গ্রাফিক্স ডিজাইন এসইও নাকি ফ্রিল্যান্সিং এ ইনকাম কোনটিতে বেশি হবে

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা জরুরি তেমনি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখেন কিন্তু আপনার কোন স্কিল নাই তা হলেও লাভ হবে না। আপনার দুটোই জানা থাকতে হবে। এই সমস্যা কে মাথায় রেখে BLACK iz IT Institute আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং ফাইন্ডেসন কোর্স এবং অ্যাডভানস SEO কোর্সটি প্যাকেজ আকারে করার সুযোগ দিচ্ছে। সাধারনত আমাদের অ্যাডভানস SEO কোর্সটি কোর্স ফি ৮০০০ টাকা এবং আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং ফাইন্ডেসন কোর্সের ফি ৫০০০ টাকা।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে আগে কাজ শিখতে হবে, তারপর চেষ্টা শুরু করতে হবে। মাঠে না নামলে ভাল ইনকামের স্বপ্ন, আপনার দিকে বড় বড় দাঁত বের করে হাসি দিবে। অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে, কি শিখলে ভাল ইনকাম করতে পারবো। উত্তর হবে, যেটাই শিখেন সব কিছুতেই ভাল ইনকাম। শূধু আপনাকে কাজ ভালবাসতে হবে, পরিশ্রম করে দক্ষ হতে হবে।

 এসইওতে ইনকাম সেক্টরগুলো দেখে নিন:

১) অ্যাডসেন্স: ব্লগিং জানেন, ব্লগে টার্গেটেড ট্রাফিক আনতে জানেন। তাহলে অ্যাডসেন্সের ইনকামে আর বাধা কোথায়। অ্যাকাউন্ট করা, অ্যাকাউন্ট মেইনটেইন করা জানতে অনলাইনে রিসোর্স রয়েছে প্রচুর। সেগুলো একদিন নিজেই পড়ে নিন।  ইনকামতো অনেক হবেই। মাসে ২০০-৫০০০ডলার ইনকাম সম্ভব। আরও দক্ষ হলে ইনকাম বাড়বে আরো বেশি।
২) অ্যাফিলিয়েশন: যেকোন সাইটকে টপ  র‌্যাংক করা শিখে গেছেন। তাহলে অ্যাফিলিয়েশন শুরু করতে বাধাতো নাই। সঠিক নিশ সিলেক্ট করে কাজ শুরু করে দিন। কিভাবে অ্যাকাউন্ট করবেন, সেটা জানার জন্য অনলাইনে রিসোর্স রয়েছে। অ্যাফিলিয়েশনের ইনকামকেই অনলাইনে ইনকামের সর্বোচ্চ সেক্টর বলে। সবচাইতে বেশি ইনকাম সম্ভব এখানে।
৩) টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন: নিশ সিলেক্ট করতে জানেন, ফেসবুক ফ্রি-পেইড মার্কেটিং জানেন, তাহলে আর কি বাকি রইল। শুধু নামতে পারেননি, এজন্য ইনকামও করতে পারেননি। এখানে সহজ ইনকাম। ইনকাম হয়ও মাশাল্লাহ। ২০০-৩০০০ডলার ইনকাম সহজেই সম্ভব।
৪) ই-কমার্স ব্যবসা: টার্গেট ব্যক্তির কাছে ফেসবুকে পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার মেসেজ পৌছে দিতে পারেন। কনটেন্ট ডেভেলপও করতে জানেন। তাহলেতো শুরু করে দিতে পারেন ই-কমার্স ব্যবসা। সফল হবেনই। মোটামুটি চলার মত ইনকাম সম্ভব। ২০০-৫০০ডলার ইনকাম সম্ভব।
৫) লোকাল যে কোন ব্যবসা: লোকাল ব্যবসাগুলো এখন অনলাইনে মার্কেটিংকেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনিতো সেটা জানেন। তাহলেতো ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। ব্যবসার ধরনের উপর ইনকাম নির্ভর করে। সোয়্যানফোম থেকে শুরু করে প্রতিটা কোম্পানী এখন অনলাইন মার্কেটিংয়ের উপর নির্ভর করছে।
৬) অন্যের জন্য সেবা: ব্যবসায়িরা তাদের পণ্যের বা ব্রান্ডের অনলাইনে প্রমোট চায়। তারা নিজেরা এ কাজ করে, সেক্ষেত্রে আপনি সেকাজ যেহেতু জানেন, আপনি এ সেবাটি দিয়ে ভাল ইনকাম করতে পারেন। কোন  কোম্পানীতে এ হিসেবে ফুলটাইম চাকুরিও করতে পারেন। চাকুরি করলে বেতন, ১৫০০০টাকা- ৭০,০০০ টাকা পযন্ত হতে দেখেছি।
৭) মার্কেটপ্লেসে ইনকাম: সারাবিশ্বের প্রচুর কোম্পানী তাদের ব্রান্ডের প্রমোটের জন্য যোগ্য মার্কেটারকে মার্কেটপ্লেসে (upwork, fiverr) এ এসে খোজ করেন। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনিও হতে পারেন, তাদের ব্রান্ডের মার্কেটার। মাসে ১০০০ডলার হতে ৫০০০ডলার ইনকাম সম্ভব।

সিদ্ধান্ত নিতে এটিও পড়ুন: এসইওকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি

গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য অনলাইনে আয়ের সেক্টরগুলো দেখে নিন:

 ডিজাইন প্রতিযোগিতা: শুধুমাত্র বিভিন্ন ডিজাইন প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহণ করে আয় করা যায় এরকম অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এসব মার্কেটপ্লেসে কোন বায়ার তাদের প্রয়োজনীয় ডিজাইন যোগাড় করার জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহনকারী যে ডিজাইনারের ডিজাইন পছন্দ হবে, নির্দিষ্ট সময় শেষে তাকে পুরস্কৃত করা হয়।
সাধারণত ৩০০ডলার থেকে ১২০০ডলার পযন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়।

 ডিজাইন বিক্রি: কিছু মার্কেটপ্লেস আছে, যেখানে নিজের করা ডিজাইন জমা রাখা যায়। সেখানে বিভিন্ন বায়ার এসে তাদের পছন্দ অনুযায়ি ডিজাইনটি কিনে থাকে। একটা ডিজাই্ন একের অধিক যতবার ইচ্ছে বিক্রি হতে পারে। অর্থাৎ আপনার একটা ডিজাইন অনেকবার বিক্রি হয়ে আপনাকে এনে দিচ্ছে বসে বসে ইনকাম। আপনার কিরকম প্রোডাক্ট আপলোড করেছেন, সেটির উ্পর ইনকামের পরিমান নির্ভর করে।

 বিড করে কাজ যোগাড়: অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে বায়ার তার কাজে বর্ণনা করে টিউন করে। ফ্রিল্যান্সাররা সেখানে কাজটি করতে চেয়ে আবেদন করে, যাকে বিড করা বুঝায়। এখানে পোর্টফলিও শক্তিশালী না থাকার কারনে নতুনদের জন্য কাজ পাওয়াটা কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। নতুন অবস্থাতে ভাল ইনকাম না হলেও একসময় মাসে ১-২লাখ টাকা ইনকামও সম্ভব।

 গিগ বিক্রির মাধ্যমে আয়: ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সার্ভিসের কথা উল্লেখ করে রাখে যাকে গিগ বলে। এসব গিগ পড়ে বিভিন্ন বায়ার তাদের পছন্দ অনুযায়ি অর্ডার দিয়ে থাকে। একটা গিগেই হাজার হাজার বার অর্ডার আসতে পারে। বিড করার জন্য টেনশন করতে হয়না।

২০,০০০টাকা – ১লাখ টাকা ইনকাম সম্ভব।

এছাড়াও আরো অনেক রকম ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো থেকেও অনলাইনে আয় করা সম্ভব হয়।
যেমন: টি-শার্ট কিংবা অন্যান্য গিফট আইটেম ডিজাইন করে সেগুলোর বিক্রি থেকেও ভাল আয় করার মত অনলাইনে সাইট রয়েছে।

সিদ্ধান্ত নিতে এটিও পড়ুন: গ্রাফিক ডিজাইনকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি

কাজ শিখলেই কি ইনকাম করতে পারবেন?

এতগুলো ভালো ক্যারিয়ার দেখে লোভে পড়লেই হবেনা, আগে কাজ শিখুন, দক্ষ হওয়ার ব্যাপারে লোভ করুন। দক্ষ হলেই টাকা আপনার পিছনে ছুটবে।

এতগুলো ইনকামের সেক্টর, ইনকামতো অবশ্যই হবেই। কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলেই ক্যারিয়ার গঠন হবেনা।

ক্যারিয়ার গঠনে চাই:
– সঠিক গাইডলাইন
– সঠিক প্রশিক্ষণ
– নিজের পরিশ্রম
– নিজের অধ্যাবসায়
– নিজের চেষ্টা

না শিখলেই ইনকাম করতে পারবেননা। বিভিন্ন প্রজেক্টে যুক্ত হয়ে কাজ করার মাধ্যমে নিজের দক্ষতা অর্জনের পর ইনকাম করতে পারবেন। তবে মাঝে মাঝে আমার অনেক স্টুডেন্ট কোর্স চলাকালীন অবস্থাতেই ইনকাম শুরু করছে, কথাটা সত্য। তবে এক্ষেত্রে তার নিজের প্রচুর প্রাকটিস এবং ভাগ্যও একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। দক্ষ হওয়া ছাড়া ইনকাম হলে সেটাকে ভাগ্য বলব। কিন্তু ১০০% শিউরভাবে ইনকাম করা সম্ভব শুধুমাত্র দক্ষতা অর্জনের পর।
তাই কোর্স করে যা শিখবেন, সেটা প্রাকটিস করে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিন, কেউ ঠেকাতে পারবেনা। ফ্রিল্যান্সিং কিংবা চাকুরি সবজায়গাতে আপনি হিরো।

আপনিও শুরু করুন। সুন্দর ক্যারিয়ারের জন্য এখনই প্রস্তুতি নিন। নিজেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের জন্য দক্ষ করুন। নিজের এবং পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেই অবদান রাখতে পারবেন। একদিন নিজের সফলতার গল্প সবাইকে শুনাতে পারবেন।

Related posts

Leave a Comment