এত তড়িঘড়ি কেন- প্রশ্ন ড. কামালের

বিচারপতিদের সরানোর ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে দাবি করে এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন

সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম ড. কামাল হোসেন।

 

আমি কোনোভাবে মানতে পারছি না- সুপাসনিক গতিতে কেন সংশোধনী পাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিন মাস পরে আইন হলে এখন এত তড়িঘড়ি কেন?”

শনিবার বিবিসির সংলাপে বলেন তিনি।

বিচারপতিদের সরানোর ক্ষমতা ১৯৭২ সালের মতো আইনপ্রণেতাদের হাতে ফিরিয়ে আনতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। চলতি

তড়িঘড়িঅধিবেশনেই তা পাস হওয়ার কথা।

১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য কামাল হোসেন শুরু থেকেই সংবিধান সংশোধনেরতড়িঘড়ি এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছেন

বিবিসির সংলাপে তিনি বলেন, “সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। সংশোধনীর পরে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও এ সংক্রান্ত কোনো

খসড়াতড়িঘড়ি পর্যন্ত করা হয়নি।

“দলীয়ভাবে সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে। নিরপেক্ষভাবে কিছু ভাবা হচ্ছে না। ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে সংসদের কার্যকলাপে তড়িঘড়িআলোচনার দরকার রয়েছে

এখন।”

সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আগে সবার সঙ্গে আলোচনাতড়িঘড়ি করবেন বলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে

এসে বলেছেন, এই সংশোধনের আলোকে বিচারপতি অপসারণের বিষয়ে আইন প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

Related posts

Leave a Comment