মেদ প্রতিনিয়ত আপনাকে বিব্রত করছে। মেদ নিয়ে আপনি নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। মেদ ভুঁড়িকে পুরোপুরি বিদায় করে দেবার কিছু কৌশল জেনেনিন।
স্ট্রেনথ ট্রেইনের মতো অন্তত সপ্তাহে তিনদিন শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। এটা শুধু বিপাকেই সাহায্য করে না, সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীর থেকে অনেক মেদ ঝরে পড়ে যাবে। আর তাই তো মেদ কমাতে এর জুড়ি নেই। এছাড়া উইন্ডমিল, টার্কিশ সিটআপস, হ্যাংগিং লেগ রাইজেস (পা সাধারণ অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে উপরে উঠিয়ে ব্যায়াম) ধরনের ব্যায়ামগুলো মেদ কমাতে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এইচআইআইটি বা হাই-ইন্টেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং আপনাকে দিতে পারে মেদহীন পেট, এর জন্য খুব বেশি সময় নেয়া যাবে না। এ ব্যায়াম অনুশীলন করার জন্য ১০ থেকে ২০ মিনিটই আপনার যথেষ্ট। অতএব বুঝতেই পারছেন, এ ব্যায়াম একদিক থেকে যেমন সময়সাশ্রয়ী, তেমনি দ্রুত মেদ অপসারণে এই ব্যায়ামের জুড়ি নেই। তাই যখন হাতে সময় অল্প, তখন এ ব্যায়াম করার পরিকল্পনাটা কিন্তু মন্দ নয়।
ব্যায়ামে আপনি সক্রিয়তা বজায় রাখবেন, হোক সেটা সপ্তাহে একদিন। যদি প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ৭ ঘণ্টা জিমে ব্যআয়াম করে ব্যায় করেন; তবে অবশ্যই ওই সময়টুকুর সঠিক ব্যবহার করা চাই। কেননা এ ৭ ঘণ্টাই যথেষ্ট হবে, যদি তা ঠিক মত আপনি কাজে লাগান। বন্ধু বান্ধব বা শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে কিছুটা সময় কাটাতে আর চেষ্টা করুন।
৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি প্রতিদিনের জন্য। মেদ বেড়ে যাবে এমনিতেই যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমান। তাই সঠিক ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমানের ঘুম।
এছাড়াও আপনি মেডিটেশন ও মানসিক চাপ কমানোর বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করুন। মেডিটেশন আপনার স্টেরয়েড হরমোন করটিসল লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে পেটে মেদ জমতে পারে না এবং বয়সকে ধরে রাখে।
প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে আপনাকে। জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করাই উত্তম; এর বিপরিতে আপনি খেতে পারেন সবজি, চর্বিহীন মাংস। মেদ বিহীন সমতল পেটের জন্য খাদ্যতালিকায় বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। মনে রাখবেন, চর্বিযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের কারণও বটে। সব কথার শেষ কথা প্রচুর পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করা আবশ্যক। মেদ কমাতে এতটুকু পানি পান না করলেই নয়।