নভোচারী যাচ্ছেন লম্বা সময়ের জন্য পৃথিবীর বাহিরে।
একজন নভোচারী ঠিক কতোটা সময় পৃথিবীর বাইরে, মহাকাশে নিরাপদ থাকতে পারেন, প্রায় ৩৫০ দিনের জন্য এ ব্যাপারটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য দুজন নভোচারী মহাকাশে অবস্থান করতে যাচ্ছেন।
কেমন হবে দীর্ঘসময় মহাকাশযানে অবস্থানের অভিজ্ঞতাটি ? কোনো ক্ষতি হবে কি এ সময়ে মহাকাশের তেজস্ক্রিয়তায় নভোচারীর? কেমন হবে এতো সময় ওজনশূন্য পরিবেশে তাদের অবস্থা? কেমন হবে একা একা থাকার অনুভূতিটি?
এসবের উত্তরের ইতি টানার জন্য আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে নাসার ওয়ান ইয়ার মিশন। কসমোড্রোম থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (ISS) দিকে যাত্রা শুরু করবেন আমেরিকান নভোচারী স্কট কেলি এবং রাশিয়ান নভোচারী মিখাইল কর্নিয়েঙ্কো বাইকোনুর। তারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে কাটাবেন আগামি ৩৫০ দিন অর্থাৎ প্রায় এক বছর । যার ফলে জানা যাবে এতোটা সময় মহাকাশে কাটালে তাদের ওপর কী কী প্রভাব পড়তে পারে। এই তথ্য মূল্যবান ভূমিকা পালন করতে পারে ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে ।
এর পূর্বেও রাশিয়ান নভোচারী ভ্যালেরি পোলিয়াকভের বেশি সময় পৃথিবীর বাইরে কাটানোর কৃতিত্ব রয়েছে । তিনি কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের মার্চ পর্যন্ত টানা প্রায় ৪৩৮ দিন পর্যন্ত। তবে নভোচারীরা চার থেকে ছয় মাস পৃথিবীর বাইরে কাটান নাসার সাধারণ ISS মিশনে । এক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বছরখানেকের এই সময়টুকু । গবেষকেরা দেখেন যে, বেশি সময় মহাশূন্যে কাটালে দৃষ্টিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আসতে পারে। শুধু তাই নয় এতোটা সময় ওজনশূন্য পরিবেশে থাকার কারণে মাসল অ্যাট্রফি এবং বোন লসের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
স্কট কেলির যমজ মার্ক কেলি পৃথিবীতে পরিবর্তনগুলো ঠিকভাবে বোঝার জন্য থাকবেন। রক্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার সাহায্যে তাদের দুজনের স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলনা করা হবে ।