সংগ্রহে: আব্দুল্লাহ মোঃ জুবায়ের :
লাওহে মাহফূজ
ইবনে আব্বাস রা. সূত্রে আবুল কাসিম তাবারানী রহ. বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী করীম সা. বলেন, ‘‘আল্লাহ তা’আলা শুভ্র মুক্তা দ্বারা লাওহে মাহফুজ সৃষ্টি করেছেন। তার পাতাগুলো লাল ইয়াকুতের তৈরি। আল্লাহ তা’আলার কলমও নূর এবং কিতাবও নূর। প্রতি দিন তাঁর তিনশ ষাটটি ক্ষণ আছে। তিনি সৃষ্টি করেন, জীবিকা দান করেন। মৃত্যু দেন, জীবন দেন, সম্মানিত করেন, অপমানিত করেন এবং যা খুশী তা-ই করেন।
ইবনে আব্বাস রা. আরও বলেন, লাওহে মাহফুযের ঠিক মাঝখানে লিখিত আছে-
‘এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তাঁর মনোনীত দীন হলো ইসলাম এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল।’
অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহতে ঈমান আনবে, তাঁর প্রতিশ্রুতিকে সত্য বলে স্বীকার করবে এবং তাঁর রাসূলের অনুসরণ করবে; তাঁকে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
ইবনে আব্বাস রা. আরো বলেন, লাওহে মাহফূজ শুভ্র মুক্তা দ্বারা তৈরি একটি ফলক বিশেষ। তার দৈর্ঘ্য আসমান ও যমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। আর তার প্রস্থ পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানের দূরত্বের সমান। তার পরিবেষ্ঠনকারী হলো মুক্তা ও ইয়াকুত এবং প্রান্তদেশ হলো লাল ইয়াকুতের। তার কলম হলো নূর এবং তার বাণী আরশের সঙ্গে গ্রন্থিবদ্ধ ও তার গোড়া হলো এক ফেরেশতার কোলে।
আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ বলেন, লাওহে মাহফূজ ইসরাফীল আ. -এর ললাটে অবস্থিত। মুকাতিল বলেন, তার অবস্থান আরশের ডান পার্শ্বে।
আকাশসমূহ পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যকার বস্তু নিচয়ের সৃষ্টি
আল্লাহ তা’আলা বলেন- ‘ প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আর উৎপত্তি ঘটিয়েছেন অন্ধকার ও আলোর। এতদসত্ত্বেও কাফিরগণ তাদের প্রতিপালকের সমকক্ষ দাঁড় করায়।’ সূরা আন’আম – ১
তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছ’দিনে (ছয়টি সময়কালে) সৃষ্টি করেছেন। সূরা হুদ:৭