ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে সতর্ক মাশরাফি

দলকে সাবধানই করে দিয়েছেন তিনি। অ্যাডিলেডে কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগুন ম্যাচে মাঠে নামার আগে দারুণ সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘চাপের লড়াই’ আখ্যা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই ম্যাচে আসলে কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলাটা অসম্ভবই।
mashrafee
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে চাপের মধ্যে আছে। ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তির এই করুণদশা বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মনোযোগ না আবার আলগা করে দেয়! এই শঙ্কা বুকে চেপে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাই তিনি দারুণ সাবধানী। তাঁর মতে, ইংল্যান্ডের মতো অভিজ্ঞ একটি দল জানে এ ধরনের ম্যাচের চাপ কীভাবে নিতে হয়। তাই খুব সাবধান।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক কি তাহলে একটু ভয় পাচ্ছেন? কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার এই লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে তাঁর কণ্ঠে কেন এত সমীহ! সংবাদ সম্মেলনে এর ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে একটি-দুটি বড় দলকে ধরা খাইয়ে দেওয়া। আমার মনে হয় সেই লক্ষ্যপূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা। এখন চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, সত্যিই আমরা এই লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারব কি না!’

ইংলিশদের সমীহ করার মধ্যেই মাশরাফিকে শক্তিকে জোগাচ্ছে দেশের মানুষের প্রার্থনা, ‘আমরা জানি দেশের সব মানুষ আমাদের জন্য প্রার্থনায় আছেন। তাঁরা প্রার্থনা করছেন আমরা যেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করি।’
বিশ্বকাপে এখনো বাংলাদেশ নিজেদের সেরা খেলাটা খেলেনি বলেই ধারণা মাশরাফির। স্বপ্ন দেখছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা উজাড় করে দে​ওয়ার, ‘আমার মনে হয় বিশ্বকাপে এখনো আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলিনি। আশ করছি সেরা ক্রিকেটটা আমরা অ্যাডিলেডেই খেলব।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলেই নিজেদের বিশ্বকাপ-ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা পাবে বাংলাদেশ। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও মাশরাফি ব্যাপারটি নিয়ে নাকি একেবারেই ভাবছেন না।
‘ভাবছেন না’ না বললে ভাবনাটা একটু দূরে সরিয়ে রেখেছেন বলাটাই ভালো। মাশরাফি ভাবছেন দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্স নিয়েই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে পুরো দলের একসঙ্গে জ্বলে ওঠাটা যে অবশ্য করণীয়ই, ‘হ্যাঁ, আমি কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। আমি ভাবছি আমাদের ব্যাটিং নিয়ে, বোলিং নিয়ে, ফিল্ডিং নিয়ে। এ তিনটি বিভাগেই কাল আমাদের জ্বলে উঠতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে নিজেদের খেলাটা নিয়েই। ইংল্যান্ডকে নিয়ে কিংবা শেষ আট নিয়ে এই মুহূর্তে খুব বেশি না ভাবলেও চলবে।’

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাল রান তাড়ার বিষয়টিকে অনুপ্রেরণাই ভাবছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘অবশ্যই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়া করাটা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।’

২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সুখস্মৃতিকে আপাতত দূরে সরিয়েই রাখতে চান মাশরাফি, ‘চার বছর আগের স্মৃতি রোমন্থন করে কোনো লাভ নেই। আমাদের মাথায় ওই জয়ের ব্যাপারটি নেইও। চর বছর দীর্ঘ সময়। এই সময়ের মধ্যে দুই দলেই এসেছে অনেক পরিবর্তন। তা ছাড়া ওই জয়টা ছিল দেশের মাটিতে পরিচিত কন্ডিশনে। আমাদের এখন বর্তমান নিয়ে ভাবতে হবে। ভাবতে হবে ভালো খেলা নিয়ে। এই মুহূর্তে আমরা কেমন খেলছি, তার ওরই নির্ভর করছে সবকিছু। চার বছর আগের স্মৃতি এখানে কোনো কাজেই আসবে না।’

Related posts

Leave a Comment