দরবেশকে দেখতে পায় তার ৮ বছরের.. (ভয়ংকর ঘটনা)

একের পর এক বসতঘরে দাউদাউ করে হঠাৎ
জ্বলে উঠছে আগুন। কীভাবে ঘর জ্বলে যাচ্ছে তা কেউ
সনাক্ত করতে পারছে না। অথচ আগুন জ্বলছে।
একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হতেই আবার হঠাৎ
করে জ্বলে উঠছে আরেকটি ঘর। আতঙ্কে ঘরের
মালামাল নিয়ে মানুষ দিকবিদিক ছুটোছুটি করছে।
বাড়ি ছেড়ে অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
এলাকাজুড়ে চলছে আতঙ্ক। ফায়ার সার্ভিসের
কর্মীরা আগুনের নিশানা খুঁজে পাচ্ছে না।
গতকাল রবিবার বিকেল ৫টা থেকে এমন
আগুনে ছারখার হচ্ছে বাউফল উপজেলার বগা ইউপির
সাবুপুরা গ্রামে। দোয়া-মিলাদ দিয়েও এর
কোনো প্রতিকার মিলছে না। ফলে স্থানীয়রা এ
ঘটনাকে অলৌকিক বলে মনে করছেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়
সাংবাদিকরা দেখতে পান ৪টিঘর সম্পূর্ণ
পুড়ে গেছে। তখন জ্বলছে খলিল আকনের বসতঘর। এমন
অলৌকিক আগুনের খবর শুনে উৎসুক কয়েক শতাধিক
জনতা জড়ো হয় ওই এলাকায়।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার
দূরে সাবপুরা বাজার থেকে মাত্র ২০০ গজ পশ্চিম-
উত্তর পাশে ১০০ গজের মধ্যে এ অলৌকিক
আগুনে বিকাল ৫টায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সিদ্দিক
হাওলাদারর বসতঘর। এলাকার লোকজন আগুন
নেভাতে এসে দেখেন এর ২৫ গজ দূরে সেলিম
হাওলাদারের ঘরে মুহূর্তেই আগুন লেগে যায়। অল্প
সময়ের ব্যবধানে আগুন পুড়ে ছারখার হয়ে যায় একই
এলাকার মো. রফিক মিয়া, ফোরকান মুন্সী, মোসলেম
আকন ও কালাম মিয়ার বসতঘর।
স্থানীয়রা জানান, গত বিশ-পঁচিশ দিন আগে সেলিম
হাওলাদার নামের এক গাছ ব্যবসায়ি তার বাড়ির
পাশে ফয়জর কারিকরের বাড়ি থেকে ১১ টি বিভিন্ন
ধরনের গাছ ক্রয় করেন। গাছ কাটার সময় একটি কদম
গাছে সাদা কাপর জড়ানো মাথা ন্যাড়া এক
দরবেশকে দেখতে পায় তার ৮ বছরের
মেয়ে সোনামনি। এসময় গাছটি কাটতে বারন
করে সোনামনি। কিন্তু সেলিম হাওলাদার মেয়ের
নিষেধ উপেক্ষা করে গাছ কাটার পরের দিন
থেকে তার বাড়িতে প্রথম আগুনের ঘটনা ঘটে।
কোনো প্রকার আগুনের সূত্রপাত ছাড়াই এভাবে ৬ বার
আগুন লাগে তার ঘরে। আগুনে তার ঘর সম্পূর্ণ
পুড়ে না গেলেও কখনো ঘরের বেড়া, আবার
কখনো আসবাবপত্র ও পরিধেয় কাপরচোপড়ে আগুন
লাগত। গ্রামের মানুষ এ ঘটনার হাত
থেকে রক্ষা পেতে দোয়া মিলাদের আয়োজন করেছে।
কিন্তু তাতেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আতঙ্কিত
হয়ে পড়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা।
গতাকালের এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ওই গ্রামের
তিনশ পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ
মালামাল নিয়ে চলে যাচ্ছে অন্যত্র।

Post collected from : ভুতের গল্প (fb fanpage)
Specially thanks to : ভুতের গল্প (fb fanpage)

 

Related posts