রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণে আহত ২০, ছয়জনকে গণপিটুনি

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল-অবরোধের মধ্যে শনিবার রাজধানীতে পৃথক চারটি ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ককটেল বিস্ফোরণে একজন নারী চিকিৎসকসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে জনতা ৬ জনকে গনপিটুনি নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শহীদ মিনার, শিক্ষাভবন ও শান্তিনগর ও কাওরানবাজ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। অপরদিকে কাওরান বাজারে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। শনিবার দুপুর সোয়া তিনটায় এই বিস্ফোরণের এক মিনিট আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। এসময় প্রধানমন্ত্রী ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এই বিস্ফোরণে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।

তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার প্রায় দশ মিনিট পর কারওয়ান বাজারের আন্ডারপাসের কাছে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে তেজগাঁও থানার এএসআই মাহবুব সামান্য আহত হন। তবে ওই পুলিশ সদস্য ডিউটি করছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হারুন নামে এক যুবককে আটক করেছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ডিউটি শেষে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহনাজ তাবাসুম প্রভা। এ সময় তিনি শহীদ মিনার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে শান্তিনগর এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ককটেল হামলা চালালে এসময় ৫ জন কর্মী আহত হন। প্রায় একই সময় শিক্ষা ভবনের সামনেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশমুখী রামপুরা থেকে আসা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি বাসে পর পর ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে ১৪ জন আহত হয়। এ সময় জনতা তিনজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। তারা হলেন- নাজমুল হোসেন, রইসউদ্দিন ও আদর হোসেন। অপরদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে বনানী ১৮ নম্বর রোডে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।

Related posts

Leave a Comment