তারা আর ধ্রুবর গল্প (একটা সত্য ঘটনা)। মেহেদি মেনাফা!

রাস্তাটা এবড়োখেবড়ো । রিকশাওয়ালা উল্কার বেগে রিকশা চালানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছে সম্ভবত । সাজ্জাদ ঝাঁকুনি খেতে খেতে ভাবছিল বাড়ি পৌঁছানোর আগে গায়ের হাড়গোড় আস্ত থাকলে হয় ! রাত বাজে আড়াইটা । এত রাতে রিকশার প্রতিটা ঝাঁকুনি যে পরিমান বিকট শব্দ তৈরি করছে তা আর কিছুক্ষন চলতে থাকলে গাঁয়ের লোকজন ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসবে লাঠি সোটা নিয়ে । এক পাশে ছোট একটা খাল অন্য পাশে ধানী জমি । মাঝে শিমলতা ,সুপারি,নারকেল গাছ আর বুনো ঝোপঝাড়ে ছাওয়া কাঁচা পাকা রাস্তা । ঝিঁঝিঁ ডাকছে ক্লান্তিহীন । রিকশার টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো আর সাজ্জাদের হাতে ধরা টর্চটার আলো নিশুতি রাতের আঁধার কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে । রিকশাওয়ালা জোয়ান মরদ । গায়ে জোর আছে বেশ । খুব দ্রুত তালে প্যাডেলে পা চালাচ্ছে । একটু কেমন যেন । সরকার বাড়ির দক্ষিনে নাকুন্দপাড়া কমসে কম দশবার বলার পর তারপর রিকশাওয়ালা চুপচাপ মাথা হেলিয়ে রিকশায় ওঠার ইঙ্গিত করেছে । সরকারবাড়ির সামনে আসতেই একটা দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । কত দিন পর এই দৃশ্যটা দেখছে সে ! ছোটবেলায় একদিন বাবার হাত ধরে গভীর রাতে হাট থেকে ফেরার সময় ঠিক এই দৃশ্যটা দেখে সে থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিল । । বিশাল দীঘির একূল ওকূল চোখে পড়েনা । শ্বেত পাথরে বাঁধানো ঘাট । মাঝদীঘিতে একরাশ শাপলা ফুটে আছে । শাপলাবন ঘিরে হাজার হাজার জোনাকের নাচের আসর । দীঘির অন্ধকার জলে ফোটা ফোটা জোনাক আলোর ছায়া । নিশুতি রাতের হিম বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে দীঘির কালো জল । মনে হচ্ছে আকাশের সব নক্ষত্র জলের মায়ায় দীঘিতে নেমেছে । তন্ময় হয়ে তাকিয়েছিল সাজ্জাদ । ব্যাগটায় হাত বুলিয়ে তৃপ্তিতে চোখ মুদল ও । আজ চাঁদ উঠলে পরশু ঈদ । ছেলেটার জন্য সোনালি সুতোয় বোনা পাজামা পাঞ্জাবি আর আয়েশার জন্য শাড়ি আলতা চুড়ি । শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের জন্যেও অনেক কিছু কিনেছে । সারাদিনের ক্লান্তিতে গা ভেঙ্গে আসতে চাইছে ওর । । ঢাকা থেকে দিনাজপুর সহজ জার্নি নয় । একটা বেসরকারি ফার্মে চাকরি করে সাজ্জাদ । । দিনরাত গাধার খাটনি । বেতনও অত বেশি নয় । সাতপাঁচ ভাবছিল । গোরস্থান ঘেষে যাওয়ার সময় বাবা মায়ের কবরের বেড়াটা চোখে পড়ল ওর । একটু বিমর্ষ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । গতবছর মা একটা শাড়ি চেয়েছিল । সাদা শাড়ি । সাজ্জাদ সবার জন্য কেনাকাটা করেছিল সেবার । ওর শালা সম্বুন্ধী শ্বশুর শাশুড়ি সবার জন্য । শুধু মায়ের শাড়িটা কিনতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিল ।সেই ঈদের দুদিন পরেই মা মারা গিয়েছিলেন । কাফনের সাদা কাপড়ে জড়ানো মায়ের পা ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল সাজ্জাদ । একটু ঝিম ধরেছিল । রিকশার তীব্র ঝাকুনিতে সচকিত হলো সে। হঠাত্ খেয়াল হলো ওর একটু যেন বেশিই নীরব হয়ে গেছে আশপাশ । গা ছমছম করা নিস্তব্ধতা নেমেছে রাস্তা জুড়ে ! ঝিঁঝির ডাক থেমে গেছে । একটু গা শিরশির করে উঠল বিনা কারনে আর টর্চটা শক্ত হাতে আকড়ে ধরল সাজ্জাদ । কি ভেবে পিছন ফিরল ও । রিকশার হুডের ফাঁক দিয়ে ফেলে আসা রাস্তাটার দিকে তাকাল ও । চমকে উঠে চোখ বড় বড় হয়ে গেল সাজ্জাদের ! অন্ধকার রাস্তাটা ধরে পুরো শরীরে সাদা কাপড়ে জড়ানো একটা মানুষ প্রবল বেগে দৌড়ে আসছে ।সাদা কাপড় হাওয়ায় উড়ছে । অপার্থিব সেই দৃশ্য দেখে সাজ্জাদের গলা শুকিয়ে গেল । প্রচন্ড ভয় পেয়ে সামনে ফিরল ও । কাঁপা কাঁপা স্বরে একটু চেঁচিয়ে উঠল , ও ভাই একটু তাড়া তাড়ি চালান ! রিকশাওয়ালা নির্বিকার ।যেন শুনতেই পায়নি । পিছন রাস্তা থেকে কে যেন মায়াবী কন্ঠে ধীর স্বরে চিত্কার করে ডেকে উঠলো , 'খোকা ও খোকা আমার জন্য কিছু আনিসনি ? একটা সাদা শাড়ি ? গতবছরও আনলিনা .. সাজ্জাদ থরথর করে কেঁপে উঠলো ! এই কন্ঠ সে চেনে ! জন্ম থেকে শুনে এসেছে ! এ তার মায়ের কন্ঠ ! রিকশা প্যাডেলের ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হচ্ছে অবিরাম ! "ও ভাই একটু শুনেন কে যেন আসতেছে একটু তাড়াতাড়ি চালান" ,সাজ্জাদ কম্পিত স্বরে রিকশাওয়ালাকে ডাক দেয় । রিকশাওয়ালা পিছন ফেরেনা । রিকশা ঝাঁকুনি খেতে খেতে চলেছে আগের মতই ! একটা নিশাচর পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে গেল । বুনো লেবুর গন্ধ ভেসে আসছে । আচমকা পিঠের উপর ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ ! সাজ্জাদ শিঁরদাড়া সোজা করে স্থির হয়ে গেল ! কানের কাছ বেয়ে ঘামের ফোটা টপ টপ ঝরতে শুরু করেছে । ভয়ে আতংকে বোধশুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল ওর । হিমশীতল স্পর্শটা ওঠানামা করছে ওর পিঠের উপর ,যেন কেউ আদর করে হাত বোলাচ্ছে ওর পিঠে । "ও খোকা মানিক আমার" , ওর মায়ের কাতর কন্ঠটা ফিসফিস করে বলছে , " আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা ,আমার জাদুর কপালে টিপ দিয়ে যা !খোকা আমার ,লক্ষী আমার , বাছা আমার এখনো খাসনি ? আমার সাথে চল মাছের মুড়ো রেঁধে খাওয়াব তোকে । কবরে শিয়াল বাসা বেঁধেছেরে আমি ঘুমাতে পারিনা বাছা । শাড়ি এনেছিস খোকা ? একটু দেখি ? ও খোকা .. তোর বাবার ও খুব কষ্ট হয় তোকে না দেখে । আয় খোকা একটা চুমু দিই তোর কপালে .. পিছ ফির .. খোকা .. ও খোকা .. আতংকে দিশেহারা সাজ্জাদ শক্ত করে টর্চটা আকড়ে থরথর কাঁপতে থাকে । ফিরবেনা ফিরবেনা করেও পিছ ফেরে ও। যেন কেউ জোর করে ওকে পিছন ফিরালো ! রিকশার হুডের ফাঁকে ঘোমটা ঢাকা একটা মাথা আবছা অন্ধকারে মুখ বাড়িয়ে রেখেছে । জ্ঞানহারাবার প্রাকমুহুর্তে কপালে একটা শীতল ঠোঁটের স্পর্শ টের পেল সাজ্জাদ ! নাকুন্দপাড়ার বাজারে একটা দোকান তখনো আধখোলা ছিল । দোকানি দোকান গুছিয়ে মাত্র ঘুমানোর পায়তারা করছিল । রিকশাওয়ালা করিম বিরক্ত হয়ে অজ্ঞান পেসেঞ্জারটাকে দোকানে নিয়ে এসেছে । সে কানে কম শুনে । পেসেঞ্জারটা খামাখা একটু আগে জোরেসোরে চিক্কুর পেড়ে রিকশা থেকে ফাল মেরে বেহুঁশ হয়ে গেছে । টর্চলাইট ভেঙ্গে হাতে কাঁচের টুকরো গেঁথে রক্তারক্তি কান্ড ! করিম বিরক্ত হয়ে গালি দেয় গোটা দশেক । মহামুসিবত ! - বিকেল চড়ুই

ধ্রুব খুব অবাক হয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো। প্রায় এক বছর পর তারার নাম্বার থেকে কল। মোবাইলের স্ক্রীনে খুব সুন্দর করে লেখা- STAR is calling…

এক বছর আগে ধ্রুবর সাথে তারার ব্রেক আপ হয়ে যায়। সব ঠিকঠাক, হঠাৎ এক বৃহস্পতি বার রাতে তারা জানালো, “আমি রিলেশনটা কনটিনিউ করতে পারবো না। আমি সিরিয়াস।” ধ্রুব আধো বিশ্বাস আধো অবিশ্বাসে দুলতে দুলতে বললো, “কেনো? কী হইছে? দুস্টামি বাদ দাও…”

তারা খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলো, “আমার আরো একজনকে ভাল লেগেগিয়েছে, তার সাথে রিলেশনও হয়েগিয়েছে। আমি সেটাই কনটিনিউ করতে চাই। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দেও তোমার আমাকে ভুলতে হবে।” বিশ্বাস করতে পারছিলো না ধ্রুব। বললো, “আরে ধুর, ফাইজলামি করো ক্যান!”

ফোন কেটে দেয় তারা। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তারার সাথে। সেদিন সারা রাত দ্রুব তারার মোবাইলে কল করে কিন্তু বার বার একই উত্তর আসে waiting... waiting....। সকাল সাতটা পর্জন্ত! তারপর সপ্তাহ দুয়েক পর দ্রুব খবর পেয়েছিলো, তারা নতুন মানুষটিকে নিয়ে শুখেই আছে। নিজেকে ধিরে ধিরে গুছিয়ে নেয়। এ পর্যন্তই। তারা নামটা দ্রুবর প্রতি রাতের চোখের জলে আর ফোনবুকের 'STAR' নামের আড়ালেই রয়ে গেলো।

ফোন কেটে দেয় তারা। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তারার সাথে। সেদিন সারা রাত দ্রুব তারার মোবাইলে কল করে কিন্তু বার বার একই উত্তর আসে waiting… waiting….। সকাল সাতটা পর্জন্ত! তারপর সপ্তাহ দুয়েক পর দ্রুব খবর পেয়েছিলো, তারা নতুন মানুষটিকে নিয়ে শুখেই আছে। নিজেকে ধিরে ধিরে গুছিয়ে নেয়। এ পর্যন্তই। তারা নামটা দ্রুবর প্রতি রাতের চোখের জলে আর ফোনবুকের ‘STAR’ নামের আড়ালেই রয়ে গেলো।

এমন অদ্ভুত অপ্রত্যাশিত ব্রেক আপের পর আজ আবার তারা কল। ধ্রুব বুঝে উঠতে পারে না কী করবে। শেষমেষ কলটা রিসিভ করলো।

-হ্যালো? (যতটা না অভিমান কিংবা কষ্ট, তার চেয়েও বেশি কৌতুহল ভরা কন্ঠে বললো।)

 

=কেমন আছো? (তারার কন্ঠটা আগের মত আর বাচ্চা বাচ্চা নেই। নারীত্বের ছাপ স্পষ্ট।)

-বেঁচে আছি। (রাগ আর কষ্ট নিয়ে উত্তর দিল।)

 

=ধ্রুব আমি খুব সরি… (তারার কান্না কান্না কন্ঠ!)

-বাদ দাও। তারপর কেমন আছো? খুব সুখেই আছো নিশ্চয়? (তারার কথা শেষ না হতেই ধ্রুব বলল।)

 

=আমি রিয়েলি অনেক সরি। প্লিজ.. (কেদে কেঁদে বলতে থাকল তারা!)

-বিএফ কেমন আছে?  (রাগ আর কষ্ট নিয়ে প্রস্ন করল।)

 

=ধ্রুব প্লিজ… আমাকে মাফ করে দাও… (তারার হাহাকার করে কাননার শব্দ!)

-কেন আমার জীবন এভাবে ধ্বংস করলে? কে দিয়েছিল এই অধিকার তোমাকে? (ধ্রুব চিৎকার করে প্রস্ন করল!)

 

=স্টপ! স্টপ ইট! (ওপাশ থেকে চিৎকার করে ওঠে তারা। সেই সাথে শোনা গেলো কান্নার আওয়াজ…)

-“এমন করলা কেন আমার সাথে?” (কান্নার শব্দ শুনে ধ্রুব শান্ত হয়ে চুপ হয়ে গেল… শান্তভাবে বললো ধ্রুব)

 

তারা কাঁদতে কাঁদতে অনেক কথা বললো। কথাগুলোর সারমর্ম করলে যা দাড়ায়, তা হচ্ছে- যে ছেলের সাথে তারা রিলেশন করেছিল। সে ছেলিটি তারা কে ছেরে অন্য একজনের সাথে চলে গিয়েছে। কোন কারন ছারাই নতুন করে নতুন মানুষের সাথে ঘড় বাধছে। মাঝে তারার সাথে বিয়েও হয়েছিল কিন্তু… আর টিকেনি।

 

-“তুমি কোথায় এখন? দেখা করো প্লিজ… এই মুহুর্তে…” (অভিমানী প্রেমিকের সব দম্ভ নিমেষেই চুরমার হয়ে গেল।)

 

দ্রুব কাঁদতে কাঁদতে বলতে শুরু করলঃ আমি জানতাম আমি বাদে এ পৃথিবীর কেউই তোমাকে বুঝবে না। তুমি কেন আমাকে ছেঁড়ে চলে গেলে। বোকা মেয়ে তুমি এত বোকা কেন? কান্না থামাও আমি,... আমি আসছি এখনি তুমি কোথায় আছ...। (দ্রুব আবার থেমে থেমে বলল) এত কাঁদো কেন? অবশ্য ভালোই হইছে। আমাদের সংসারে লবন কিনতে হবে না। তোমার চোখের পানিতেই রান্না হয়ে যাবে!

দ্রুব কাঁদতে কাঁদতে বলতে শুরু করলঃ আমি জানতাম আমি বাদে এ পৃথিবীর কেউই তোমাকে বুঝবে না। তুমি কেন আমাকে ছেঁড়ে চলে গেলে। বোকা মেয়ে তুমি এত বোকা কেন? কান্না থামাও আমি,… আমি আসছি এখনি তুমি কোথায় আছ…। (দ্রুব আবার থেমে থেমে বলল) এত কাঁদো কেন? অবশ্য ভালোই হইছে। আমাদের সংসারে লবন কিনতে হবে না। তোমার চোখের পানিতেই রান্না হয়ে যাবে!

 

তারার কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেল। (চুপ করে সব শুনতে থাকল!)

-আমি আসছি এখনি তুমি কোথায় আছ…।  (ধ্রুব চিৎকার করে জানতে চাইল… )

 

কোন উত্তর ছাড়াই ফোনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। ধ্রুব চিৎকার করে কানতে শুরু করল। মোবাইলে চার্জ শেষ। আরেকটা মোবাইলে সিম ঢুকাতে ঢুকাতে ১০ মিনিট লেগে গেল। কিন্তু ঐ নাম্বারে কল করে শুনতে পেল অন্য একটি চির পরিচিত নারীর কন্ঠ… “the number you have  dialed, it is switch of” ।

 

দ্রুব এক রাত... এক দিন... এক সপ্তাহ... এক মাস... এক বছর.... পর আজও ঐ নাম্বারে কল করে কিন্তু আর খুজে পাইনি হারিয়ে যাওয়া সেই তারাকে। প্রস্ন করে হারিয়ে গিয়েছিলে আবার কেন এলে? নিজেকে প্রতি মুহুর্তেই দোষ দেয় মোবাইলের চার্জের কারনে আর ভাবে তারা হয়ত বা ভুল বুঝেছে যে আমি ওর ফোনে বিরক্ত হয়ে ফোনটা কেটে দিয়েছিলাম। সুন্দর সাজানো জীবনটা আবার অগোছালো হয়ে গেল। এখন নিজের চোখের জলেও সে তারার নোনা পানির স্বাদ পায়!

দ্রুব এক রাত… এক দিন… এক সপ্তাহ… এক মাস… এক বছর…. পর আজও ঐ নাম্বারে কল করে কিন্তু আর খুজে পাইনি হারিয়ে যাওয়া সেই তারাকে। প্রস্ন করে হারিয়ে গিয়েছিলে আবার কেন এলে? নিজেকে প্রতি মুহুর্তেই দোষ দেয় মোবাইলের চার্জের কারনে আর ভাবে তারা হয়ত বা ভুল বুঝেছে যে আমি ওর ফোনে বিরক্ত হয়ে ফোনটা কেটে দিয়েছিলাম। সুন্দর সাজানো জীবনটা আবার অগোছালো হয়ে গেল। এখন নিজের চোখের জলেও সে তারার নোনা পানির স্বাদ পায়!

 

এই তো,… এই ছিল তারা আর ধ্রুবর গল্প…, মিথ্যা ভালবাসার গল্প…।

 

☂Info. about Muhammad Mehedi Menafa
♥Personal site : http://mmm.black-iz.com/
✿Website : www.black-iz.com

Related posts

Leave a Comment