফারুক সাহেব তার স্ত্রীর কথা শুনে হাসলেন। বললেন,“ জানো কত কষ্ট করে এই বাসাটা জোগাড় করেছি। শহরের এক পাশে হলেও বাসাটার অনেক সুবিধা। : কি সুবিধা? : প্রধান সুবিধা হচ্ছে বাড়িওয়ালা এখানে থাকেন না। পুরো বাড়িটায় নিজেদের মতো করে থাকা যাবে। আর সামনে কত খোলা জায়গা। মনে হয় স্বর্গ।” : কিন্তু যদি ডাকাত আসে। আশেপাশে তো তেমন কোন ঘরবাড়ি নেই। আমদের মেরে ফেললেও তো কেউ…

শুরুর কথা : কিছু পাতা অধ্যয় ১

শুরুর কথা : কিছু পাতা অধ্যয় ১   আমার নাম মেহেদী আব্দুল্লাহ, নামটা খুব সুন্দর এবং আমি পছন্দও করি। নামটা আমার বাবার দেওয়া। কিন্তু তারপরও আমি এই নাম পরিবর্তন করে ফেলেছি কিন্তু কেন তাই না, হ্যাঁ এ নামটা খুব বেশী ঈড়সসড়হ আর আমি সব সময় ভিন্ন কিছু ভালবাসি তাই, কিন্তু পৃথিবীতে এতো মানুষ যে, সব সুন্দর নামগুলোই আজ ঈড়সসড়হ হয়ে গেছে। গভীর চিন্তায় পড়ে গেলাম কি নাম দেওয়া যায়, নামটা যতটা না সুন্দর হবে তার চেয়ে বেশী টহপড়সসড়হ আর অর্থহীন হতে হবে। শেষ-মেষ মাথায় একটা অদ্ভুত নাম এসে পড়েছে যে…

বন্ধু দিবস ও তারপর : কিছু পাতা অধ্যয় ২

বন্ধু দিবস ও তারপর: আজ ঋৎরবহফংযরঢ় ফধু. তাই কলেজের প্রায় সবাই ফ্রেন্ডশীপ ব্যান্ড পরেছে কিন্তু আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম, আমাকে তৈয়্যব একটা ব্যান্ড পরিয়ে দিলো, আরও একটা দিলো কাউকে দেওয়ার জন্য। আমি ভাবছি কাকে রেখে কাকে দেই, থাক পকেটেই থাক। আমি বসে থাকলাম সবাই খুব মজা করছে, বিশেষ করে মেয়েরা তো পারলে চার হাত পায়েই ব্যান্ড পরে। মনে পরে গেল একটা বছর আগের কথা, আমি, ফালা, শান্ত এবং আদনান সামি সবাই মিলে ফ্যান্টাসি কিংডমে কি মজাই না করছিলাম। তবে বাসায় ফিরতে রাত ৯টা, সেদিন তো ক্লাস, কোচিং সবই ফাকি দিয়েছিলাম…

প্রিয়া আমার প্রিয়া ; কিছু পাতা অধ্যয় ৫

প্রিয়া আমার প্রিয়া: আমি একটা বুদ্ধি বের করলাম। যেমন বুদ্ধি করলাম তেমন কাজ শুরু করে দিলাম। আমিও একটা রিকশা ডাকতে লাগলাম, : এই রিকশা যাবে? এটুকু বলতেই পিছে ফিরে তাকাল ওরা। এবার ইয়াসমিন জিজ্ঞাসা করলো কি মেনাফা চলে যাচ্ছ নাকি? : হ্যাঁ। কেন? কোন দরকার আছে? : না, মানে তুমি …. : আচ্ছা যাই। কালকে দেখা হবে। বাই। আমি রিকশায় উঠলাম রিকশা নিয়ে ওদের সামনে দিয়ে ক্রিং ক্রিং করতে করতে চলে এলাম। মুহুর্তের মধ্যে প্রিয়ার মুখের হাসি যেন শেষ, হা করে তাকিয়ে আছে। আমি রিকশা নিয়ে কিছু দূর চলে এলাম।…

এ কি হল? ; কিছু পাতা অধ্যয় ৪

এ কি হল? এখন রাত ২টা ১০ মিনিট। কিন্তু, আমার চোখে এক ফোটাও ঘুম নেই। ভাবছি, প্রিয়া কি আমার সাথে আর কথা বলবে না। ওকি আমার শুধুই বন্ধু? তার চেয়েও বড় কথা আমি ওকে ভালবাসি নাকি পছন্দ করি? ভালবাসলে কেন ফিরিয়ে দিলাম আর না বাসলে কেনই বা কষ্ট পাচ্ছি? ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে গেলো। আজকে শুক্রবার ওর কথা ভাবতে ভাবতেই সারাদিন শেষ, আগের রাতের মত আজও ঘুম ছিলোনা। সকাল দশটা বাজে কিন্তু আজ স্যারের কাছে পড়তে যাবো না, ১১:৩০ মিনিট আমি মুক্তি সিনামার সামনে। কিন্তু, প্রিয়ার কোন খোজ নেই, রহিম…

ইয়ার ফাইনাল ; কিছু পাতা অধ্যয় ৬

ইয়ার ফাইনাল: ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার আর মাত্র ১০ দিন বকি, দেখতে দেখতে আমাদের কলেজ জীবনের অর্ধেক শেষ। পরীক্ষার সময় আমাদের দেখা হবে না। কারণ, ছেলে-মেয়ে আলাদা ক্লাসে পরীক্ষা হবে। আবার কলেজ ও ছুটি দিবে, কিভাবে যে এ সময়টা কাটবে ভাবতেই কষ্ট হয়। পরীক্ষার সুপার ডুপার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছিলাম। শুরুর থেকেই মাঝে মাঝে কয়েকটা দিন ক্লাশ ফাকি দিয়েছি বলে এখন একটু কষ্ট হবে। দেখতে দেখতে সবগুলো পরীক্ষা শেষ, বলতে গেলে সবগুলো পরীক্ষাই খুব ভাল হয়েছে। অনেক দিনের জন্য কলেজ ছুটি দিচ্ছে। খুব কষ্ট লাগছে যে, প্রিয়ার সাথে দীর্ঘ এ…

প্রিয়া কি বলবে? ; কিছু পাতা অধ্যয় ৩

প্রিয়া কি বলবে?   দ্বিতীয় টার্ম পরীক্ষাও শেষ। এবার অমাদের সামনে ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। তাই রাতে একটু দেরী করেই ঘুমাই, রাত প্রায় দশটা বাজে আমি টেবিলে বসে পড়ছি। কিন্তু ভাবছি প্রিয়ার কথা। প্রিয়া কি করছে? ওকি আমার কথাই ভাবছে? নাকি নাম ডেকে খুবচে ঘুমাচ্ছে, হয়তো বা ঘুমাচ্ছে। আমার যে কি হয়েছে খালি প্রিয়া আর প্রিয়া পড়তে বসলে, খেতে বসলে, এমনকি গেম খেলতে বসলেও আর শুইলেতো চোখ থেকে ঘ্মুই উড়ে যায়, মাথার মধ্যে কত কথা আসে কালকে ওকে কি বলব, আমাকেও কি বলবে এসব কথা ভেবেই রাত অর্ধেক পার হয়ে যায়।…

.: কিছু পাতা । মেহেদী মেনাফা:.

.: কিছু পাতা । মেহেদী মেনাফা :. একটি ভালবাসার গল্প     প্রথম প্রকাশ : ৮ই ফেব্রয়ারি, ২০০৮ (বই মেলা) প্রচ্ছদ : রবি জোহরা (প্রধান প্রচ্ছদ) স্বত্ত্ব : মোহাম্মাদ মেহেদী মেনাফা     “কিছু পাতা”উপন্যাসটি আমার জীবনের কিছু সত্য এবং কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা। এটাই আমার জীবনের প্রথম লেখা উপন্যাস, তাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।             *_♫—-♥—-♫—-♥_* শুরুর কথা : কিছু পাতা অধ্যয় ১ প্রিন্সিপাল স্যারের কষা এক থাপ্পর ডান গালে লাগল, তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে মনে মনে হয়তো ভেবেছেন আরেকটা দেই…