ইয়ার ফাইনাল ; কিছু পাতা অধ্যয় ৬

ইয়ার ফাইনাল:

ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার আর মাত্র ১০ দিন বকি, দেখতে দেখতে আমাদের কলেজ জীবনের অর্ধেক শেষ। পরীক্ষার সময় আমাদের দেখা হবে না। কারণ, ছেলে-মেয়ে আলাদা ক্লাসে পরীক্ষা হবে। আবার কলেজ ও ছুটি দিবে, কিভাবে যে এ সময়টা কাটবে ভাবতেই কষ্ট হয়। পরীক্ষার সুপার ডুপার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছিলাম। শুরুর থেকেই মাঝে মাঝে কয়েকটা দিন ক্লাশ ফাকি দিয়েছি বলে এখন একটু কষ্ট হবে।

দেখতে দেখতে সবগুলো পরীক্ষা শেষ, বলতে গেলে সবগুলো পরীক্ষাই খুব ভাল হয়েছে। অনেক দিনের জন্য কলেজ ছুটি দিচ্ছে। খুব কষ্ট লাগছে যে, প্রিয়ার সাথে দীর্ঘ এ সময়টা না দেখা করে থাকবো কি করে। আজ শেষ পরীক্ষা ছিলো, পরীক্ষার পর প্রিয়াকে নিয়ে হাটতে যাচ্ছি। দু’জনেই চুপচাপ, অনেকগুলো সময় পর প্রিয়া নীরবতা ভেঙ্গে বলে উঠলো: পরীক্ষা কেমন হয়েছে?
: ভাল, খুব ভাল, তোমার?
: মোটামুটি, আচ্ছা এতদিন কিভাবে কাটাবে?
: জানি না।
আবার দুজনে অনেকটা সময় চুপ থাকার পর আমি বললাম ,
:বন্ধেতো ঢাকাতেই আছো?
:হ্যাঁ। ও ভাল কথা আমি একটা মোবাইল নিচ্ছি।
আমার নাম্বারটা হচ্ছে: ০১৭১৫-…………
কল দিবা, ঠিক আছে, কিপটামি করবে না।
: যে কোন সময় কল দিলে তুমিই ধরবে?
: হ্যাঁ। তবে যদি আমি না ধরি তাহলে কেটে দিবে।
: বুঝবো কেমনে?
: যদি আমি ধরি তাহলে, হ্যাঁলো না বলে হাই বলবো। ঠিক আছে। আর আমিও ফোন করলে তুমি হাই বলবে তা হলে আমিও বুঝতে পারবো যে তুমিই।
: আচ্ছা ঠিক আছে।
: আর তুমি কি ঢাকাতেই ছুটি কাটাবে?
: হ্যাঁ, বেলায়েত স্যারের কাছে পড়তে হবে তো তাই হয়তো কোথাও যাওয়া হবেনা।
: প্রতিদিন পড়তে যাও?
: হ্যাঁ
স্যারের বাসাটা কোথায়?
: মুক্তির সিনামা হলের সামনের বাড়িটা ৮/৫ এর।
: ও চিনেছি।
: কেন?
: এমনি, আচ্ছা তুমি কল দিও।
আরও কিছুক্ষণ এভাবে কথা বলার পর আমরা আমাদের গন্তব্যে প্রায় চলে এলাম। ছোট একটা বিরতির পর আমি বললাম
: আমাদের আবার দেখা হবে তো?
: কেন, ভয় হয় তোমার? ভয় নাই তোমার প্রিয়া তোমারি থাকবে আজীবন।
: সত্যি কথা?
: কেন মিথ্যা হবে, প্রিয়া তোমার ছিল তোমারই থাকবে।
: আচ্ছা শুনো তুমি ঈযধহমব পেলেই কল দিবে ঠিক আছে।
: হ্যাঁ বাবা ঠিক আছে, তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করবে না।
ঠিক মত খাওয়া-দাওয়া করবে, আর রাতে ভাল মত ঘুমাবে।
: তুমি কি পারবে আমাকে ভুলে থাকতে?
: জানি না।
এরপর প্রিয়াকে বিদায় দিয়ে, কিছুক্ষণ ঐখানেই দাড়িয়ে থেকে তারপর আবার আমার গন্তব্যের পথ ধরলাম।

সারাদিন সারারাত আমার প্রিয়ার কথা ভেবে ভেবেই কেটে যায় কলেজ ছুটি দিয়েছে তিনদিন হয়ে গেছে, কিন্তু এরমধ্যে প্রিয়া একবারও আমাকে কল তো দূরের কতা একটা মিস কলও দেইনি। মাঝে মধ্যে খুব ভয় হয় ও কি আমাকে ভুলেই গেলো? নাহ্ প্রিয়া এমনভাবে আমাকে ভুলতে পারে না, তবে কি ও আমার কথা একবারও ভাবে না? ওর কি জানতে ইচ্ছে করে না আমি কেমন আছি? ওর কি বলতে ইচ্ছে করে না আমি তোমাকে ভালবাসি। ধ্যাত, বাজে বাজে সব চিন্তা আমার মাথাটা খাচ্ছে।

সারাদিনে তো একটাই কাজ বেলায়েত স্যারের কাছে যাওয়া আর আসা, তাই প্রতিদিনের মত আজও স্যারের কাছে যাচ্ছি পথে রহিমের সাথে দেখা, দুজনে দুজনে কথা বলতে বলতে উপস্থিত। রহিম কে বিদায় দিয়ে স্যারের কাছে চলে এলাম। স্যার প্রথমে জিজ্ঞাসা করলো: কি কেমন আছ? পড়াশুনা কিছু হয়েছে?
: জ্বি স্যার।
: ও ভাল কথা কাল থেকে তোমার সাথে আরেকজন স্টুডেন্ট পড়বে, তোমাদের কলেজেরই স্টুডেন্ট, তোমার সমস্যা আছে?
: না স্যার।
মনে মনে রাগ হলাম, একাই সময় নিয়ে টানাটানি হয়ে যায় আবার আরেকজন? কিন্তু, মুখে কিছুই বললাম না কারণ আজকে আমার পড়াটা হয়নি, কিছু বললে পরে আবার ছ্যাচা দিতে পারে। আল্লাহর রহমতে শেষ মেষ আর ছ্যাচা খেতে হয়নি আমার, বেঁচে গেলাম আজকের মত।

রাতে টেবিলে বসে কালকের পড়াগুলো পড়ে তারপর খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে চলে গেলাম।

নতুন চমক:
সকাল থেকেই ভাবছি, কার সাথে আবার কোচিং করতে হবে? কি যে সমস্যা তার উপর আবার আমাদের কলেজেরই কারণ, মাঝে মধ্যে স্যারকে নয়-দশ বুঝ দিয়ে তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করি। এখন যদি আরেক জন যোগ হয় আমার সাথে আর সে যদি সুফি হয়ে থাকে তাহলে তো আমার আর ফাকি দেওয়া হবে না।

সকাল বেলা স্যারের কাছে পড়তে এসেছি প্রায় ১০-১৫ মিনিট হয়ে গেছে কিন্তু স্যারের কাঙ্খিত স্টুডেন্ট এখনও আসেনি। খুশিই লাগছে কারন একা আছি ভাল আছি কিন্তু স্যার অপেক্ষা করছে এমনভাবে মনে হচ্ছে স্যার ১০০% ঝঁৎব যে নতুন স্টুডেন্ট আসবেই আসবে। হঠাৎ টিং টিং করে বেল বেজে উঠলো….. স্যার দরজা খুলে বলেলন,
: কে?
: স্যার, ভাল আছেন, আমি?
: ও আপনি, ভাল আছেন?
: জ্বি, ওকে সাথে নিয়ে এসেছি তো আজ থেকেই পড়াশুনা শুরু করে দেন। তাহলে আমি আসি।
স্যার তার নতুন স্টুডেন্ট কে নিয় ব্যস্ত হয়ে পরেছে মনে হচ্ছে, আমি নিচের দিকে তাকিয়ে অংক করছি। নতুন স্টুডেন্ট কে ড্রইং রুমে বসালেন আমি যখন নতুন ছিলাম তখন আমাকে ড্রইং রুমে বসানো হতো কিন্তু এখন আমি তো পুরান হয়ে গেছি, তাই না? স্যার সাহেব হয়তো ভুলে গেছেন যে, ওল্ড ইজ গোল্ড। এ সূত্র মতে কিন্তু আমিই গোল্ড, থাক অংক করি কাজে লাগবে। আধা ঘন্টা হয়ে গেছে প্রায় ইঁঃ স্যারের কথার শেষ নাই।

আরও কিছুক্ষণ পর আমাকে ডাক দিলেন স্যার। সম্ভবত ওহঃৎড়ফঁপব করিয়ে দিবেন। স্যার আবার ডাকলেন, মেহেদী এ ঘরে একটু আসত।
: জ্বি স্যার, আসছি।
আমি ঘরে ঢুকতেই চমকে উঠলাম, মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ল দেখছি, এ আমি কি দেখছি, আমি, আমি ঠিক বুঝতেই পারছি না।
স্যার আবার বললেন: ওর নাম মেহেদী, ও আমার কাছে অংক পড়ে, ভাল ছাত্র, তুমি কি ওকে চিনো?
: না স্যার,
: ও তোমাদের কলেজেরই স্টুডেন্ট বলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর আমার দিকে তাকিয়ে স্যার বললেন: মেহেদী, ওর নাম প্রিয়া ও তোমাদের কলেজেরই ছাত্রী। আমি সব দেখছি কিছুই বলতে পারছিনা স্বপ্নের মতই মতে হচ্ছে সব।

প্রথম দিন স্যারের পরিচয় পর্ব শেষ করতে করতেই সময় শেষ হয়ে গেলো। আর আমি আর প্রিয়া এমন ভাব করলাম যে দু’জন দু’জনকে কোন দেখাত দুরের কথা চিনিই না। কোচিং শেষে প্রিয়া প্রিয়ার বাবা মানে আমার শ্বশুর আব্বার সাথে চলে গেল, আর আমি রহিম ভাই এর সাথে চলে এলাম।

সবকিছু চিন্তা করে মনে হচ্ছে আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান এবং সুখি কারণ আজ যা ঘটেছে তা আমি কোনদিনও কল্পনাও করতে পারিনি। রাত ১২ টা বেজে গেছে তার পরও চোখে একফোটা ঘুমও নেই, প্রিয়ার কথা ভাবছি যতই ভাবি ততই ভাল লাগছে।

সকাল সকাল স্যারের বাসায় উপস্থিত, স্যার গোসল করতে গেছে, এর মধ্যে বেল বেজে উঠলো, বুঝতে আর বাকি নেই প্রিয়াও হাজির।
: কে ?
: আমি, স্যার। আমি প্রিয়া।
দরজা খুলতেই আমার চোখের টিপ টিপ বন্ধ হয়ে গেছে, রক্ত চলাচলও থেমে গেছে, আর হাত-পা সব যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে, কে এটা? এটা কি আকাশের ওই চাঁদ নাকি চাঁদ রূপি কোন মানুষ…..

আমি প্রিয়াকে কলেজ ড্রেসে ছাড়া এই প্রথম খেয়াল করে দেখলাম কোন দিন ভাবতেও পারি নাই যে আমার প্রিয়া এতো সুন্দর, লাল একটা শর্ট কামিজ, ঠোটে হালকা লিপিষ্টিক সাথে এক কেজি মিষ্টি হাসি ফ্রি, সেই ফ্রি হাসির সাথে আবার একটা ঈড়সসড়হ প্রশ্ন ও আছে,
: কেমন আছ তুমি?
যেহেতু ৯৯% কমন প্রশ্ন তাই উত্তরটা অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো, তাই উত্তর দিতেও দেরি করিনি।
: তোমাকে না দেখে আমি কেমন থাকতে পারি তাতো তোমার ভাল করেই জানার কথা।
: স্যার কোথায়?
: বাথরুমে।
ভিতরে ঢুকে বসে স্যারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আরও ১০ তেকে ১২টা ঈড়সসড়হ প্রশ্নের উত্তর দিলাম।

দেখতে দেখতে কলেজও শুরু হয়ে গেল। এখন কলেজে একবার আবার কলেজ শেষে বিকালে স্যারের বাসায় একবার মোট দুবার দেখা হয় প্রায় দিনের অর্ধেক সময় প্রিয়া আমার সাথে থাকে। এসময় হাজার হাজার কথা হয় তারপরও যেন মনের মধ্যে আরও লক্ষ লক্ষ কথা রয়ে যায়। যতই কতা বলি ততই নতুন নতুন কথা মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়।

ইয়ার ফাইনাল এর রেজাল্ট দিয়েছে, খুব ভাল হয়েছে, গধঃয অ+. তাই, বেলায়েত স্যার তো আরও খুশি। এখন আমি সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট আজ বাদে কাল হয়ত আমি বুয়েট এর ঝঃঁফবহঃ হয়ে যাব। জীবন ভাল ভাবে কেটে গেলে জীবনকে নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। তাই আজ আমার আর কোন চিন্তা নেই। এদিনগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়, দিনগুলো এত দ্রুত চলে যাচ্ছে যে আমি বুঝতেই পারছি না যে কত ঘন্টায় একদিন আর কথ দিনে এক সপ্তাহ, কত সপ্তাহেই বা এক মাস আর কত মাসেই বা এক বছর হয় সব ভুলেই গেছি।

অনেক দিন হয়েছে রহিমের সাথে দেখা হয়না। কিন্তু তা নিয়ে ভাবার মত সময় এখন আমার কাছে আর নেই। সারাদিন ব্যস্ত কলেজ আর কোচিং। আর কোচিং করতে করতেই দিন শেষ। হঠাৎ আজ অনেক দিন পর রহিমের কথা মনে পরে গেলো, ভাবছি ওর সাথে অনেক দিন দেখা হয়নি। ওকি ঢাকা থেকে চলেই গেলো নাকি রহিমও আমার মত সুখি জীবনের অধিবাসি তাই আমাকে নিয়ে ভাবার মত সময় ও হয়তো বা পায় না।

সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না কথাটা সত্যি। যদি বলা হয় সময় আলোর চেয়ে গতিশীল তাহলেও হয়তো ভুল হবে না। কারণ, দেখতে দেখতে পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে আসছে টেস্ট পরীক্ষার রুটিন ও দিয়ে দিয়েছে।

টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়ে আবার দেখতে দেখতে এক এক করে ১২টা পরীক্ষাই শেষ হয়ে গেল। আমাদের এইচ. এস.সি পরীক্ষার আর মাত্র তিন মাস বাকি। মনে হচ্ছে মাত্র কয়টা দিনপূর্বে এস.এস.সি দিলাম, দেখতে দেখতে এরিমধ্যে দেরটা বছর পার হয়ে গেল। তারপরও কেন যেন আমার মনে হয় আমি যেন প্রিয়াকে হাজার বছর ধরে চিনি। ওর চেহারার দিকে তাকালেই আমি যেন বুঝতে পারি ও কি বলতে চাচ্ছে। সম্ভবত পূর্বের জন্মে আমরা দুজন দুজনের খুব আপন ছিলাম কিন্তু এখন হয়ত মনে করতে পারছি না।

টেস্ট এর পর দুজনে কোচিং-এ ভর্তি হলাম, কোচিং শেষে আবার বেলায়েত স্যারের কাছে পড়তে যাই। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ-ছয় ঘন্টা এক সাথে থাকি, আবার রাতে মোবাইলে ফিস ফিস করে সুইট সুইট, ভেরি সুইট কথা হয়। এভাবেই চলতে থাকলে। আমার সুখের জীবন এইচ.এস.সি এর শেষের দিনগুলো।

ফোনটা রিসিভ করলাম যেহেতু আনকমন নাম্বার তাই প্রথমেই রিসিভ করে; আচ্ছালামু আলাইকুম, কে বলছেন?
ওপাশ থেকে একটি মেয়ে কন্ঠ ফিস ফিস করে উত্তর দিলো,
: হ্যাঁ আমি,
: আমি, ঠিক চিনলাম না। কে বলছেন?
: আমি প্রিয়া।
: ও প্রিয়া, তুমি আমাকে কল করবে আমি ভাবতেও পারি নাই।
: কি ঘুমাও না কেন?
: তোমার কথা ভাবছিলাম তো তাই আর তুমি?
: আমি পড়ছিলাম।
: এতো রাত পর্যন্ত পড়?
: হ্যাঁ। কেন তবে কি আমি তোমার কথা ভাবব নাকি?
: ভাবতেও তো পার। তাই না?
: ঠ্যাকা পড়েছে, আমার রাত জেগে তোমার কথা ভাবতে হবে। আমি কি তোমার মত রোমিও নাকি?
: না তুমি রোমিও হবে কেন তুমি তো জুলি তাই না?
: চুপ কর। যে না আমার রোমিও তার আবার জুলি?
: থাক এসব কথা, আচ্ছা তুমি আমার প্রশ্নের উত্তরটা তো দিলে না?
: আমি তোমাকে ভালবাসতে পারি একটা শর্তে,
: একটা কেন হাজার শর্ত মানতে রাজি আছি।
: শর্তটা হচ্ছে তুমি আমাকে যতটা কাঁদিয়েছো ততোটা কাঁদতে হবে, পারবে?
: তুমি বললে মরতেও পারব আর কাঁদতে পারবো না কি যে বল তুমি,
: আচ্ছা বাই বাই কালকে দেখা হবে।
: তাড়াতাড়ি আসবে দয়া করে।
: তুমি ১১:৩০ এর মধ্যে উপস্থিত থাকবে বলতে বলতে লাইন টা কেটে দিলো।

ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত একটা পেরিয়ে গেছে। টেবিল থেকে উঠে বাথরুমে যাবো এরমধ্যে আব্বু ডাক দিয়ে বললো; কি রে এতো রাতে এখনও তুই ঘুমাসনি?
: না আসলে কালকে পরীক্ষা তো তাই, পড়ছিলাম একটু।
: তাই কি পরীক্ষা?
: পদার্থ
: পদার্থ পরীক্ষা?
: হ্যাঁ
: ভাল করে পড়ছিস তো, চৎবঢ়ধৎধঃরড়হ কেমন?
: ৫০% তো দিয়েই দিয়েছি।
: মানে?
: কঠিন চৎবঢ়ধৎধঃরড়হ ১০০% বলতে গেলে ৫০% পরীক্ষা দিয়েই দিয়েছি। বাকি আর ৫০% আছে, দিলেই বিয়েতে পাস।
: মানে কি?
: মানে বি.এ সরি এইচ. এস.সি এর ৫০% চৎবঢ়ধৎধঃরড়হ পড়সঢ়ষবঃব বাকি ১০০% হলেই পরীক্ষায় পাশ হয়ে যাবো।
আরও কিছুক্ষণ ওল্টা পাল্টা বকবক করে এড় ঃড় ংষববঢ় করলাম।

অনেকদিন পর রাতে একটু শান্তির ঘুম হয়েছে, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গধঃয টা করে নিলাম তারপর আরও কিছুক্ষণ পড়ার পর একেবারে ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বেলায়েত স্যারের কাছে চলে আসলাম। পড়া শেষ করে কলেজে পথে … করলাম পথেই রহিমের সাথে দেখা, খুব ফিট ফাট অবস্থা, আমি জিজ্ঞাসা করলাম; কি খবর?
: ভাল
: রিকশা লই নাই আজকে, প্রেমিকার লগে রমনা পার্কে যামু, আমারে কেমন লাগতাছে ভাই?
: খুব হ্যাঁন্ডসাম।
: মানে?
: খুব সুন্দর।
: ভাই কাইলকা দেখা হইবো, আমি যাইগা। বলেই দৌড়ের গতিতে হাটতে হাটতে চলে গেলো।

আমি একটা রিকশা নিয়ে কলেজে চলে এলাম। প্রিয়া আমার আগে এসে হাজির হয়েছে। গেটের সামনে দাড়িয়ে আছে। আসতে না আসতে প্রিয়ার প্রশ্ন শুরু হয়ে গেছে কি ব্যাপার এতো দেরী কেন?
: স্যারের কাছে গিয়েছিলাম না।
: আমার সাথে প্রেম করলে প্রতিদিন আমার আগে আসতে হবে।
: জ্বি ম্যাডাম, অবশ্যই আসবো।
তারপর আরও কিছু কঠিন প্রশ্নের সহজ উত্তর দিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম। তারপর আবার ক্লাশ শেষে একসাথে হাটতে হাটতে চলে আসি। দেখতে দেখতে এভাবে অনেকগুলো দিন পার হয়ে গেলো।

.: কিছু পাতা । মেহেদী মেনাফা :.

একটি ভালবাসার গল্প

edited

“কিছু পাতা”উপন্যাসটি আমার জীবনের কিছু সত্য এবং কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা। এটাই আমার জীবনের প্রথম লেখা উপন্যাস, তাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।

(if you can’t read cause of Bangla text, you can try image format at this link http://www.black-iz.com/vinnokobor/kisupata.html) (Also you can download this book from this link @ http://www.black-iz.com/kp/kisupata.doc)

Muhammad Mehedi Menafa at facebook : www.facebook.com/muhammadmehedimenafa

 

 

Related posts