এই সকল যুক্তিতে আমি এবং আমার মতো অনেকেরাই বিব্রত ! দয়া করে এর সমাধান করুন )

আজ কাল ইন্টারনেট ইসলাম কে নিয়ে অনেক ব্রান্ত কথা উঠচ্ছে, কিন্তু এদের যুক্তি অনেকেই  বিব্রত করছে…

যেমন মুক্ত মনা নামে একটি ব্লগ (mukto-mona.com)

এখানে

মোহাম্মদ ও ইসলাম

নামে পর্ব আকারে ব্লগ লেখা হচ্ছে জা খুবিই বিব্রত কর

যেমন

মোহাম্মদের ইসলাম ধর্মের মূল কথা – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোন শরিক নেই।

এখন দেখা যাক, মোহাম্মদ আপাত: এ কথা বলে সূক্ষ্মভাবে কি প্রচার করে গেছেন। কোরানে আছে-

বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। সূরা আল – ইমরান, ০৩: ৩১
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। সূরা আল – ইমরান, ০৩: ৩২
আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। সূরা আল – ইমরান, ০৩: ১৩২
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য।সূরা নিসা, ০৪: ১৩

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৫৯
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৬৯

এরকম বহু আয়াতে একই কথা বলা হয়েছে। তা হলো – আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য কর।

কিন্তু বাস্তবে রসুলের হুকুমই পালনই যে আল্লাহর হুকুম পালন তার চুড়ান্ত বাস্তবায়ন দেখা যায় নিচের আয়াতে –

যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। সূরা নিসা, ০৪: ৮০

বিষয়টাকে একটা সমীকরণের সাহায্যেও প্রমান করা যেতে পারে, উপরোক্ত ০৪: ৮৯ আয়াত মতে,

মোহাম্মদের হুকুম = আল্লাহর হুকুম বা, মোহাম্মদ + হুকুম = আল্লাহ + হুকুম

উভয় পক্ষ থেকে হুকুম শব্দটা বাদ দিলে সমীকরণ টি দাড়ায় এরকম- মোহাম্মদ= আল্লাহ ( প্রমানিত)

এভাবে কোরানের বানীর নামে মোহাম্মদ নিজেকে আল্লাহর আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।আল্লাহর বানীর নামে নিজের বানী প্রচার করে গেছেন ২৩ টি বছর। পৌত্তলিক ধর্মের পরিবর্তে একেশ্বরবাদী ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে পৌত্তলিকদের বহু আচার অনুষ্ঠান ইসলামে আমদানী করেছেন। যেমন- কাবার ভিতরে অবস্থিত কাল পাথরের সামনে মাথা নত করে চুমু খাওয়া, হজ্জ করা, সাফা মারওয়ার পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়া দৌড়ি করা, কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার ঘোরা এসব। এর সবগুলিই ছিল পৌত্তলিকদের প্রথা ও আচার। প্রথমেই কাল পাথর বা হযরে আসওয়াদ নিয়ে কথা বলা যাক-

ইবনে আব্বাস বর্ণিত নবী বলেছেন-“ কাল পাথর বেহেস্ত থেকে পতিত হয়েছে।যখন প্রথম দুনিয়াতে এটা পতিত হয় তখন এর রং ছিল দুধের মত সাদা কিন্তু আদম সন্তানদের পাপ গ্রহণ করার ফলে এর রং কাল হয়ে গেছে”। তিরমিজি, হাদিস- ৮৭৭
ইবনে ওমর নবী কে বলতে শুনেছেন, “ কাল পাথর ও আর রুখ আল ইয়ামানি কে স্পর্শ করলে পাপ মোচণ হয়।তিরমিজি, হাদিস-৯৫৯

অথচ পাপ মোচনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে, কোন পাথরের হাতে নয়।যা কোরানে পরিস্কার বলা আছে যেমন-

বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর এবাদত কর যে, তোমাদের অপকার বা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না? অথচ আল্লাহ সব শুনেন ও জানেন। সূরা মায়েদা-৫:৭৬

জিজ্ঞেস করুন নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা কে? বলে দিনঃ আল্লাহ! বলুনঃ তবে কি তোমরা আল্লাহ ব্যতীত এমন অভিভাবক স্থির করেছ, যারা নিজেদের ভাল-মন্দের ও মালিক নয়? বলুনঃ অন্ধ চক্ষুষ্মান কি সমান হয়? অথবা কোথাও কি অন্ধকার ও আলো সমান হয়। তবে কি তারা আল্লাহর জন্য এমন অংশীদার স্থির করেছে যে, তারা কিছু সৃষ্টি করেছে, যেমন সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ? অতঃপর তাদের সৃষ্টি এরূপ বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে? বলুনঃ আল্লাহই প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা এবং তিনি একক, পরাক্রমশালী। সুরা রাদ ১৩:১৬

তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ? সুরা আম্বিয়া, ২১: ৬৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)

তারা এবাদত করে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর, যা তাদের উপকার করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। কাফের তো তার পালনকর্তার প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী। সুরা ফুরকান, ২৫:৫৫

কোরানে বলছে আল্লাহ ছাড়া ভাল মন্দ করার ক্ষমতা আর কারে নেই। অথচ একই সাথে মোহাম্মদ বলছে কাল পাথরের পাপ মোচন করার ক্ষমতা বিদ্যমান। যা শিরক ছাড়া আর কিছু নয়।অর্থাৎ মোহাম্মদ সুকৌশলে তার অনুসারীদেরকে এক আল্লাহর উপাসনার কথা বলে একই সাথে শিরক শিক্ষা দিচ্ছেন যা তার অন্ধবিশ্বাসী অনুসারীরা বুঝতে পারছে না।তবে এটা কিন্তু মোহাম্মদের এক কঠিন ও বুদ্ধিমান অনুসারী বুঝতে পেরেছিল যার নাম ওমর , ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আর তাই সে বলেছিল –

আবিস বিন রাবিয়া বর্নিত- ওমর কাল পাথরের নিকট আসলেন এবং একে চুমু দিলেন, তারপর বললেন-আমি জানি তুমি একটা পাথর বৈ আর কিছু নও, তুমি কারও উপকারও করতে পার না , অপকারও করতে পার না। আমি যদি রাসুলুল্লাহকে না দেখতাম তোমাকে চুমু খেতে আমি তোমাকে চুমু খেতাম না। বুখারী, বই-২৬, হাদিস-৬৬৭

যায়েদ বিন আসলাম বর্নিত- ওমর বিন খাত্তাব কাল পাথরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আল্লাহর কসম, আমি জানি তুমি একটা পাথর ছাড়া আর কিছু নও, তুমি না পার কারো উপকার করতে, না অপকার। নবীকে যদি আমি না দেখতাম তোমাকে চুমু খেতে আমি তোমাকে কখনও স্পর্শ করতাম না। বুখারী, বই-২৬, হাদিস-৬৭৫

সোয়াইদ বিন ঘাফালা বর্ণিত: আমি ওমরকে কাল পাথরকে চুমু দিতে ও হাত বুলাতে দেখেছি এবং বলতে শুনেছি এরকম- আমি দেখেছি আল্লাহর নবীর তোমার জন্য অনেক ভালবাসা ছিল।সহি মুসলিম, বই-৭,হাদিস-২৯১৬

তার অর্থ এ কাল পাথর যেন তেন পাথর নয়, খোদ বেহেস্ত থেকে পথ ভুলে পৃথিবীতে টুপ করে এসে পড়েছে।আর এ পাথরের আছে পাপ মোচনে ক্ষমতা যা খোদ স্বয়ং নবীও মনে করতেন। তাহলে বিষয়টি দাড়াল, মোহাম্মদের আল্লাহ ছাড়াও একটা কাল পাথরেরও পাপ মোচনের ক্ষমতা বিদ্যমান। ঠিক একারনেই নিজেদের সীমাহীন পাপ মোচনের জন্য হজ্জের সময় হাজীরা এ কাল পাথরকে চুমু বা নিদেন পক্ষে একটু স্পর্শ পাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়, এটাকে স্পর্শ করতে যেয়ে এ পর্যন্ত কত মানুষ মানুষের পায়ের নীচে চাপা পড়ে মারা গেছে তার কোন সঠিক হদিস নেই।আর বলা বাহুল্য, মোহাম্মদের কাল পাথরকে এভাবে পাপ মোচনকারী হিসাবে প্রচার করাটা মারাত্মক শিরক।বলতে গেলে তা অন্যান্য ধর্মের চেয়ে বেশী শিরক। অন্য ধর্ম যেমন- হিন্দুরা দেব দেবীর মূর্তি তৈরী করে পূজো করে, আপাত দেখতে মনে হয় মূর্তি বা জড় পদার্থের পূজা , কিন্তু আসলে ওরা মূর্তি পূজা করে না, ওরা ওদের জীবন্ত দেব দেবীকে মূর্তির মধ্যে কল্পনা করে তার পূজা করে।বিভিন্ন দেব দেবীকে তারা আলাদা আলাদা ঈশ্বরও ভাবে না, প্রতিটি দেব দেবীকে তারা মনে করে তাদের এক ঈশ্বরের এক একটি গুণের প্রতিরূপ।যেমন যে ধণের কামনা করে সে ঈশ্বরের ধণ সম্পর্কিত গুণরূপ লক্ষ্মীর পুজা করে, যে বিদ্যা বা জ্ঞানের কামনা করে সে ঈশ্বরের জ্ঞানরূপ স্বরস্বতীর পুজা করে, ইত্যাদি। খৃষ্টানরা গীর্জার মধ্যে মেরী ও যীশুর মুর্তি তৈরী করে তার সামনে মাথা নত করে ও প্রার্থনা করে। আপাত দেখতে মনে হয়, মূর্তির সামনে মাথা নত করছে ও প্রার্থনা করছে, আসলে তারাও হিন্দুদের মত তারা জীবন্ত যীশুকে মুর্তির মধ্যে কল্পনা করে সেটা করছে।এর ফলে তাদের মধ্যে তাদের ঈশ্বরের সাথে একটা নৈকট্যের বন্ধন অনুভুত হয়।হাওয়ার সামনে বসে পূজা বা প্রার্থনা করার চেয়ে এটা অনেক বেশী উপভোগ্য ও আন্তরিক হয়ে ওঠে।সুতরাং যুক্তির খাতিরে দেখা যায়, হিন্দু বা খৃষ্টান এরা গূঢ়ার্থে মোটেই মূর্তি পূজা করে না অর্থাৎ শিরক করে না।

ইসলাম পূর্ব যুগে আরব রা ঠিক এভাবেই কাল পাথরকে পুজা করত আর তাদের দেখা দেখি মোহাম্মদও সেটা করতেন সেই বাল্য কাল থেকে।পরে ইসলাম চালু করার পরও তিনি সেটা বাদ দেন নি, কারন তিনি রাজনীতিবিদ বা সমরনেতা হিসাবে ভাল মতো চালু হলেও আধ্যাত্মিক বা তাত্ত্বিক বিষয়ে জ্ঞান ছিল সীমিত। কাল পাথরের সামনে মাথা নত করে তাকে চুমু খাওয়া তার একেশ্বরবাদী ধর্মেরই যে মহা লংঘন তথা চুড়ান্ত শিরক তা তার মাথাতে ঢোকেনি একেবারেই।আর এ একবিংশ শতাব্দিতে প্রায় দেড় বিলিয়ন মুসলমানদের মাথাতেও ঢুকছে না কোনমতে।অথচ স্বাড়ম্বরে চিৎকার করে ঘোষণা করে চলেছে ইসলাম হলো একমাত্র সত্য ধর্ম যা একেশ্বরবাদীতা প্রচার করে, কোন শিরক করে না, জড় পদার্থের পূজা করে না।

এবার আসা যাক, কাবা ঘরকে কিবলা করে তার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া শিরক কি না।মোহাম্মদ তার নবুয়ত্বত পান চল্লিশ বছর বয়েসে। তার আগে তিনি ৩৬০ পুতুল ভর্তি কাবার মধ্যে বসে তাদের উপাসনা করতেন। এমন কি নবুয়ত্ব পাওয়ার পরও তিনি উক্ত পুতুল ভর্তি ও দেয়ালে আঁকা নানা দেব দেবীর মূর্তি ভর্তি কাবার মধ্যে বসে তাঁর আল্লাহর আরাধণা করতেন।তাতে কোন অসুবিধা হতো না। অথচ তিনিই হাদিসে বলছেন-

আয়শা বর্ণিত- আল্লাহর নবী বলেছেন- যারা প্রানীর ছবি আকে তাদের শেষ বিচারের দিন আল্লাহ বলবেন- যে সব প্রানীর ছবি আকতে তাদেরকে জীবন দান কর। যে ঘরে কোন প্রানীর ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেস্তারা প্রবেশ করে না। সহি বুখারি, বই-৩৪, হাদিস-৩১৮

সাইদ বিন আবু হাসান বর্ণিত- যখন আমি ইবনে আব্বাস এর সাথে ছিলাম , এক লোক এসে বলল- হে আব্বাসের পিতা , আমি ছবি একেঁ জীবিকা নির্বাহ করি। ইবনে আব্বাস বললেন- আমি শুধুমাত্র নবীর কথা থেকে বলতে পারি তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি ছবি আকেঁ তাকে সেই পর্যন্ত শাস্তি দেয়া হবে যে পর্যন্ত না সে তাতে জীবন দান করতে পারে ও সেটা কখনই সম্ভব হবে না। এটা শুনে লোকটার মুখ শুকিয়ে গেল। ইবনে আব্বাস বলল- তবে যদি তুমি ছবি আকতেই চাও তাহলে গাছ পালা ও নির্জীব বস্তু এসবের ছবি আকঁতে পার। সহি বুখারি, বই-৩৪, হাদিস-৪২৮

আবু তালহা বর্ণিত- আমি নবীকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন যে ঘরে কোন প্রানীর ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেস্তারা প্রবেশ করে না। সহি হাদিস, বই- ৫৪, হাদিস- ৪৪৮

তাই নিচের আয়াত নাজিল হয় -………………………(পুরটি পড়তে এই লিঙ্ক ক্লিক করুন http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=28811)

দয়া করে এর সমাধান করুন

FIRST POST OF ADARSHA-BLOG

Related posts

Leave a Comment