সতর্ক হুঁশিয়ারী ::::: মে – ’১২

জরুরী ভিত্তিতে

সাইবার অপরাধ

রুখতে হবে

মুফতী হাবীবুর রহমান মূসা

 

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ক্রমশঃ ব্যাপকহারে সাইবার জগতে প্রবেশ করছে এবং একইভাবে বেশীসংখ্যক পরিবার সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর সাথে জড়িত হাজার হাজার পরিবার এখন সংঘবদ্ধ চক্রের তথ্যসন্ত্রাসের শিকার। মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ, এসএমএস এবং ইন্টারনেটে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, ব্লগ, পর্নোওয়েবসাইট ও বিজ্ঞাপনী সাইটের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক পরিবারের তরুণ-তরুণীরা সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন।

এসব যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ভুয়া একাউন্ট খুলে টার্গেটকৃত ব্যক্তি ও পরিবারের ছবি বিকৃত করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাইবার ক্রিমিনালরা। বিয়ে ভেঙে দেয়া ও সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে সম্ভ্রান্ত ঘরের ব্যবসায়ী তরুণদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা নিচ্ছে ওরা। সামাজিক মর্যাদাহানির ভয় দেখিয়ে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করছে। এ ধরনের কিছু অপরাধের খবর পত্র-পত্রিকায় উঠে আসলেও বেশীর ভাগই ঘটছে লোকচক্ষুর অন্তরালে।

দেশে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী দিনে-রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতি মূল্যবান সময় ব্যয় করছে  মোবাইল ফোন, পিসি, ল্যাপটপ অথবা সাইবার ক্যাফেতে। ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন বিকৃত রুচির সাইবার-এডিক্ট তরুণরা হেরোইন-ফেনসিডিল সেবীদের নেশার চেয়ে বেশী মারাত্মক ও সমাজের জন্য বেশী ক্ষতিকর।

 

এভাবে করে শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রায় সারাবিশ্বেই এখন সাইবার ক্রাইম অপরাধ জগতের নতুন ফেনোমেনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই বিশ্বের অনেক দেশে, হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং অফিসে ফেইসবুক ও টুইটারের মত সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

তবে শুধুমাত্র আইন করে প্রতিটি পরিবারে মোবাইল ফোন, ফেইসবুক বা টুইটার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। এক্ষেত্রে পরিবারের অভিভাবকদেরকে নিজেদের সন্তানদের মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও নেট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, হ্যাকার ও অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাকে যথেষ্ট শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন এবং লাখ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় রয়েছেন। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি থানায় মোবাইল ডিটেক্টর, জিপিএস সিস্টেম ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দেয়া আশু প্রয়োজন।

Related posts

3 Thoughts to “সতর্ক হুঁশিয়ারী ::::: মে – ’১২

  1. imdadul hoque

    Assalamualaikum.oporer post ta pore anondito holam. Kinto amake akta bishoy janale khushi hobo je islami shoriote facebook chalanor bepare bidan ki ?

    1. ////
      রমজান এবং অন্নান্য কিছু কাজের চাপের কারনে আমরা আমাদের ওয়েব-সাইট টি সাময়িক ভাবে আপডেট করতে পারছি না, তবে ইনশাআল্লাহ্‌ ঈদের পর থেকে নিয়মিত আপডেট করা হবে। ঠিক একই কারনে আপনার মন্তব্যের উত্তর দেওয়া হল না, দুঃখিত।

Leave a Comment