কোপা ডেল রে শিরোপা জয়ে বার্সেলোনা

শিরোপা অনিশ্চিত বার্সেলোনা'র

কোপা ডেল রে শিরোপা জয়ে বার্সেলোনা একচ্ছত্র আধিপত্যের। কাতালান জায়ান্টরা এ শিরোপা জিতেছে রেকর্ড ২৬ বার। আজ ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নেইমারের জোড়া ও লুইস সুয়ারেজের গোলে ৩-১ ও দুই লেগ মিলে ৬-২ ব্যবধানে জিতে আরেকবার শিরোপা জয়ের হাতছানি বার্সেলোনা এর সামনে। এ নিয়ে রেকর্ড ৩৭ বারের মতো কোপা ডেল রের ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। 

স্কোরলাইন বলছে, বেশ বড় ব্যবধানেই জিতেছে বার্সেলোনা। তবে লুইস এনরিকের দল ছন্দময় ফুটবলে আজ দর্শকদের মন ভরাতে পারল কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। কদিন আগে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে জয়বঞ্চিত করা ও চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করা ভিয়ারিয়াল ভালোই চেপে ধরেছিল বার্সেলোনা । তবে ৬৫ মিনিটে মিডফিল্ডার টমাস পিনার লাল কার্ডের হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলল স্বাগতিকেরা। এরপর সুয়ারেজ-নেইমারের দুই গোলে আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি ভিয়ারিয়াল।

অবশ্য খেলার শুরুতেই ছন্দময় ফুটবলেরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বার্সেলোনা। ৩ মিনিটেই লিওনেল মেসির দারুণ এক ক্রসে অসাধারণ ফিনিশিং নেইমারের। তবে এরপর বেশ কিছু আক্রমণ রচনা করে ভিয়ারিয়াল। তবে সেগুলো প্রতিহিত করে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। ৩৯ মিনিটে একই সঙ্গে বার্সার দুটো ‘দুঃসংবাদ’—জোনাথন ডোস সান্তোসের অসাধারণ এক হাফভলিতে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল। বার্সেলোনা’র সঙ্গে এক যুগের সম্পর্কচ্ছেদ করে চলতি মৌসুমে ভিয়ারিয়ালে নাম লেখানো সান্তোস কিনা জয় কেড়ে নিচ্ছিল বার্সার! অন্যদিকে, পিনার বাজে ট্যাকলে চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন সার্জিও বুসকেটস।
৬৫ মিনিটে আবারও বাজে ট্যাকল পিনার। এবার শিকার নেইমার। সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখলেন ভিয়ারিয়ালের এ মিডফিল্ডার। ১০ জনে পরিণত হওয়া ভিয়ারিয়ালকে আরও দিগ্‌ভ্রান্ত করে ফেলেন নেইমার-সুয়ারেজ। ৭৩ মিনিটে হাভিয়ের মাচেরানোর বাড়িয়ে দেওয়া বল ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দারুণ এক ফিনিশিং সুয়ারেজের। আর ৮৮ মিনিটে জাভির মাপা ক্রসে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ম্যাচের ‘চূড়ান্ত ফল’ জানিয়ে দেন নেইমার।
বল দখলে বার্সা এগিয়ে থাকলেও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে ভিয়ারিয়াল। লক্ষ্যে শট নিয়েছে ৬টি, বার্সেলোনা সেখানে ৫টি। তবে এনরিকের দলের ওপর ভালোই চড়া হয়েছিল স্বাগতিকেরা। ভিয়ারিয়াল ফাউল করেছে ১২টি, বার্সা ৬টি।
আজ মেসি ছিলেন তাঁর ছায়া হয়ে! ৩ মিনিটে নেইমার ও ২৪ মিনিটে ইনিয়েস্তাকে ক্রস দেওয়া আর ৫৫ মিনিটে চার ডিফেন্ডার কাটিয়ে দারুণ এক শট নেওয়া ছাড়া মেসিকে ঠিক মেসির মতো পাওয়া গেল না। অন্যদিকে, দুবার নেইমার একাই গোল দেওয়ার চেষ্টা না করলে হয়তো বার্সেলোনা এর গোলের ব্যবধান আরও বাড়ত। তবু যা হয়েছে সেটাও মন্দ নয়।
কোপা ডেল রের ফাইনাল আগামী ৩০ মে। সেখানে বার্সেলোনা এর প্রতিপক্ষ অ্যাথলেটিক বিলবাও-এসপানিওলের যেকোনো একটি।

Related posts

Leave a Comment