১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস । আপনার ভ্যালেন্টাইনের জন্য কিছু উপহার

ধীরে ধীরে সূর্যের আভা দেখা যাচ্ছে । সূর্যের উদয় বার্তা যেন গান গেয়ে যাচ্ছে । প্রকৃতির নিয়ম । পার্থক্য শুধু মেঘলা আকাশে আঁধার ঘনালে,কিংবা শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না । আমার জীবনটাও যেন ঠিক তেমন সরল ছকে বাঁধা । নিরষ একজন মানুষ । প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ঝিম মেরে পড়ে থাকা । লেখাপড়া,ভবিষ্যত নিয়ে কোনো চিন্তা নেই । এই অসুখ তো আমার চিরদিনের না । অল্প কিছুদিনের । মরণব্যাধির অসুখ । তিলে তিলে মৃত্যু ঘটতে পারে । অনেকে বেঁচেও আসে এই মৃত্যুর দুয়ার থেকে । ছোটবেলা থেকে সাদামাটা জীবনের মধ্যে দিয়ে জীবন পাড় করেছি । চারিদিকের নানা রঙের মাঝে চোখ ঝলসায় নি কোনদিন । হঠাৎ একটি রঙিন ছবি মনে গেঁথে গেল । জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত রঙে ভরে উঠল । একটি মায়াবী মুখ,মায়াবী চোখের চাহনী আর তার মাঝে লুকিয়ে থাকা এক নীরব চঞ্চল মন দেখে মনে নাড়া দিয়ে উঠল । তন্দ্রা নামের সেই মেয়ে আজ আমায় পুরোপুরি মোহবিষ্ট করে রাখে । তার সুন্দর কন্ঠ শুনবার তাগিদে বার বার তাকে কল করার ইচ্ছা নেশার মত হয়ে দাড়িয়েছে । মনে পড়ে প্রথম দেখার কথা । হাসিখুশি চেহারা । যা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে দিয়ে যায় । সেদিন ছিল তার জন্মদিন । গোলাপী রঙের জামা পড়েছিল সেদিন । যেন গোলাপি রঙের কোনো ফুল । যার চোখের চাহনী তীরের মত বিদ্ধ করে প্রতিটি মূহুর্তে । জন্মদিন থেকে ফিরে ওকে নিয়ে ভাবনা শুরু । এক সময় নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলা তাকে । তার মায়াবী চোখ,ঠোঁটের সেই হাসি কোনোমতেই পিছু ছাড়ছে না । রাকিব কে জানাই এ ব্যাপারে । রাকিব বলে উঠে, "শোভন মামু, তুমি তো প্রেমে পড়ছো । এইটাও বুঝো নাই । কইয়া ফালাও মনের কথা । বলতে চাই আমি । কিন্তু পারিনা । তোমার নীরবতা আমাকে আরও নীরব করে । তোমার মায়াবী চোখের পানে তাকালে আমার কথা এলোমেলো হয়ে যায় । যতবার বলতে চাই,ততবার এক অজানা আতঙ্কে ভুগি । পারি না কেন? মোবাইল বার বার দেখি । তোমাকে কল করি । মেসেজ দেই । তুমি কি কিছুই বুঝো না । দেখতে দেখতে বৃষ্টি নামে । চারিদিকে আঁধার ঘনিয়ে আসে । কিছুতে মন বসে না । বারান্দাতে বসে হাত বাড়িয়ে দেয় শোভন ছুঁয়ে দেখে বৃষ্টি । তন্দ্রাও কি এখন বৃষ্টি ছুয়ে দেখছে? 'শোভন কি আমায় ভালোবাসে? ওর কিছুদিনের ব্যবহারে মনে হয় আমাকে কিছু বুঝাতে চাইছে ।' বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভেবে চলেছে তন্দ্রা । ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়া নরম গাল ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে । আনমনে ভেবে চলে তন্দ্রা । 'শোভন কেন বন্ধুত্বকে অপমানিত করবে? কত ভালো বন্ধুত্ব আমাদের ' বৃষ্টির ছোঁয়া দুজনকেই সিক্ত করে যায় । মোবাইলের রিংটোন বেজে চলেছে শোভনের । খেয়াল নেই । তার ভাবনা এখন গভীরে । রাতে মোবাইল চেক করে দেখে অনেকগুলো মিসড কল । তন্দ্রার । কল ব্যাক করে । 'হ্যালো তন্দ্রা বল,ব্যস্ত ছিলাম কল ধরতে পারি নি ।' 'কাল দেখা করতে পারবি?' 'কোথায়?' 'যেখানে বলবে ।' ভয়ানক অসুখ শোভনের । ভালোবাসার । তন্দ্রার প্রতি ভালোবাসা । এটাই অসুখ । এই অসুখ কোনোদিনও যাবে না । পাশাপাশি বসে দুজন । চারিদিকে পাখির ডাক,গোলাপের সুবাস । এক মধুর পরিবেশ । বিন্দু ঘাম জমেছে কপালে । হঠাৎ তন্দ্রা বলে উঠে, "আজ তোকে কেন ডেকেছি জানিস?" মাথা নেড়ে না বলে শোভন । অনেকক্ষণ নীরব থাকে দুজন । শুধু পাখির কলতান । "তুই কি আমাকে ভালোবাসিস?" তন্দ্রা প্রশ্ন করে । "হুম" "বলিস নি কেনো কোনোদিন?" "ভয় করে ।" হঠাৎ তন্দ্রাকে অচেনা মনে হয় । কি করবে বুঝতে পারে না শোভন । "ভালো থাকিস । আমাদের বন্ধুত্ব এখানেই শেষ । নিজের যত্ন নিবি ।" উঠে যায় তন্দ্রা । শোভন তাকিয়ে থাকে তন্দ্রার চলে যাবার দিকে । ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় দূরে । চারিদিকে কেমন যেন আঁধার ঘনিয়ে এসেছে । বেদনার সুরধ্বনি বাজছে । একাকীত্ব আঁকড়ে ধরেছে । হারানোর বেদনায় পাখির মধুর ডাকগুলো করুণ লাগছে । রাত ১১টা ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতে ইচ্ছে করছে শোভনের । দিয়েই কি লাভ? সব আজ অর্থহীন । কষ্টে পাথর হয়ে গিয়েছে যেন । ওয়ালে একটা পোষ্ট । "ইনবক্ষ চেক কর" ইনবক্সে মেসেজ পড়তে থাকে, "তোকে অনেক ভালো বন্ধু ভাবতাম । খুব কাছের । এটা কি করলি তুই? আমি জানি আমাদের মাঝে এই ভালো বন্ধুত্বটা আর থাকবে না । তাই আজ বন্ধুত্বটা এখানেই শেষ করে দিয়েছি । কারণ আজ থেকে আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব নামক গলার কাঁটা আর থাকবে না । আজ থেকে আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু । ভালোবাসি তোকে । তোর তন্দ্রা ।" কি বলবে বুঝতে পারে না শোভন । শুধু চোখ দিয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে চলে । আজ কাঁদতে চায় শোভন । - কাজী ফরিদুল হাসান শাওন

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। মনের গভীরে জমে থাকা ভালোবাসা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে নানা কায়দায় প্রকাশ করছে তার প্রিয় মানুষের কাছে। আর তাই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি সবার মনকে ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দিতে বছর ঘুরে আসছে ভালোবাসা দিবস প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম উপায় উপহার। যদিও তিন বছর আগে ছ্যাকা খাওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমার আর নতুন কোন ভ্যালেন্টাইন হইনি তাই আমি আজ রাতে এবং কাল দিনে মোটামোটি বেকারই আছি। আর বেকার সময়টা কাজে লাগানো যায় কিভাবে, ভাবতে ভাবতে অবশেষে ভাবলাম কিছু একটা লিখা যাক ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন নিয়ে।…

Read More

পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা! – ধারাবাহিক পোস্ট

পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার জনকঃ বিজ্ঞানী নিপসে (ফরাসি বিজ্ঞানী)। পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার জন্মঃ ১৮২৭ সালের । পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার বাজারজাত হয়ঃ ১৮৩৯ সালের । পৃথিবীর প্রথম বাজারজাত কৃত ক্যামেরার দাম ছিলঃ ৪০০ ফ্রাঁঙ্ক। পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার প্রথম ব্যবহারঃ ১৮২৭ পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার ব্রান্ডঃ অ্যালফনস গিরাক্স (ফরাসি কোম্পানি)। ( পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা ) পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা নিয়ে কিছু কথাঃ পৃথিবীর প্রথম বাজারজাত কৃত ক্যামেরা ফ্রান্সের অ্যালফনস গিরাক্স বাজারে ছাড়েন এবং এর মুল্য ছিল ৪০০ ফ্রাঁঙ্ক। এই ক্যামেরা তৈরির জন্য ঐ বছর ২২ জুন গিরাক্স এবং লুই দাগুইয়ের মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ বিক্রির জন্য ফটো তোলার ক্যামেরা প্রথম বাজারজাত করা হয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৮৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে৷ ( যুগে যুগে ক্যামেরার বিবর্তন! ) বর্তমানের ক্যামেরা আর সে দিনের ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে আঁকাস পাতাল পার্থক্য। বর্তমানে পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার মূল্য দিয়ে এখন নির্ধিধায় একটা ক্যামেরার কোম্পানি দেওয়া যাবে। আর ওজনের দিক থেকে বিচার করলে মনে হয় ছোট খাটা ক্যামেরার ফ্যাক্টিরির থেকেও পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার চেয়েও সম্ভবত কম হবে। তবে প্রথম সব কিছুই প্রথম অর্থাৎ ইতিহাস, যেমন এই পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা আবিস্কারের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে বিজ্ঞানী নিপসে! এখানেই পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার ইতিহাসের ইতি টানলাম। আজ ভিন্ন আর একটি বিষয় শেয়ার করছি যারা আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহী তাদের জন্য একটা ফেসবুক ইভেন্টের লিংক, জয়েন করতে পারেন "সপ্তাহ ব্যাপী ফ্রি আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স" এই ইভেন্টটিতে আশা করি ভাল লাগবে। আমার ফেসবুক আইডি "Mehedi Menafa"। সব শেষে অতীত এবং বর্তমানের কিছু ক্যামেরার অদ্ভুত অদ্ভুত ছবি দিলাম আশা করি ভাল লাগবে! আজকের মত এটুকুই আশা করি সামনের ধারাবাহিক পোষ্টে আবার কোন পৃথিবীর প্রথম ইতিহাশ নিয়ে আলোচনা করব সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। পরবর্তিতে ধারাবাহিক ভাবে যে বিষয় সমুহ লিখতে যাচ্ছিঃ • পৃথিবীর প্রথম (কম্পিউটার) মাউস! • পৃথিবীর প্রথম মোটর সাইকেল! • পৃথিবীর প্রথম গাড়ি! • পৃথিবীর প্রথম ট্রেন! • পৃথিবীর প্রথম টেলিভিশন! • পৃথিবীর প্রথম ডেস্কটপ কম্পিউটার!

পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার জনকঃ বিজ্ঞানী নিপসে (ফরাসি বিজ্ঞানী)। পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার জন্মঃ ১৮২৭ সালের । পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার বাজারজাত হয়ঃ ১৮৩৯ সালের । পৃথিবীর প্রথম বাজারজাত কৃত ক্যামেরার দাম ছিলঃ ৪০০ ফ্রাঁঙ্ক। পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার প্রথম ব্যবহারঃ ১৮২৭ পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরার ব্রান্ডঃ অ্যালফনস গিরাক্স (ফরাসি কোম্পানি)। ( পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা ) পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা নিয়ে কিছু কথাঃ পৃথিবীর প্রথম বাজারজাত কৃত ক্যামেরা ফ্রান্সের অ্যালফনস গিরাক্স বাজারে ছাড়েন এবং এর মুল্য ছিল ৪০০ ফ্রাঁঙ্ক। এই ক্যামেরা তৈরির জন্য ঐ বছর ২২ জুন গিরাক্স এবং লুই দাগুইয়ের মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ বিক্রির…

Read More