বিশ্বকাপে ২৩২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে প্রোটিয়ারা

বিশ্বকাপে পাকিস্তান পারেনি বড় কোনো সংগ্রহ দাঁড় করাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে তাদের দেয়া টার্গেট ৪৭ ওভারে ২৩২ রানের। আর সেই টার্গেট পরপর দুই ম্যাচে ৪০০ করা প্রোটিয়াদের সামনে খুব বড় কিছু হবার কথা নয়। কিন্তু টার্গেটটা তাড়া করতে গিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইরফান হেনেছেন আঘাত। ডি কক ফিরেছেন শুন্য হাতে। প্রথম ওভারে ৫ রান করেছে আফ্রিকানরা।

প্রথমবার যখন বৃষ্টির জন্য খেলা থামে তখনো ফিফটি হয়নি মিসবাহ উল হকের। এরপর ফিরে এসে ফিফটি করলেন। আবার নামলো বৃষ্টি। আবার বিশ্রাম। অতঃপর ফেরা। বৃষ্টির কারনে এই যাওয়া আসা আর ফেরার মধ্যে মনযোগের কিছুটা হয়তো হারিয়ে ফেলে থাকবেন মিসবাহ। তাই স্টেইনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার সময় নিজেকেই যেন নিজে বলছিলেন, ঠিক হলো না। এভাবে ফেরা মোটেও ঠিক হলো না। আর মাত্র কয়েকটি ওভার ছিলো। খেলতে পারলে আরো কিছু রান হতো। দলের উপকার হতো তাতে। রান তো তেমন কেউ করতে পারলেন না। মিসবাহ অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার সময় পাকিস্তানের সংগ্রহ ২১৮ রান। আর ২২২ রানেই ৪৬.৪ ওভারে অল আউট পাকিস্তান।

টানা তৃতীয় ম্যাচে ফিফটি করেছেন মিসবাহ। আর এই বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। মিসবাহ এখন পাকিস্তান দলের প্রতিরোধের অন্য নাম। দল দ্রুত উইকেট হারায়। মিসবাহ আসেন। একটা, দুটো, তিনটা জুটি গড়েন। পাকিস্তান কিছু রান করতে পারে। এভাবেই চলছে পাকিস্তান।

বিশ্বকাপে এই ম্যাচেও টস হেরে ব্যাট করে তাদের গল্পটা খুব ব্যতিক্রম নয়। নাসিরের জায়গায় সরফরাজ ইনিংস ওপেন করেছেন। অভিজ্ঞ ইউনিস খান আবার ফিরেছেন। আর এই দুইয়ের ব্যাটে কিছুটা রান পেয়েছে পাকিস্তান। শেহজাদ (১৮) দলের ৩০ রান চলে গেলেও ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রানের জুটি গড়ে ওঠে সরফরাজ ও ইউনিসের মধ্যে। ওই জুটিটাই ভালো ভিত্তি দিয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু সেই ভিতের ওপর শক্তপোক্ত কিছু করতে পারেনি পাকিস্তান। বলা ভালো করতে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাদের চমৎকার বোলিংয়ে একটা সময়ে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। সরফরাজ ৪৯ রান করেছেন, ইউনিসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান।

এই দুই ব্যাটসম্যান চলে যাবার পর ইনিংসের বাকি গল্পটা কেবলই মিসবাহর। ছোটো ছোটো জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। ইউনিস আর মিসবাহ তৃতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েছেন। আফ্রিদিকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েছেন মিসবাহ। এভাবেই দলের সংগ্রহ বাড়িয়েছেন মিসবাহ। আফ্রিদি ১৫ বলে ২২ রানের একটা ঝড় তুলে শেষ। ৮৬ বলে মিসবাহর ৫৬ রানের প্রতিরোধের গল্প শেষ হয়েছে। মাত্র ৪টি চার মেরেছেন মিসবাহ। স্টেইন নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট অ্যাবট ও মর্কেলের।

বিশ্বকাপে অপর একটি ম্যাচ আয়ারল্যান্ড বনাম জিম্বাবুয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন!

Related posts

Leave a Comment