ভালবাশার গল্প : যে দেয়ালটি মিনতির বন্ধু ছিল

ভালবাশার গল্প : যে দেয়ালটি মিনতির বন্ধু ছিল  লিখেছেনঃ  বিকেল চড়ুই ক্লাসের শেষ বেঞ্চটা খালি পড়ে থাকে।কয়েকদিন ধরে বেঞ্চের একচ্ছত্র অধিপতি মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছেনা।আমি জ্যামিতি ক্লাসে বিমান স্যারের বুঝিয়ে দেয়া উপপাদ্য খাতায় তুলতে তুলতে বারবার পিছনে তাকাই। ক্লাসে আমরা ভাল ছাত্রীর দলে ছিলাম।নিয়মিত স্কুলে আসতাম। খাতায় বাড়ির কাজ তোলা থাকত ।শিক্ষকদের প্রশংসায় ভেসে যেতাম। আমরা বসতাম সামনের বেঞ্চে। মিনতি বসত পেছনের বেঞ্চে। প্রায়ই দেরিতে স্কুলে আসে।এক বেনীতে ফিতা থাকেতো আরেক বেনীতে নেই।স্কুল ড্রেস কালেভদ্রে ইস্ত্রি করা থাকে।সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যায়াম দিদিমনির হাতে মার খায়।স্কুলে শারীরিক শিক্ষার দিদিমনিকে আমরা ব্যায়াম দিদিমনি…

ভালোবাসার গল্প : বৃষ্টি ও একটি কালো অনুভূতি

বৃষ্টি ও একটি কালো অনুভূতিভালোবাসার গল্প : বৃষ্টি ও একটি কালো অনুভূতি

ভালোবাসার গল্প : বৃষ্টি ও একটি কালো অনুভূতি লিখেছেনঃ  সুলতান আজম সজল -প্রতিদিন এখানে কি? -কিছু না । -কিছু না মানে?বাসা থেকে বের হবার সময়ও দেখি,বাসায় ঢুকার সময়ও দেখি । সমস্যাটা কি? -কোন সমস্যা নেই । -তাহলে,আর যেন এখানে না দেখি । -জ্বী,ঠিক আছে । ঝাড়ি দেওয়ার পর থেকে প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকা হালকা-পাতলা,বাবড়ি চুলের ছেলেটাকে রেহনুমা আর দেখে নি । প্রথম প্রথম বিষয়টা ভালো লাগলেও পরে কেন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগতে লাগলো । হঠাত করে রেহনুমার মনে ছেলেটার প্রতি একটা অনুভূতির জন্ম হতে লাগলো । দিনকে দিন সেটা বাড়তে লাগলো…

ভূতের গল্প : অভিশপ্ত বুড়ি (ভূত এফএম -এ প্রকাশিত)

ভূতুড়ে গল্প অভিশপ্ত বুড়ি

ভূতের গল্প : অভিশপ্ত বুড়ি (ভূত এফএম -এ প্রকাশিত)  হামিদ মিঞা কথা দিয়েছিল বিয়ের পর লাকি বেগমকে নিয়ে এমন একটা বাসায় উঠবে যেখানে অন্য মানুষের সাথে টয়লেট বা রান্নাঘর ভাগাভাগি করতে হয় না। আলফা ফ্যাশন গার্মেন্টস এর ফ্লোর সুপারভাইজার হামিদ প্রেমে পড়েছ িল শিক্ষানবীস লাকি বেগমের। গরীবের ঘরে এমন অনিন্দ্য সুন্দরী মেয়ে জন্ম নিতে পারে তা লাকিকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। লাকির বাবা-মা নেই, চাচার বাসায় থেকে কাজ করে। একদিন ধমক দিয়েছিল হামিদ বেমাক্কা। তার পর এক অপ্রত্যাশিত চোখ ভাসানো ভেউভেউ কান্না। সেদিনই হামিদ সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েকে জীবনে…

ভালবাসার গল্প : ঝিঁঝি পোকার ডাক

ভালবাসার গল্প : ঝিঁঝি পোকার ডাক লিখেছেনঃ মারুফ হোসেন আমি চেয়ারে একপাশে বসে আছি। আমার পাশে যে মেয়েটা বসে আছে তার নাম নীরা। অনেকক্ষণ ধরে পাশাপাশি বসে আছি, অথচ দুজনই চুপচাপ। সারাবছর পত্রিকা না পড়লেও গাড়ীতে উঠার আগে পত্রিকা নেওয়া আমার জন্য বাধ্যতামূলক। আমি একবার পত্রিকার এপাতা আরেকবার ওপাতায় যাচ্ছি। কোন এক অজানা কারণে পিচ্চি গুলা টাকা খোঁজার জন্য পাশের জনকে রেখে আমার কাছে চলে আসে। যদিও আমি দেখতে মোটেও টাকাওয়ালা টাইপ না। শুনেছি টাক মাথা হলে নাকি টাকাওয়ালা টাইপ মনে হয়। টাক হওয়ার সমুদয় সম্ভাবনা থাকলেও এখনো তা হইনি। দূর…

ভালবাসার গল্প: দাগ

তার নাম ছিল কেয়া। আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচাইতে সুন্দর একটি মুখ। আমরা ছিলাম প্রতিবেশি। এখন যেমন এই ফ্ল্যাটের মানুষ তার পাশের ফ্ল্যাটের খোজ জানেনা। প্রতিবেশি বলতে এখন যা বুঝায় ১৫-২০ বছর আগেও প্রতিবেশির অর্থ ঢাকা শহরে এমনটা ছিলনা। পুরো এলাকার খোজ সবাই রাখত। সবাই সবাইকে চিনত। কোন রকম স্কুলের পড়াটা শেষ করেই আমরা একদল ছেলে মেয়ে খেলতে বেড়িয়ে পরতাম। কত ধরনের খেলা যে তখন ছিল! বরফ-পানি, ছোয়া-ছুই, মাংস চোর, কুমির কুমির, ফুল টোক্কা, লাফ দরি, লুকোচুরি। আরো কত কিছু যে ছিল! নামও মনে নেই এখন সবগুলোর। এখন যেমন কিছু…

ভালোবাসার গল্প : আচ্ছা তাই…সই…

রাস্তাটা এবড়োখেবড়ো । রিকশাওয়ালা উল্কার বেগে রিকশা চালানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছে সম্ভবত । সাজ্জাদ ঝাঁকুনি খেতে খেতে ভাবছিল বাড়ি পৌঁছানোর আগে গায়ের হাড়গোড় আস্ত থাকলে হয় ! রাত বাজে আড়াইটা । এত রাতে রিকশার প্রতিটা ঝাঁকুনি যে পরিমান বিকট শব্দ তৈরি করছে তা আর কিছুক্ষন চলতে থাকলে গাঁয়ের লোকজন ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসবে লাঠি সোটা নিয়ে । এক পাশে ছোট একটা খাল অন্য পাশে ধানী জমি । মাঝে শিমলতা ,সুপারি,নারকেল গাছ আর বুনো ঝোপঝাড়ে ছাওয়া কাঁচা পাকা রাস্তা । ঝিঁঝিঁ ডাকছে ক্লান্তিহীন । রিকশার টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো আর সাজ্জাদের হাতে ধরা টর্চটার আলো নিশুতি রাতের আঁধার কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে । রিকশাওয়ালা জোয়ান মরদ । গায়ে জোর আছে বেশ । খুব দ্রুত তালে প্যাডেলে পা চালাচ্ছে । একটু কেমন যেন । সরকার বাড়ির দক্ষিনে নাকুন্দপাড়া কমসে কম দশবার বলার পর তারপর রিকশাওয়ালা চুপচাপ মাথা হেলিয়ে রিকশায় ওঠার ইঙ্গিত করেছে । সরকারবাড়ির সামনে আসতেই একটা দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । কত দিন পর এই দৃশ্যটা দেখছে সে ! ছোটবেলায় একদিন বাবার হাত ধরে গভীর রাতে হাট থেকে ফেরার সময় ঠিক এই দৃশ্যটা দেখে সে থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিল । । বিশাল দীঘির একূল ওকূল চোখে পড়েনা । শ্বেত পাথরে বাঁধানো ঘাট । মাঝদীঘিতে একরাশ শাপলা ফুটে আছে । শাপলাবন ঘিরে হাজার হাজার জোনাকের নাচের আসর । দীঘির অন্ধকার জলে ফোটা ফোটা জোনাক আলোর ছায়া । নিশুতি রাতের হিম বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে দীঘির কালো জল । মনে হচ্ছে আকাশের সব নক্ষত্র জলের মায়ায় দীঘিতে নেমেছে । তন্ময় হয়ে তাকিয়েছিল সাজ্জাদ । ব্যাগটায় হাত বুলিয়ে তৃপ্তিতে চোখ মুদল ও । আজ চাঁদ উঠলে পরশু ঈদ । ছেলেটার জন্য সোনালি সুতোয় বোনা পাজামা পাঞ্জাবি আর আয়েশার জন্য শাড়ি আলতা চুড়ি । শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের জন্যেও অনেক কিছু কিনেছে । সারাদিনের ক্লান্তিতে গা ভেঙ্গে আসতে চাইছে ওর । । ঢাকা থেকে দিনাজপুর সহজ জার্নি নয় । একটা বেসরকারি ফার্মে চাকরি করে সাজ্জাদ । । দিনরাত গাধার খাটনি । বেতনও অত বেশি নয় । সাতপাঁচ ভাবছিল । গোরস্থান ঘেষে যাওয়ার সময় বাবা মায়ের কবরের বেড়াটা চোখে পড়ল ওর । একটু বিমর্ষ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । গতবছর মা একটা শাড়ি চেয়েছিল । সাদা শাড়ি । সাজ্জাদ সবার জন্য কেনাকাটা করেছিল সেবার । ওর শালা সম্বুন্ধী শ্বশুর শাশুড়ি সবার জন্য । শুধু মায়ের শাড়িটা কিনতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিল ।সেই ঈদের দুদিন পরেই মা মারা গিয়েছিলেন । কাফনের সাদা কাপড়ে জড়ানো মায়ের পা ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল সাজ্জাদ । একটু ঝিম ধরেছিল । রিকশার তীব্র ঝাকুনিতে সচকিত হলো সে। হঠাত্ খেয়াল হলো ওর একটু যেন বেশিই নীরব হয়ে গেছে আশপাশ । গা ছমছম করা নিস্তব্ধতা নেমেছে রাস্তা জুড়ে ! ঝিঁঝির ডাক থেমে গেছে । একটু গা শিরশির করে উঠল বিনা কারনে আর টর্চটা শক্ত হাতে আকড়ে ধরল সাজ্জাদ । কি ভেবে পিছন ফিরল ও । রিকশার হুডের ফাঁক দিয়ে ফেলে আসা রাস্তাটার দিকে তাকাল ও । চমকে উঠে চোখ বড় বড় হয়ে গেল সাজ্জাদের ! অন্ধকার রাস্তাটা ধরে পুরো শরীরে সাদা কাপড়ে জড়ানো একটা মানুষ প্রবল বেগে দৌড়ে আসছে ।সাদা কাপড় হাওয়ায় উড়ছে । অপার্থিব সেই দৃশ্য দেখে সাজ্জাদের গলা শুকিয়ে গেল । প্রচন্ড ভয় পেয়ে সামনে ফিরল ও । কাঁপা কাঁপা স্বরে একটু চেঁচিয়ে উঠল , ও ভাই একটু তাড়া তাড়ি চালান ! রিকশাওয়ালা নির্বিকার ।যেন শুনতেই পায়নি । পিছন রাস্তা থেকে কে যেন মায়াবী কন্ঠে ধীর স্বরে চিত্কার করে ডেকে উঠলো , 'খোকা ও খোকা আমার জন্য কিছু আনিসনি ? একটা সাদা শাড়ি ? গতবছরও আনলিনা .. সাজ্জাদ থরথর করে কেঁপে উঠলো ! এই কন্ঠ সে চেনে ! জন্ম থেকে শুনে এসেছে ! এ তার মায়ের কন্ঠ ! রিকশা প্যাডেলের ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হচ্ছে অবিরাম ! "ও ভাই একটু শুনেন কে যেন আসতেছে একটু তাড়াতাড়ি চালান" ,সাজ্জাদ কম্পিত স্বরে রিকশাওয়ালাকে ডাক দেয় । রিকশাওয়ালা পিছন ফেরেনা । রিকশা ঝাঁকুনি খেতে খেতে চলেছে আগের মতই ! একটা নিশাচর পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে গেল । বুনো লেবুর গন্ধ ভেসে আসছে । আচমকা পিঠের উপর ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ ! সাজ্জাদ শিঁরদাড়া সোজা করে স্থির হয়ে গেল ! কানের কাছ বেয়ে ঘামের ফোটা টপ টপ ঝরতে শুরু করেছে । ভয়ে আতংকে বোধশুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল ওর । হিমশীতল স্পর্শটা ওঠানামা করছে ওর পিঠের উপর ,যেন কেউ আদর করে হাত বোলাচ্ছে ওর পিঠে । "ও খোকা মানিক আমার" , ওর মায়ের কাতর কন্ঠটা ফিসফিস করে বলছে , " আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা ,আমার জাদুর কপালে টিপ দিয়ে যা !খোকা আমার ,লক্ষী আমার , বাছা আমার এখনো খাসনি ? আমার সাথে চল মাছের মুড়ো রেঁধে খাওয়াব তোকে । কবরে শিয়াল বাসা বেঁধেছেরে আমি ঘুমাতে পারিনা বাছা । শাড়ি এনেছিস খোকা ? একটু দেখি ? ও খোকা .. তোর বাবার ও খুব কষ্ট হয় তোকে না দেখে । আয় খোকা একটা চুমু দিই তোর কপালে .. পিছ ফির .. খোকা .. ও খোকা .. আতংকে দিশেহারা সাজ্জাদ শক্ত করে টর্চটা আকড়ে থরথর কাঁপতে থাকে । ফিরবেনা ফিরবেনা করেও পিছ ফেরে ও। যেন কেউ জোর করে ওকে পিছন ফিরালো ! রিকশার হুডের ফাঁকে ঘোমটা ঢাকা একটা মাথা আবছা অন্ধকারে মুখ বাড়িয়ে রেখেছে । জ্ঞানহারাবার প্রাকমুহুর্তে কপালে একটা শীতল ঠোঁটের স্পর্শ টের পেল সাজ্জাদ ! নাকুন্দপাড়ার বাজারে একটা দোকান তখনো আধখোলা ছিল । দোকানি দোকান গুছিয়ে মাত্র ঘুমানোর পায়তারা করছিল । রিকশাওয়ালা করিম বিরক্ত হয়ে অজ্ঞান পেসেঞ্জারটাকে দোকানে নিয়ে এসেছে । সে কানে কম শুনে । পেসেঞ্জারটা খামাখা একটু আগে জোরেসোরে চিক্কুর পেড়ে রিকশা থেকে ফাল মেরে বেহুঁশ হয়ে গেছে । টর্চলাইট ভেঙ্গে হাতে কাঁচের টুকরো গেঁথে রক্তারক্তি কান্ড ! করিম বিরক্ত হয়ে গালি দেয় গোটা দশেক । মহামুসিবত ! - বিকেল চড়ুই

বাবা মেয়ের হাত ছেড়ে দিয়ে বলছেন-যা বেটা যা, আপনে রাজকে পাস যা, যা সিমরান, যা জিরে আপকে জিন্দেগী, যা বেটা যা…সিমরান ব্যাকুল হয়ে দৌড়াচ্ছে। তার ওড়না বাতাসে উড়ছে। ট্রেনের গতি বাড়ছে। রাজ ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে আছে। ব্যাকগ্রাউণ্ডে বাজছে তুঝে দেখা তুয়ে জানা সানাম গানের স্পেশাল ইন্সট্রুমেনটাল। আবার এদিকে দারুচিনি দ্বীপের ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। বল্টু দৌড়াচ্ছে। তার পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে মোনা। যে করেই হোক ট্রেনটা ধরতেই হবে। বিচিত্র কোন কারণে ট্রেন অদ্ভুত এক রোমান্টিক বাহন। আর স্টেশন যেন মডিফাইড কোন বৃন্দাবন। এখানে প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষার দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়ে, এখানে ছিটকে পড়ে আবেগ,কখনও…

মা দিবস উপলক্ষ্যে অনেক পুরাতন একটি গল্প সবার জন্য!

এক ছেলে এক মেয়েকে প্রচণ্ড রকম ভালোবাসতো। একদিন তার প্রেমিকা ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে চাইলো। ছেলেটি জানালো, ঠিক আছে। সব পরীক্ষার জন্য আমি প্রস্তুত। মেয়েটি বললো, ‘তুমি যদি আমাকে সত্যিই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো, যাও তাহলে, তোমার মায়ের হৃৎপিণ্ডটা নিয়ে এসো’। কথা শুনেই প্রেমে অন্ধ হয়ে থাকা ছেলেটি ছুটলো মায়ের কাছে। ভালোবাসার পরীক্ষায় পাস করার জন্য সে মরিয়া। যে কোনো মূল্যেই ভালোবাসা তার চাই। মায়ের কাছে গিয়ে জানালো সব কথা। মা বুঝলেন তার সন্তানটি কতো উদগ্রিব আর মরিয়া হয়ে আছে। মা সন্তানের এ অবস্থা দেখে হেসে তার হৃদপিন্ড কেটে সন্তানের হাতে তুলে দিয়ে বলেন, "যা বাবা তাড়াতাড়ি যা" । সন্তান সেই হৃৎপিণ্ড নিয়ে প্রেমিকার উদ্দেশ্যে দ্রুত রওনা হয়। দৌড়াতে গিয়ে পথে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। তখন দু'হাতে ধরে থাকা হৃদপিন্ডটি চিৎকার করে বলে ওঠে ‘কিরে খোকা ব্যাথা পেয়েছিস?’ এর নামই হলো ‘মা’। পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ শব্দ। সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়, সবচেয়ে মধুর, সবচেয়ে আপন। উপরের এই গল্পটি চীনা পৌরনিকে একটি গল্প। মায়ের নিঃস্বার্থ একটি চিত্র হিসেবে এই গল্পটি প্রচলিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।

এক ছেলে এক মেয়েকে প্রচণ্ড রকম ভালোবাসতো। একদিন তার প্রেমিকা ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে চাইলো। ছেলেটি জানালো, ঠিক আছে। সব পরীক্ষার জন্য আমি প্রস্তুত। মেয়েটি বললো, ‘তুমি যদি আমাকে সত্যিই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো, যাও তাহলে, তোমার মায়ের হৃৎপিণ্ডটা নিয়ে এসো’। কথা শুনেই প্রেমে অন্ধ হয়ে থাকা ছেলেটি ছুটলো মায়ের কাছে। ভালোবাসার পরীক্ষায় পাস করার জন্য সে মরিয়া। যে কোনো মূল্যেই ভালোবাসা তার চাই। মায়ের কাছে গিয়ে জানালো সব কথা। মা বুঝলেন তার সন্তানটি কতো উদগ্রিব আর মরিয়া হয়ে আছে। মা সন্তানের এ অবস্থা দেখে হেসে তার হৃদপিন্ড কেটে সন্তানের হাতে তুলে…

.: কিছু পাতা । মেহেদী মেনাফা:. (black-blog-ব্লাক-ব্লগ)

.: কিছু পাতা । মেহেদী মেনাফা :. একটি ভালবাসার গল্প (black-blog-ব্লাক-ব্লগ)     প্রথম প্রকাশ : ৮ই ফেব্রয়ারি, ২০০৮ (বই মেলা) প্রচ্ছদ : রবি জোহরা (প্রধান প্রচ্ছদ) স্বত্ত্ব : মোহাম্মাদ মেহেদী মেনাফা     “কিছু পাতা”উপন্যাসটি আমার জীবনের কিছু সত্য এবং কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা। এটাই আমার জীবনের প্রথম লেখা উপন্যাস, তাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।             *_♫—-♥—-♫—-♥_* শুরুর কথা : কিছু পাতা অধ্যয় ১ প্রিন্সিপাল স্যারের কষা এক থাপ্পর ডান গালে লাগল, তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে মনে মনে হয়তো ভেবেছেন আরেকটা…

ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত? (ফেসবুক বাংলা স্টাটাস-১)

ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত? আর নয় সময় নষ্ট! এখন www.my.black-iz.com এ আপনাদের জন্য থাকবে নিয়মিত ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস। বাংলা ভালাবাসার স্টাটাস, আনন্দের স্টাটাস, যোগউপযোগী স্টাটাস সহ সকল ধরনের স্ট্যাটাস আপনি পাবেন এখন my.black-iz.com -এ! আমাদের বাংলা স্টাটাসের এই আয়োজন শুধু মাত্র আপনারই জন্য। নিয়মিত ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ!

ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত? আর নয় সময় নষ্ট! এখন www.my.black-iz.com এ  আপনাদের জন্য থাকবে নিয়মিত ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস। বাংলা ভালাবাসার স্টাটাস, আনন্দের স্টাটাস, যোগউপযোগী স্টাটাস সহ সকল ধরনের স্ট্যাটাস  আপনি পাবেন এখন my.black-iz.com -এ!  আমাদের বাংলা স্টাটাসের এই আয়োজন শুধু মাত্র আপনারই জন্য। নিয়মিত ফেসবুকের জন্য বাংলা স্টাটাস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ! ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি নিম্নরূপ দেখাবেঃ Post by Menafa Mehedi. ফেসবুকের জন্য বাংলা ভালবাসার স্ট্যাটাস ১: ► একজনকে ঘিরে বা নিয়ে কারও জীবন হতে পারে না, ঐযে বলেছিলাম আমার একজন আপন মানুষের কথা যে কিনা…

তারা আর ধ্রুবর গল্প (একটা সত্য ঘটনা)। মেহেদি মেনাফা!

রাস্তাটা এবড়োখেবড়ো । রিকশাওয়ালা উল্কার বেগে রিকশা চালানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছে সম্ভবত । সাজ্জাদ ঝাঁকুনি খেতে খেতে ভাবছিল বাড়ি পৌঁছানোর আগে গায়ের হাড়গোড় আস্ত থাকলে হয় ! রাত বাজে আড়াইটা । এত রাতে রিকশার প্রতিটা ঝাঁকুনি যে পরিমান বিকট শব্দ তৈরি করছে তা আর কিছুক্ষন চলতে থাকলে গাঁয়ের লোকজন ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসবে লাঠি সোটা নিয়ে । এক পাশে ছোট একটা খাল অন্য পাশে ধানী জমি । মাঝে শিমলতা ,সুপারি,নারকেল গাছ আর বুনো ঝোপঝাড়ে ছাওয়া কাঁচা পাকা রাস্তা । ঝিঁঝিঁ ডাকছে ক্লান্তিহীন । রিকশার টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো আর সাজ্জাদের হাতে ধরা টর্চটার আলো নিশুতি রাতের আঁধার কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে । রিকশাওয়ালা জোয়ান মরদ । গায়ে জোর আছে বেশ । খুব দ্রুত তালে প্যাডেলে পা চালাচ্ছে । একটু কেমন যেন । সরকার বাড়ির দক্ষিনে নাকুন্দপাড়া কমসে কম দশবার বলার পর তারপর রিকশাওয়ালা চুপচাপ মাথা হেলিয়ে রিকশায় ওঠার ইঙ্গিত করেছে । সরকারবাড়ির সামনে আসতেই একটা দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । কত দিন পর এই দৃশ্যটা দেখছে সে ! ছোটবেলায় একদিন বাবার হাত ধরে গভীর রাতে হাট থেকে ফেরার সময় ঠিক এই দৃশ্যটা দেখে সে থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিল । । বিশাল দীঘির একূল ওকূল চোখে পড়েনা । শ্বেত পাথরে বাঁধানো ঘাট । মাঝদীঘিতে একরাশ শাপলা ফুটে আছে । শাপলাবন ঘিরে হাজার হাজার জোনাকের নাচের আসর । দীঘির অন্ধকার জলে ফোটা ফোটা জোনাক আলোর ছায়া । নিশুতি রাতের হিম বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে দীঘির কালো জল । মনে হচ্ছে আকাশের সব নক্ষত্র জলের মায়ায় দীঘিতে নেমেছে । তন্ময় হয়ে তাকিয়েছিল সাজ্জাদ । ব্যাগটায় হাত বুলিয়ে তৃপ্তিতে চোখ মুদল ও । আজ চাঁদ উঠলে পরশু ঈদ । ছেলেটার জন্য সোনালি সুতোয় বোনা পাজামা পাঞ্জাবি আর আয়েশার জন্য শাড়ি আলতা চুড়ি । শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের জন্যেও অনেক কিছু কিনেছে । সারাদিনের ক্লান্তিতে গা ভেঙ্গে আসতে চাইছে ওর । । ঢাকা থেকে দিনাজপুর সহজ জার্নি নয় । একটা বেসরকারি ফার্মে চাকরি করে সাজ্জাদ । । দিনরাত গাধার খাটনি । বেতনও অত বেশি নয় । সাতপাঁচ ভাবছিল । গোরস্থান ঘেষে যাওয়ার সময় বাবা মায়ের কবরের বেড়াটা চোখে পড়ল ওর । একটু বিমর্ষ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । গতবছর মা একটা শাড়ি চেয়েছিল । সাদা শাড়ি । সাজ্জাদ সবার জন্য কেনাকাটা করেছিল সেবার । ওর শালা সম্বুন্ধী শ্বশুর শাশুড়ি সবার জন্য । শুধু মায়ের শাড়িটা কিনতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিল ।সেই ঈদের দুদিন পরেই মা মারা গিয়েছিলেন । কাফনের সাদা কাপড়ে জড়ানো মায়ের পা ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল সাজ্জাদ । একটু ঝিম ধরেছিল । রিকশার তীব্র ঝাকুনিতে সচকিত হলো সে। হঠাত্ খেয়াল হলো ওর একটু যেন বেশিই নীরব হয়ে গেছে আশপাশ । গা ছমছম করা নিস্তব্ধতা নেমেছে রাস্তা জুড়ে ! ঝিঁঝির ডাক থেমে গেছে । একটু গা শিরশির করে উঠল বিনা কারনে আর টর্চটা শক্ত হাতে আকড়ে ধরল সাজ্জাদ । কি ভেবে পিছন ফিরল ও । রিকশার হুডের ফাঁক দিয়ে ফেলে আসা রাস্তাটার দিকে তাকাল ও । চমকে উঠে চোখ বড় বড় হয়ে গেল সাজ্জাদের ! অন্ধকার রাস্তাটা ধরে পুরো শরীরে সাদা কাপড়ে জড়ানো একটা মানুষ প্রবল বেগে দৌড়ে আসছে ।সাদা কাপড় হাওয়ায় উড়ছে । অপার্থিব সেই দৃশ্য দেখে সাজ্জাদের গলা শুকিয়ে গেল । প্রচন্ড ভয় পেয়ে সামনে ফিরল ও । কাঁপা কাঁপা স্বরে একটু চেঁচিয়ে উঠল , ও ভাই একটু তাড়া তাড়ি চালান ! রিকশাওয়ালা নির্বিকার ।যেন শুনতেই পায়নি । পিছন রাস্তা থেকে কে যেন মায়াবী কন্ঠে ধীর স্বরে চিত্কার করে ডেকে উঠলো , 'খোকা ও খোকা আমার জন্য কিছু আনিসনি ? একটা সাদা শাড়ি ? গতবছরও আনলিনা .. সাজ্জাদ থরথর করে কেঁপে উঠলো ! এই কন্ঠ সে চেনে ! জন্ম থেকে শুনে এসেছে ! এ তার মায়ের কন্ঠ ! রিকশা প্যাডেলের ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হচ্ছে অবিরাম ! "ও ভাই একটু শুনেন কে যেন আসতেছে একটু তাড়াতাড়ি চালান" ,সাজ্জাদ কম্পিত স্বরে রিকশাওয়ালাকে ডাক দেয় । রিকশাওয়ালা পিছন ফেরেনা । রিকশা ঝাঁকুনি খেতে খেতে চলেছে আগের মতই ! একটা নিশাচর পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে গেল । বুনো লেবুর গন্ধ ভেসে আসছে । আচমকা পিঠের উপর ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ ! সাজ্জাদ শিঁরদাড়া সোজা করে স্থির হয়ে গেল ! কানের কাছ বেয়ে ঘামের ফোটা টপ টপ ঝরতে শুরু করেছে । ভয়ে আতংকে বোধশুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল ওর । হিমশীতল স্পর্শটা ওঠানামা করছে ওর পিঠের উপর ,যেন কেউ আদর করে হাত বোলাচ্ছে ওর পিঠে । "ও খোকা মানিক আমার" , ওর মায়ের কাতর কন্ঠটা ফিসফিস করে বলছে , " আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা ,আমার জাদুর কপালে টিপ দিয়ে যা !খোকা আমার ,লক্ষী আমার , বাছা আমার এখনো খাসনি ? আমার সাথে চল মাছের মুড়ো রেঁধে খাওয়াব তোকে । কবরে শিয়াল বাসা বেঁধেছেরে আমি ঘুমাতে পারিনা বাছা । শাড়ি এনেছিস খোকা ? একটু দেখি ? ও খোকা .. তোর বাবার ও খুব কষ্ট হয় তোকে না দেখে । আয় খোকা একটা চুমু দিই তোর কপালে .. পিছ ফির .. খোকা .. ও খোকা .. আতংকে দিশেহারা সাজ্জাদ শক্ত করে টর্চটা আকড়ে থরথর কাঁপতে থাকে । ফিরবেনা ফিরবেনা করেও পিছ ফেরে ও। যেন কেউ জোর করে ওকে পিছন ফিরালো ! রিকশার হুডের ফাঁকে ঘোমটা ঢাকা একটা মাথা আবছা অন্ধকারে মুখ বাড়িয়ে রেখেছে । জ্ঞানহারাবার প্রাকমুহুর্তে কপালে একটা শীতল ঠোঁটের স্পর্শ টের পেল সাজ্জাদ ! নাকুন্দপাড়ার বাজারে একটা দোকান তখনো আধখোলা ছিল । দোকানি দোকান গুছিয়ে মাত্র ঘুমানোর পায়তারা করছিল । রিকশাওয়ালা করিম বিরক্ত হয়ে অজ্ঞান পেসেঞ্জারটাকে দোকানে নিয়ে এসেছে । সে কানে কম শুনে । পেসেঞ্জারটা খামাখা একটু আগে জোরেসোরে চিক্কুর পেড়ে রিকশা থেকে ফাল মেরে বেহুঁশ হয়ে গেছে । টর্চলাইট ভেঙ্গে হাতে কাঁচের টুকরো গেঁথে রক্তারক্তি কান্ড ! করিম বিরক্ত হয়ে গালি দেয় গোটা দশেক । মহামুসিবত ! - বিকেল চড়ুই

ধ্রুব খুব অবাক হয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো। প্রায় এক বছর পর তারার নাম্বার থেকে কল। মোবাইলের স্ক্রীনে খুব সুন্দর করে লেখা- STAR is calling… এক বছর আগে ধ্রুবর সাথে তারার ব্রেক আপ হয়ে যায়। সব ঠিকঠাক, হঠাৎ এক বৃহস্পতি বার রাতে তারা জানালো, “আমি রিলেশনটা কনটিনিউ করতে পারবো না। আমি সিরিয়াস।” ধ্রুব আধো বিশ্বাস আধো অবিশ্বাসে দুলতে দুলতে বললো, “কেনো? কী হইছে? দুস্টামি বাদ দাও…” তারা খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলো, “আমার আরো একজনকে ভাল লেগেগিয়েছে, তার সাথে রিলেশনও হয়েগিয়েছে। আমি সেটাই কনটিনিউ করতে চাই। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দেও…