৭ টি মুভি, যা আপনি আর একবার হলেও দেখবেন।

দ্যা প্রেস্টিজঃ
২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া নোলান এর প্রেস্টিজ মিস্ট্রি , থ্রিলার জনরার একটি মাস্টারপিস। দুই প্রতিভাবান ম্যাজেশিয়ান এর একে
অপরকে হারানোর চেস্টা তাদের ইগো প্রবলেম এর কাহিনি নিয়ে গড়া এই মুভি। তবে মুভির মুল আকর্ষন এর চমক গুলো। একটু পর পরই
আপনাকে চমকাতে হবে নোলান এর অসাধারন ভাবে গল্প সাজানোর জন্য। মুভিতে আছেন হিউ জ্যাকম্যান এবং ক্রিশ্চিয়ান বেল।

মাইন্ডহান্টারসঃ

৭ জন এজেন্টকে ট্রেনিং এর জন্য এফ.বি.আই একটি জনমানব শুন্য দ্বিপ এ পাঠায় । তবে সেখানে একটি নির্দিস্ট সময় পর পর একজন
করে এজেন্ট খুন হতে থাকে। খুনি কে? তাদের মধ্যে কেউ নাকি এখানে কেউ আগে থেকেই আছে। মুভিতে আপনার যাকে খুনি মনে হবে
দেখা যাবে একটু পর সেই খুন হয়ে গেছে। মুভি টা তাই শেষ করেও আরো একবার দেখতে হতে পারে।
অসাধারন এরটা ক্রাইম থ্রিলার।তবে মুভিটা ভালো রেটিং কেন পেলনা বুঝলাম নাহ।

শাটার আইল্যান্ডঃ

ডেনিস লেহানির বিখ্যাত বই শাটার আইল্যান্ডকে পর্দায় এনেছেন মার্টিন স্করসিস। সাথে লিওনার্দো। খুব বিখ্যাত একটি সাইকোলজিকাল থ্রিলার এটি।
মুভিটি হয়ত এতদিন এ কারোর ই অদেখা নেই। স্করসিস খুব দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করেছেন মুভিটা। শেষ চমকটি আপনাকে ধাক্কা দিবে। যা আপনাকে
মুভিটা আবার দেখার ইচ্ছা জাগাবে।

ইনসেপশনঃ

আবারো নোলান, তার প্রিয় একটা নন লিনিয়ার মুভি পাল্প ফিকশান থেকে অনুপ্রানিত হয়ে বানিয়ে ফেললেন নন লিনিয়ার সাই-ফাই থ্রিলার ইনসেপশন।
মুভিটা বেশির ভাগ মানুষই অল্প দেখে গল্প বুঝতে না পারায় ফেলে রাখে। মুভিটা আসলেই বুঝা একটু মুশকিল। তবে কঠিন কিছু নাহ। তবে একদমই বুঝতে না
পারলে বাংলা সাবটাইটেল এর সাহায্য নিতে পারেন। মুভির শেষে নোলান একটি প্রশ্ন রেখে যান , যার উত্তর তিনিও কখনো দেননি। বলেছেন দর্শকদের নিজের
যুক্তি মত ভেবে নিতে।

ফাইট ক্লাবঃ

সর্বকালের সেরা শকিং মুভির লিস্ট এ অনেকেই ফাইট ক্লাবকে ১ নম্বরে রাখেন । আমি নিজেও খুব বড় ধাক্কা খেয়েছি এটি দেখে।
গুনি পরিচালক ফিঞ্চার খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন একই নামের উপন্যাসটিকে। সাথে ছিল ব্রাড পিট ও এডওয়ার্ড নর্টন।
মুভির অর্ধেক দেখে বোরিং ভেবে যারা মুভি অফ করে দেন তাদের জন্য খুব বড় একটা মিস এই মাস্টারপিসটি। মুভিটি আমি টানা দুবার দেখেছিলাম।
প্রথমবার ধাক্কা খেয়েছি। পরেরবার মুগ্ধ হয়েছি।

দ্যা ইউজুয়াল সাসপেক্টজঃ

মিস্ট্রি থ্রিলার জনরার আমার সবচেয়ে প্রিয় মুভি এটি। এই মুভি নিয়ে কিছু লিখতেই ভয় লাগে। মনে হয় যে স্পয়লার হয়ে যাবে।
মুভির একটা চরিত্রে আল পাচিনোকে চেয়েছিলেন ডিরেক্টর। পাচিনো না করে দিয়েছিলেন।পরে এটাকেই তিনি জীবনের একটা বড় ভুল ডিসিশন বলে জানান।
মুভিটা আমি দুইবার নাহ, কতবার যে দেখেছি তার হিসাব নেই। এটা দেখার পরই এর একজন অভিনেতা আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতার লিস্ট এ জায়গা
করে নিয়েছে।

দ্যা সিক্সথ সেন্সঃ

সবচেয়ে বেশি চমক পেয়েছিলাম এই মুভিটা দেখে। মুভি দেখে শুরু করার প্রথমদিক কার মুভি আমার। ভারতীয় বংশদ্ভুত ডিরেক্টর স্যামলান এর এক অসাধারন
সৃস্টি এই মুভি। সারপ্রাইজিং ক্লাইম্যাক্স এর লিস্ট এ এই মুভিটি সবার উপরে থাকে।
পেয়েছিল ৬ টা অস্কার নমিনেশন , এই মুভিটিও আপনি ২য় বার দেখতে বাধ্য।
আরো পরুন- রোমাঞ্চকর এক অভিযান- The Secret Life of Walter Mitty…

Related posts