সকালের নরম রোদে যে শুধু প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তা নয়, এতে আপনার ওজন কমে যায়। যাঁরা দিনের অন্য সময়ের তুলনায় সকালের নরম রোদে বেশি সময় থাকেন, তাঁদের ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
আর বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজনের মানদণ্ডের (বডি মাস ইনডেক্স) প্রায় ২০ শতাংশই নির্ভর করে সরাসরি সূর্যের আলোতে থাকা না-থাকার উপর। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনির্ভাসিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কখন রোদে যাবেন, সেই সময়ের রোদের তীব্রতা এবং কতক্ষণ রোদে থাকবেন, তার প্রভাব পড়বে আপনার ওজনে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনির্ভাসিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন রেইড বলেন, সকালের রোদ আপনার উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। আর দিনের অন্য সময়ের উজ্জ্বল আলো বা কড়া রোদ ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তির শারীরিক পরিশ্রম, ক্যালরি গ্রহণ, ঘুমের সময়, বয়স বা ঋতুর প্রভাবের বাইরে আলাদাভাবেই কাজ করে শরীরে সকালের রোদের প্রভাব।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন ব্যক্তির বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের ২০ শতাংশই নির্ভরশীল সরাসরি সূর্যালোক বা রোদের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শের ওপর।
গবেষণা প্রকল্পটির জ্যেষ্ঠ গবেষক ফিলিস সি জি বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের শরীরের “সার্কাডিয়ান ক্লক” বা “দেহঘড়ি”র (রাত-দিনের প্রাকৃতিক নিয়মের সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ গতি-ছন্দের) সঙ্গে সূর্যের আলোর একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আপনি বেশি উজ্জ্বল আলো পাবেন। আর এর উপকারিতা পেতে হলে সকালের রোদে ২০ থেকে ৩০ মিনিট কাটাতে হবে।
ফিলিস সি জি বলেন, দিনের উপযুক্ত সময়ে যদি কেউ নিজের গায়ে পর্যাপ্ত রোদ মাখতে না পারেন, তাহলে তাঁর পরিপাকক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আর এ থেকেও তাঁর ওজন বাড়তে পারে।
তাই অনেকেই যেমন ঘুম ঠিক রেখে ওজন কমাতে চান, তেমনি সকালের রোদ মেখেও ওজন কমানো যেতে পারেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এ গবেষণা প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়েছে।