প্রশ্ন উত্তর ও পরামর্শ

সম্পদ সঞ্চয় ও সংরক্ষণের মাসায়েলঃ ১. জরুরী দায়িত্ব আদায় করার পর সাধারণ অবস্থায় নিজের এবং নিজের সন্তানাদি ও পরিবারের জন্য কিছুটা সঞ্চয় রাখা উত্তম, যাতে পরে নিজেকে ও নিজের সন্তানাদিকে অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়। (হায়াতুল মুসলিমীন) ২. সুদ ভিত্তিক ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েয নয়। কারণ, এতে সুদ ভিত্তিক কারবারের অন্যায়ে সহযোগিতা করা হয়। তবে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলে বা অনন্যোপায় অবস্থায় সম্পদ সংরক্ষণের স্বার্থে রাখার অনুমতি রয়েছে। (ফাতাওয়া রাহিমিয়া) ৩. ব্যাংকের সুদের টাকা ব্যাংকে ছেড়ে দিয়ে আসা অন্যায়। কেননা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এটাকে সঠিক খাতে এবং মাসআলা অনুযায়ী ব্যয় করবে…

এক বোকা নারী থেকে শিক্ষা নাও…

হাকিমুল উম্মত হজরত আশরাফ আলি থানবি (রাহঃ) বলতেন, এক বোকা অশিক্ষিত মেয়ে থেকে শিক্ষা নাও। একটি বোকা মেয়ে দু’টো কথা উচ্চারন করে একজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। একজন বলে, আমি তোমাকে বিয়ে করলাম। অন্যজন বলে আমি কবুল করলাম। এই দু’টো কথাকে মেয়েটা এতটুকু সম্মান করে যে, যার জন্য সে মাতা-পিতা, ভাই-বোন বংশ পরিবারসহ সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে একমাত্র স্বামীর জন্য হয়ে যায়। স্বামীর গৃহবন্দী হয়ে যায়। ছোট্ট দু’টি কথার মূল্যায়ন তার কাছে এতো বেশি! হজরত থানবি (রাহঃ) বলেন, একটি বোকা মেয়ের দু’টো মাত্র কথার প্রতি এতোটা গভীর আস্থা, শ্রদ্ধা…

হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক রাত্রে সন্ত্রস্ত হয়ে ঘুম থেকে জাগলেন। আর বলতে লাগলেন-“আজ রাতে কত রহমত নাযিল হল, আর অবতীর্ণ হল কত ফিতনা-বিপদ। কক্ষে অবস্থানকারীনীদের কে জাগিয়ে দিবে?” তিনি তাঁর বিবিগণের প্রতিই ইঙ্গিত করছিলেন। “যাতে তারা নামায পড়ে”। (রহমত অর্জন করবে আর ফিতনা ও বিপদ থেকে মুক্ত হবে)। “দুনিয়াতে সুশোভিত কত নারী আখেরাতে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হবে”। {সহীহ বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৫৮৬৪,৬৬৫৮, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৬৯১, আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস নং-৮৩৫} ••• হাদিসের ব্যাখ্যা••• রহমত ও বিপদ অবতীর্ণ হবার উদ্দেশ্য হল-যে পরিমাণ রহমতও বিপদ উম্মতের…

আমি তোমাকে উপেক্ষা করি…

আমি তোমাকে উপেক্ষা করি কেন ই বা করবো না? কি দিতে পারবে তুমি আমাকে? যা দেবার তা তো নিয়ে নিয়েছি কটা আবেগমাখা কথা দিয়েই বড্ড বোকা তুমি কি ভেবেছো বিয়ে করবো তোমাকে? তুমি দোকানে যেয়ে হাতের তালুতে ঘসে যে লিপস্টিকটার রং পরীক্ষা করো ওটাই কি নাও।নাকি চাও একটি ইনট্যাক্ট প্রোডাক্ট?বলো? চুপ করে আছো কেন? তোমাকে আমি বিশ্বাস করিনা আমাকে যখন সবটুকু উজাড় করে দিয়েছো তাহলে আর কতজন কে.. কাঁদছো কেন? ফেসবুতে একাউন্ট আছে।কলেজ ভার্সিটি আছে বন্ধু বান্ধব আছে একটা প্রেমিক জোগাড় হয়ে যাবেই। আর এই মেয়ে শোনো ফোন করে ফ্যাচ…

অদ্ভুত !!

আজ থেকে ৫-৬ বছর আগের একটি কাহিনী এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।গল্পটি আমার এক এলাকার মামার কাছে শোনা।মামার নাম বাবু।বাবু মামা প্রায় সময় নিজের আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গিয়ে থাকেন। ওখানে চাগদা বলে একটি যায়গায় বাবু মামার বড় ভাই থাকেন।ঘটনাটি বাবু মামার সাথে ঘটে যাওয়া।এবার তাহলে আসল ঘটনায় আসা যাক। বাবু মামা একবার চাগদা বেড়াতে যান ।চাগদায় বাবু মামার বড় ভাইয়ের বাসা থেকে একটূ দূরে একটা পুকুর আছে। বাবু মামা প্রত্যেকবার চাগদা যাবার পর ওই পুকুরে মাছ ধরতে যান।রাতের বেলা মাছ ধরতে বাবু মামা খুব পছন্দ…

***পোড়োবাড়ির ইবলিশ***

দু’দিন ধরে মরিয়মের ওপর ক্ষেপে আছে মুনিরা ।স্নেহার পুতুলটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।মরিয়ম মিনমিন করে বলে, মামী, আমি দেখি নাই। পুতুলটা স্নেহাকে উপহার দিয়েছিল রেবেকা । রেবেকার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত মুনিরা। তেমন ঘনিষ্টতা অবশ্য ছিল না। রেবেকার ডিপার্টম্যান্টও আলাদা ছিল। কম কথা বলা ধবধবে ফরসা একটা মেয়ে । সব সময় বিষন্ন থাকত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর আর রেবেকার সঙ্গে যোগাযোগছিল না। …বিয়ের পর বরের সঙ্গে দু বছরের জন্য জাপান চলে যায় মুনিরা। স্নেহার জন্মদিনে সেই রেবেকা এসে উপস্থিত ।দুপুরবেলা। মুনিরা কিচেনে ছিল। পায়েস রাঁধছিল। কলিংবেল শুনে মরিয়মকে বলল, দেখ…

লাশকাটা ঘরে !!

ঝির ঝির শব্দে একটানা বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। চারপাশ নিস্তব্দ- নিশুতি রাত মনে হলেও রাত মাত্র সাড়ে এগারোটা। কিন্তু এই মিরস্বরাই মেডিক্যাল এর লাশ ঘরের চারপাশে যেন নেমে এসেছে নিঝুম অন্ধকার-সাথে টিপটিপ বৃষ্টি। সালাম একটু আগে ভ্যান নিয়ে এসেছে এখানে। উদ্দেশ্য ছিল রমেশ ডোম কে লাশ টা বুঝিয়ে দেবে। পুলিশ কেস। লাশ টা একটা যুবতী মেয়ের। বয়স আন্দাজ ২৪ হবে। স্বামীর সাথে রাগ করে বিষ খেয়েছে। পুলিশ আসতে আসতে ফুলে ঢোল হয়ে গেছে লাশ। ফোলা লাশটা কে মেডিক্যাল এ ময়না তদন্ত করতে পাঠিয়েছে সালাম কে দিয়ে। সালাম এই লাশ বহনের কাজ…

বীভৎস সেই রাতে !!

এস.এস.সি পরিক্ষা শেষ। কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না? একদিন আম্মা বলল চল সইয়ের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে আসি। আমি, আম্মা, বদরুল, হাদীমামা সবাই মিলে কিশোরগন্জের পাকুন্দিয়া আম্মার সইয়ের বাড়ী বেড়াতে গেলাম। হৈ হৈ রৈ রৈ করে দিনগুলো খুব ভালই কাটছে। এর মাঝে একদিন ঐ এলাকায় মাইকে প্রচার হচ্ছে যাত্রা হবে।আমরা খুবই উৎফুল্ল। রাত্রে আমি, মামা, নয়ন ভাই, স্বপন, শরিফ, আরও তিনজন মিলে রওনা হলাম। মোটামুটি তিন কি.মি. রাস্তা। তার মাঝে নাকি আবার নদী পার হইতে হয়। প্রচন্ড শীত। খোলা গলায় গান ছেড়ে নদীর পাড় দিয়ে চলছি। পাশের ঘন কাশবন ফাক দিয়ে…

রাত দুইটা বাজে !!!

রাত দুইটা বাজে। এবার উঠতে হবে। টাইড খেলা অনেক হয়েছে। আর ভাল লাগছে না। যদিও তাসের এই পর্ব সারারাতই চলবে। মামুন বিদায় নিল। বন্ধুরা নাছড় বান্দা। কেউ ছাড়তে চাই না। চাদঁ রাত বলে কথা। সারারাত ক্লাবে হই হুল্লর। আজ আবার একটা ছ…াগল চুরি করা হয়ে…ছে। রান্না ভাল হয়নি। কেমন একটা বমি বমি লাগছে। মামুন ঢাকায় থাকে। ঈদের সময় শুধু বাড়ি আসা। চাদঁ রাতে পাড়ার এই ক্লাবটির চেহেরায় বদলে যায়। প্রায় সব বন্ধু ই জড়ো হয়। এবার শুধু নয়ন নেই। ডিভি পেয়ে আমেরিকা চলে গেছে। নয়নের উদ্দেশ্যে শোকগাথাঁ লেখা হয়েছে। কাশেম…

***প্রতিশোধ***

আজও নাসিমার দিনটা শুরু হল থাপ্পড় খেয়ে। থাপ্পড় উর্মিই মারল। সকালবেলায় উর্মির ঘরে চা নিয়ে ঢুকেছিল নাসিমা। চায়ে নাকি চিনি কম হয়েছিল তাই । নাসিমাকে উর্মি প্রায় দিনই উঠতে-বসতে চড়-থাপ্পড় মারে। নাসিমা কী আর করবে। চুপচাপ সহ্য করে যায়। ঢাকা শহরে ভাত যে অত সস্তা না, তা নাসিমা জানে। ওর মতো যারা এই শহরে বেঁচে আছে, তারা কিল গুঁতো খেয়েই বেঁচে আছে। নাসিমার ওপর বিরক্ত উর্মি। নাসিমা ভারি অলস। তার ওপর কথা শোনে না। কোনও কাজেরও না। চা-টাও ঠিকমতো বানাতে পারে না। তবে নাসিমার ওপর উর্মির বিরক্ত হওয়ার অন্য একটি…