ফাইভার এর ধারাবাহিক টীউটোরিয়ালঃ-৩

fiverr

ফাইভার নিয়ে অনেকেই অনেক রকম প্রশ্ন করে আমার ইনবক্সে। সবার একটা কমন প্রশ্ন ভাই আমার একাউন্ট ডিজেবল হয়ে গেছে আমি কি সেইম পিসি দিয়ে আর একটা একাউন্ট খুলতে পারবো। এছারা অনেকেই অনেক প্রকার প্রশ্ন করে। সব গুলোর উত্তর আমি দিয়ে দিবো ইন্সাল্লাহ। যায় হোক আজকে একাউন্ট খুলা নিয়ে কথা বলবো।
ফাইবারে আপনি যদি ফাইভার নিয়ে আমার পূর্বের স্টাটাস টা পরে থাকেন তাহলে এতদিন ফাইভার ব্রাউজ করে ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন। এবং কি কাজ করবেন ঠিক করে ফেলেছেন। যদি করে ফেলেন তাহলে পরের লাইন পড়বেন না ঠিক করে ফেললে পরের লাইন পড়ার দরকার নাই।

আসুন ফাইভারে একাউন্ট খোলা ও পরের ব্যাপার গুলো নিয়ে আলোচনা করি।
ফাইভারে একাউন্ট করতে হইলে আপনাকে একটা মেইল এর প্রয়োজন পরবে। আসলে যে কোন একাউণ্ট খুলতে হইলে একটা মেইল এর প্রায়োজন পরবে। আপনি অবশ্যই জিমেইল খুলবেন। এবং সেই জি মেইল দিয়ে আপনার একটা প্রফেশনাল লুকিং ফেইসবুক খুলবেন এর কারন হচ্ছে ফাইভারে একাউন্টএ সোসাল মিডিয়া একাউন্ট জয়েন্ট এর জন্য ফেইসবুক আর গুগল প্লাস এর অপশন আছে। এইগুলো জয়েন না করারে সমস্যা নাই তবে জয়েন করালে বহুবিধ সুবিধা আছে। কি সুবিধা আছে পরে জানাবো।
আপনার জিমেইল টা অবশ্যই ফোন নাম্বার ভেরিফাই করবেন।

এবার একাউণ্ট খোলার পালাঃ
প্রথমে www.fiverr.com এ যাবেন। এর পরে স্টার্ট সেলিং এ ক্লিক করে আপনার মেইল এড্রেস টা দিন। এর পর আপনার ইউজার নেইম চাবে আর পার্সওয়ার্ড চাবে। অন্যান্য স্থনে একাউন্ত খুলতে হলে দুইবার পার্সওয়ার্ড দিতে হয় কিন্তু ফাইভারে এক বার দিতে হয়। ইউজার নেইম টা আপনার সার্ভিস রিলেটেড হইলে ভালো হয়। যেমন আপনার নাম আকাশ। আর আপনি ওয়ার্ড প্রেস রিলেটেড সার্ভিস দেন তাহলে WpAkash অথবা WP_Akash এই টাইপের কিছু দিবেন। সেখেন সেটা এভেইল এবল আছে কি না। এর পরে সেই মেইলে আপনার একটা কনফারমেশন লিংক যাবে সেটিতে ক্লিক করুন। এর পর আপনার একাউন্টে ঢুকবেন। দেখবেন উপরে একটা কালো বার আছে। সেখানে সবার ডানে আপনার একাউন্ট নেইম আছে। ঐখানে মাউস পয়েন্টার ধরলে ড্রপ ডাউন আসে। ড্রপ ডাউনের প্রতিটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপনার একাউন্ট নেইম এর ঠিক বামে আছে সোপিং কার্ট সেটা দিয়ে আপনি ফাইভারে কি কি কিনেছেন সেটা ম্যানেজ করতে পারবেন। ঠিক তার বামে আছে ম্যাসেজ অপশন। সেটাতে ক্লাইন্টের সাথে ম্যাসেজ আদান প্রদান করতে পারবেন। এর পরে আছে নটিফিকেইশন। এর বামে আছে ড্যাশবোর্ড। এইটা একটা টীক চিনহের আইকোন। আপনি একাউন্ট খুলেই টিক চিন্নের এইখানে দেখবেন একটা ব্লু ডট আছে। সেখানে ক্লিক করলে আপনাকে ৩ টা জিনিস করতে বলবে।

১। গিগস খুলতে
২। একাউন্টের সিকিউরিটি কোয়েশ্চেন সেট করতে।
৩। একাউন্ট সেটিং রেডি করতে বলবে।

একাউণ্ট খোলার পরে আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে একাউণ্ট সেটিং ঠিক করা। আপনি একাউন্ট সেটিং রেডি করতে একাউন্ট সেটিং রেডী করার জন্য যেখানে ম্যাসেজ দেওয়া আছে ঠিক তার ডানে একটা বাটন আছে সেটাতে ক্লিক করলে আপনার প্রফাইল পিকচার দিতে বলা হবে। আপনি সেখানে প্রফাইল পিকচার দিবেন।
আজকে শুধু একাউন্ট রেডি নিয়ে কথা বলবোঃ
আপনি কোন ধরনের প্রফাইল পিকচার দিবেন?
আপনার একটা প্রফেশনাল প্রফাইল পিকচার দিবেন। অনেকেই প্রফাইল পিকচার বলতে বুঝায় টাই সার্ট প্যান্ট পড়ে বুক টান করে মুখ বুঝে একেবারে টান টান হয়ে ছবি বোঝায়। দয়া করে এই টাইপের কিছু দিবেন না। আপনি একটা সিম্পল টি শার্ট পড়ে অথবা শার্ট পরে সুন্দর করে লাইট দিয়ে এংগেল পজিশনে হাস্যজ্জল অবস্থায় একটা ছবি তুলবেন। সেটা অবশ্যই জীবন্ত লাগে যেন। কোন প্রকার ফ্যাজলামু করতেছেন তা যেনো মনে না হয়।
আমি কি আমার লোগো বা কোন কার্টুন পিকচার দিতে পারবো?
জি পারবেন তবে নিজের ছবি দেওয়া উত্তম।
কোণ ফরমেট এ দিতে পারবো?
অবশ্যই জে পি জি তে দিবেন। পি এন জি ফরমেট এক্সেপ্ট করে কিন্তু যদি আপনার পি এন জির ব্যাগরাউন্ড ট্রান্সপারেন্ট হয় তাহলে ছবিটা খারাপ লাগবে। পিছনে কালো হয়ে যায়।
সাইজ কত দিবো?
সাইজ হবে পিকজেলে এবং ১৮০ x ১৮০ পিকজেলে দিবেন। আর ছবিটা এই মাপে এমন ভাবে দিবেন যাতে দেখতে ভালো লাগে। অতিরিক্ত চাপা বা লম্বা বা সাইডে মোটা করবেন না। সুন্দর করে ছবি দিবেন।
ছবির তো ব্যাপার হয়ে গেলো এইবার আসুন ডেস্ক্রিপশন এর ব্যাপার।
ডেস্ক্রিপশন আপনি অবশ্যই সুন্দর করে লিখবেন। গ্রামার শুদ্ধ হয় যাতে আর কোন কঠিন ওয়ার্ড ইউজ করবেন না। আপনি কে কোথা থেকে সার্ভিস দিচ্ছেন। আপনি কি কি কাজ পারেন। আপনার কত দিনের এক্সপেরিয়েন্স আগে কোথায় কাজ করতেন কেনো ফাইভারে আসতেন সেটা প্যারাগ্রাফ আকারে লিখতে হবে।
কিছু প্রশ্নঃ
ভাই আমি বাংলাদেশ থেকে বলতেছি এইটা লেখার দরকার আছে?
চাইলে লিখতে পারেন কন সমস্যা নাই। না লিখলে সমস্যা নাই
ভাই আমি কি আমার কাজের লিংক সেখানে দিতে পারবো?
না পারবেন না।
ভাই আমি কি সেখানে আমার মেইল বা স্কাইপ এড্রেস দিতে পারবো?
না ভাই পারবেন না। মেইল বা স্কাইপ দিলে একাউণ্ট সাথে সাথে ব্যান হবে
এর পর আপনার ল্যাংগুয়েজ সেটিং আর কতসময় অনলাইনে থাকবেন সেগুল দিতে হবে। সেগুল সেট করে নিবেন। এর পর সেইভ করবেন।
এর পর আপনার একাউন্টের সিকিউরিটি কোয়শ্চেন সেটিক করে নিবেন।
এর পর গিগস খোলার পালা। এই গিগস খোলা খুবই ইম্পোটেন্ট জিনিস এইটা নিয়ে পুরো একটা পর্ব লিখতে হবে। আপনারা একটু ওয়েট করেন। গিগস খোলা হয়ে গেলে ফাইভারে আপনার ৭০% কাজ শেষ এর পর কিছু ট্রিকস আছে সেগুল জানতে হবে আর নিয়মিত কাজ পাওয়া যায় কিভাবে সেগুলো নিয়ে জানতে হবে। আর একাউন্ট ব্যান না হয় কিভাবে সেগুলো জানতে হবে। ফাইভারে একাউণ্ট ব্যান হয় ঠুক কথাতেই সেটা মাথায় রখবেন।
বিঃদ্রঃ এই লেখাটি আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে জানানোর সুযোগ করে দিন। আর কারো যদি কোন পাব্লিক ব্লগ যেমন টেকটিউন্স বা সামহোয়াইর ইন ব্লগ বা অন্য কোথায় আইডি থাকে তাহলে সেদিকেও দিতে পারেন। আমার উদ্যেশ হচ্ছে মানুষের যাতে কাজে লাগে লেখাটা কোন ব্লগে থাকলে ইজিলি পাওয়া যাবে। স্টাটাস কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে। যে কোন যেখানে ইচ্ছা শেয়ার করতে পারবেন বাট আমাকে ক্রেডিট দিতে হবে।

Related posts

Leave a Comment