শচিন টেন্ডুলকার- লারা সমানে সমান

শচীন টেন্ডুলকার,নাকি ব্রায়ান লারা—কে সেরা? প্রশ্নটা নিয়ে বিতর্ক হয় প্রায়শই। প্রথমজন ক্রিকেটের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন। অন্যজন দ্বীপরাষ্ট্র থেকে উঠে এসে আলো কেড়েছেন গোটা বিশ্বের। দুজনের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গতকাল প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টিভ ওয়াহ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক অবশ্য এগিয়ে রাখেননি কাউকেই। দুই ব্যাটিং কিংবদন্তির বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে রেখেছেন একই সমতলে।
‘আমি তাদের (টেন্ডুলকার ও লারা) মধ্যে তুলনাকে অপছন্দ করি। কারণ এটা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দেয়। দুজন ভিন্ন ভিন্ন দল থেকে খেলেছে। তাদের ওপর চাপও ভিন্ন ছিল। আমি তাদের একই স্থানে রাখতে চাই।’ ভারতের বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন ওয়াহ। টেন্ডুলকার-লারার বাস্তবতাটাও উঠে এসেছে ওয়াহর কণ্ঠে, ‘এক কোটি ৩০ লাখ লোকের চাপ মাথায় নিয়ে খেলতে হয় শচীনকে। অন্যদিকে একটা দুর্বল দলের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সেরা খেলোয়াড় ছিল লারা। খেলোয়াড় হিসেবে দুজনই অবিশ্বাস্য।’

টেন্ডুলকার ও লারার সমসাময়িক ক্রিকেটার ছিলেন স্টিভ ওয়াহ। ৪৮ বছর বয়সী ওয়াহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ২০০৪ সালে। লারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকান ২০০৭ সালে। টেন্ডুলকার সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও টেস্টে খেলছেন এখনো।

রান আর সেঞ্চুরি বিবেচনায় টেন্ডুলকার অদ্বিতীয়। টেস্টে লিটল মাস্টারের রানসংখ্যা ১৫ হাজার ৮৩৭, ওয়ানডেতে ১৮ হাজার ৪২৬। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গড়েছেন সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি (টেস্টে ৫১ ও ওয়ানডেতে ৪৯টি)। রান বা সেঞ্চুরির আলোকে অবশ্য টেন্ডুলকারের চেয়ে বেশ পিছিয়ে ৪৪ বছর বয়সী লারা। ক্রিকেটের এই বরপুত্রের টেস্টে রানসংখ্যা ১১ হাজার ৯৫৩, ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৪০৫। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি যথাক্রমে ৩৪ ও ১৯টি। একটা দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে লারা। টেস্টের এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ (অপরাজিত ৪০০ রান) ইনিংসটা তাঁর। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ইনিংসটি খেলেছিলেন লারা।

সার্বিক দিক বিবেচনায় টেন্ডুলকার ও লারাকে ‘সমান’ বলে মনে করছেন স্টিভ ওয়াহ। তবে অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের চোখে এগিয়ে লারা। সেটা অবশ্য দলীয় অবদানের প্রেক্ষাপট থেকে। পন্টিং মনে করেন, টেন্ডুলকারের চেয়ে বেশি ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন লারা। সূত্র: জিনিউজ।

Related posts

Leave a Comment