ভালবাসা দিবসের লাল গোলাপ:
আজ ভালবাসা দিবস, পূর্বের থেকেই আমাদের এ দিনটি নিয়ে ছিল মহা এক আয়োজন। আমরা ঠিক করেছিলাম আমরা ভালবাসা দিবসে ফ্যান্টাসী কিংডমে কনসার্ট দেখতে যাব, আমার বাসার থেকে ঠিক সময়ই বের হয়েছি। আমি কোচিং এর আধা ঘন্টা আগে বের হয়েছিলাম কিন্তু ভাগ্য এতো খারাপ যে যখনি কোচিং এর সামনে পৌঁছে গেছি, ঠিক তখনি সামনে থেকে ফাইটার প্লেন এর মত একটা কাক উড়ে এসে আমার উপর একটা মিসাইল ফেলে চলে গেলো, কিছু বুঝার পূর্বেই মিসাইলটা আমার পিঠে এসে পরল। তাই আমি আবার বাসায় ব্যাক করলাম, বাসায় গিয়ে শার্ট ঈযধহমব করে আসতে আসতে কোচিং এর সময় প্রায় শেষ, প্রিয়াতো ওদিকে ফোন করে আমাকে বেঈমান, চাপাবাজ, ফটকা এসব বলেও শান্ত হইনি বরং আদেশ করল আধ ঘন্টার মধ্যে হাজির হওয়ার জন্য।
ভাবলাম লাল গোলাপ নিয়ে যাই। বেচারি হয়তো এতক্ষণে কেঁদে কেটে লাল হয়ে গেছে। তাই, সাথে কিছু রোমান্টিক ডায়ালগ ও ঠিক করে নিলাম। পৌঁছাতে এক ঘন্টা লেগে গেলো। প্রিয়া ম্যাডাম বসে বসে অপেক্ষা করছে আশে পাশে কেউ নেই। লাল একটা স্কার্ট সাথে লাল- হলুদ একটা ফতুয়া পরেছে। সামনে কিছু ফুলের পাপড়ি পরে আছে, বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে, ঐ সুন্দরী প্রিয়া নিষ্পাপ ঐ ফুলটাকে টুকরা টুকরা করেছে। আজকে আমাকেও এরকম টুকরা টুকরা করতে পারে। তাই প্রথমেই সামনে গিয়ে বললাম; কেমন আছেন ম্যাডাম?
চুপ করে আছে মনে হচ্ছে দাত কামড়াচ্ছে, আমি মনে মনে ভাবছি এতা রাগি বউ বিয়ে করলে তো মনে হয় বছরে ১০০ বারের উপর ঝাড়– মারবে।
হঠাৎ একটা ছেলে আমাদের কাছে এসে প্রিয়াকে প্রশ্ন করল
: প্রিয়া তুমি? কেমন আছ?
আমি হা করে দেখছি, এইটা আবার কে? ওর দিকে প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে তারপর উত্তর দিল,
: আরে তুমি, ভাল আছ।
তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল,
: ওর নাম মেনাফা, ও আমার কাজিন।
তারপর নতুন নায়ক সাহেব আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
: আমি রনি, আমরা একসাথে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছিলাম আর কিছুক্ষণ কথা বলার পর নতুন নায়ক চলে গেলেন তারপর আমি প্রিয়াকে বললাম কে ও?
: কেন সন্দেহ হচ্ছে নাকি?
যদিও আমি উত্তর দিলাম না। কিন্তু, সত্যি বলতে আমার কেমন যেন ভয় লাগছিল। অনেকক্ষণ যাবত আমরা দুজনে চুপ করে বসে আছি, প্রিয়া নিরবতা ভেঙ্গে জিজ্ঞাসা করল,
: আচ্ছা ফুলটা কি দিবে না? নাকি ওগুলো অন্য কারও জন্য।
: ঙয! ঝড়ৎৎু ওহ্ সরি বলে আমি ওকে ফুলটা দিলাম। এবার আমার হাতে হাতটা রেখে প্রশ্ন করল,
: প্রিয় তুমি আমাকে কতটা ভালবাস?
ঠবৎু পড়সসড়হ প্রশ্ন। উত্তরটা আমার ভাল করেই জানা ছিল, তাই উত্তর দিতে আর দেরি না করে বরং ওর ডান হাতটা আমার দুহাতের মাঝে নিয়ে আমি বললাম-
তবে শুনো প্রিয়া, মেনাফা প্রিয়াকে কতটা ভালবাসে? ঐ আকাশকে চাঁদ যতটা ভালবাসে আকাশকে,
তার চেয়েও বেশী
তুমি তোমাকে যতটা ভালবাস,
তার চেয়েও বেশী।
প্রিয়া প্রিয়কে যতটা ভালবাসে তার চেয়েও বেশী।
: ধ্যাত! সত্যি করে বল না।
: মানুষ তার জীবনকে যতটা ভালবাসে তার চেয়েও বেশী ভালবাসি আমি তোমাকে।
: থাক অনেক চাপা মেরেছ এবার চল কিছু খাই।
: কি খাবে?
: আজ আমি তোমাকে খাওয়াব। ঠিক আছে।
: কি খাওয়াবে?
: চটপটি অথবা ফুচকা কোনটা?
: দুইটাই খাবো।
চপপটি খাওয়ার জন্য ধানমন্ডি ৮নং ব্রিজে এসে হাজির হলাম। তারপর ব্রিজের মাথায় একটা চটপটিওআলা পাওয়া গেল। প্রথমে এক প্লেট করে ফুচকা নিলাম। প্রথমে প্রিয়া আমাকে ফুচকা খাওয়ায় দিল তারপর অবশ্য আমিও খাইয়ে দিলাম কিন্তু প্রিয়া কামড়টা দিতে দেরি, বলতে দেরি নাই, ‘সরি, ব্যাথা পেয়েছ।’ বলে আঙ্গুলটাতে একটা করংং ও দিল। সত্যি এই ভ্যালেনটাইন্স ডে-টা আমি জীবনেও ভুলতে পারব না। সারাদিন অনেক আনন্দ হয়েছে, স›ধ্যায় বাড়িতে ফিরে এলাম কিন্তু মনটা এখনও প্রিয়ার কাছে রয়ে গেছে।
দেখতে দেখতে আমাদের এইচ. এস.সি পরীক্ষাও চলে আসল। আর মাত্র ৩০-৩৫ দিন বাকি। যতটা দিন যাচ্ছে ততটা ভয় যেন মনের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে। এখন আমাদের দিনগুলো অনেক মজার তারপরও কেন যেন মন খুলে হাসতে পারি না, মনের মধ্যে কেমন যেন ভয়। আর মাত্র ১০ দিন পর আমাদের কোচিং শেষ হয়ে যাবে। তারপর শুধুমাত্র বেলায়েত স্যারের কাছে পড়তে গেলে একবার দেখা হবে, ভাবতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা ব্যথা অনুভব হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা:
আমাদের পরীক্ষার আর মাত্র ২০ দিনের মত বাকি, আজ কোচিং ও শেষ। তাই আমাদের মনটা খুব খারাপ, কোচিং শেষে আমি প্রিয়াকে নিয়ে হাটছি, কেউ কোন কথা বলছি না, দুজনেই চুপচাপ হাটছি, হাটতে হাটতে কখন যে গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম বুঝতেও পারলাম না। নীরবতা ভেঙ্গে প্রিয়া বলল,
: মেনাফা, চিঠিটা নেও
: আমিও লিখেছিলাম কিন্তু আনতে ভুলে গেছি, ঝড়ৎৎু
: আজকের দিনটাতেও তোমার আমার কথা মনে ছিল না?
: ঝড়ৎৎু প্রিয়া, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
: তুমি এখুনি আমাকে ভুলে যাচ্ছ, আর পরীক্ষার পর তো আমাকে চিনতেও পারবে না।
: বিশ্বাস কর প্রিয়া তোমার জন্য আমি সব কিছুই ঝধপৎরভরপব করতে পারি, আমি তোমাকে সত্যি সত্যি ভালবাসি।
:আমি জানি, তুমি আমাকে অনেক ভালবাস, আমি তোমার চোখে আমারি স্বপ্ন দেখতে পাই। আমিও তোমাকে ভালবাসি- বলতে না বলতে প্রিয়ার চোখ থেকে অশ্র“ পরতে শুরু করল, আমি যেন ওর চোখ থেকে ঝড়া সেই অশ্র“তে আমার সত্যিকার ভালবাসা দেখতে পাচ্ছি। তারপর কিছুক্ষণ পর দুজন দুজনের পথে চলতে থাকলাম।
বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুম দিলাম। হঠাৎ কি যেন একটা দেখে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি বিকাল ৫:৩০ মিনিট। মুখ হাত ধুয়ে পড়তে বসলাম, পড়া লেখা করে শুতে শুতে রাত ১১টা বেজে গেল। খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে চলে গেলাম বিছানায়, প্রিয়ার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।
রাত ৩টায় হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল, ভয়ের একটা স্বপ্ন দেখেছি। বুকটা কেমন যেন ধুপধুপ করছে। শরীর ঘামে চুপ চুপ করছে। বাথরুমে গিয়ে মুখ হাত ধুয়ে নিলাম। ঘরে এসে টেবিলে বসলাম আর প্রিয়ার কথা ভাবতে থাকলাম। হঠাৎ প্রিয়ার চিঠির কথা মনে পরে গেল, শার্টের পকেট থেকে চিঠিটা নিলাম, টেবিলে টেবিল ল্যাম্পের মিটি মিটি আলোতে চিঠিটা মেলে ধরলাম, চিঠিটা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজান।
প্রিয় মেনাফা,
কেমন আছ তুমি? ভাল থাক এই কামনা করি। সত্যি বলতে আমার প্রতিটি মুহুর্তে জানতে ইচ্ছে করে তুমি কেমন আছ, কোথায় আছ, কি করছ? কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও পারি না।
আমার কতটা আপন হয়ে গেছি তাই না? আমি তোমাকে যতটা বুঝতে পারি ঠিক ততটা তুমিও আমাকে বুঝতে পার। জান আমার দেহটাই শুধু আমার কাছে। কিন্তু, আমার মনটা তো সব সময় তোমারি কাছে থাকি। হাজার চেষ্টা করেও আমি মনটাকে একটা মুহুর্তের জন্যও ফিরাতে পারি না।
আমি হয়তো তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না, তুমি কোনদিনও আমাকে ভুলে যেও না প্রিয়।
ইতি,
তোমার প্রিয়া।
চিঠিটা পড়তে পড়তে কখন যে আমি কাঁদতে শুরু করেছি আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। আমি প্রিয়াকে দেখতে পাচ্ছি, প্রিয়া আমার কথা ভেবে কাঁদছে আর মুখে বির বির করে বলছে, প্রিয় আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। আমি তোমাকে ভালবাসি। অনেক, অনেক ভালবাসি। আমিও উত্তর দিতে শুরু করলাম, আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি প্রিয়া, তুমি আমাকে কখনও ছেড়ে যেও না প্রিয়া। একা একা কথা বলতে বলতে কখন যে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম, তা আমি টেরও পেলাম না।
এখন আমার দিনের মধ্যে প্রায় অনেকগুলো সময় শুধুমাত্র একা একা কথা বলে কেটে যায়। এ সময় আমি আমার সাথে হাজার না বলা কথা বলি, নিজেই প্রশ্ন করি আবার নিজেই উত্তর দেই। কত লক্ষ, কোটি কথা যে আমার মনের মধ্যে জমে আছে প্রিয়াকে বলার জন্য কিন্তু আজ আর সময় নেই, দিনে মাত্র একবার দেখা হয় বেলায়েত স্যারের বাসায় তাও আবার মাত্র এক ঘন্টার জন্য।
এখন আমরা দু’জন দু’জনের থেকে এক এক পা করে হাজার হাজার পা দূরে চলে যাচ্ছি, কিন্তু একদিন আমরা এর চেয়ে বেশী দূরে ছিলাম তারপর আমরা ধীরে ধীরে অনেক কাছে চলে এলাম এখন আবার যেন দূরে সরে যাচ্ছি। তবে কেন সেদিন আমরা এত কাছে এলাম? ধাৎ আমার মাথাটাই নষ্ট হয়ে গেছে সারাদিন আর রাত কি যে ভাবি।
পরীক্ষার আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি তাই বেলায়েত স্যারের কাছে আজ শেষ বারের মত আসা, প্রিয়ার সাথে এখন শুধুমাত্র দিনে একবার দেখা হয় বেলায়েত স্যারের কাছে, কিন্তু আজকের পর আবার কবে একসাথে বসে কথা হবে, তা আমাদের কেউ জানি না। জানি না আর কোনদিন কি প্রিয়াকে এতটা কাছে পাবো কিনা।
ভেবেছিলাম শেষ দেখার দিন কোন কান্নাকাটি হবে না। শুধুই হাসা-হাসি হবে কিন্তু, প্রিয়া বিদায়ের সময়, আমার হাতটা ধরে, ওর মুখের কাছে নিয়ে বলতে শুরু করল-
: তুমি আমাকে ভুলে যেও না, কোনদিনও ভুলে যেও না,
তুমি আমাকে ভুলে গেলে আমি মরে যাব।
: প্রিয়া তুমি এসব কি বল? আমি কি তোমাকে ভালবাসি না?
: আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালবাস, তুমি কোনদিনও আমার সাথে বেঈমানি করবে না। করতে পার না। তারপরও আমার খুব ভয় হয়।
এসব বলতে বলতে প্রিয়া কেঁদে ফেলল, আরও কিছুক্ষণ কাঁদার পর প্রিয়া আবার বলতে শুরু করল-
: তুমি আমাকে নিয়ে ভাববে না আর তোমার আমি তোমারি থাকব, তুমি খাওয়া-দাওয়া ঠিক মত করবে, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবে ঠিক আছে।
আরও কিছু উপদেশ দেওয়ার পর প্রিয়া চলে গেল আর আমিও আমার পথে হাটতে শুরু করলাম, হাটতে হাটতে প্রিয়ার থেকে অনেক দূরে চলে এলাম, কিন্তু মনটা যেন প্রিয়ার আরও কাছে চলে গেল।
আমার একটা মুহুর্তও যেন কাটছে না, প্রতিটি মুহুর্ত যেন শত শত বছর এর সমান। কাল থেকে পরীক্ষা শুরু, যেখানে আমার সারাটা দিন পড়া দরকার। সেখানে আমি একটা মূহুর্তের জন্যেও পড়ায় মন দিতে পারছি না। শুধুই প্রিয়ার কথা মনে পরছে। বারবার মনে হয় যদি আর একটা সেকেন্ড বেশী থাকতে পারতাম প্রিয়াকে আর একটা কথা বলতে পারতাম প্রিয়ার সাতে, আরও একবার প্রিয়ার হাসিটা দেখতে পেতাম, আরও একবার প্রিয়াকে যদি বলতে পারতাম আমি তোমাকে ভালবাসি, এসব কথা ভাবতে ভাবতেই আমার দিনের পর রাত আসে আবার রাত শেষে দিন আসে।
দীর্ঘ পাঁচ দিন পর আবার আজ প্রিয়ার সাথে দেখা হল আমার, আমাদের প্রথম পরীক্ষা শেষে। কিন্তু প্রিয়ার সাথে প্রিয়ার মা এসেছে তাই হাজার চেষ্টা করে প্রিয়াকে বলতে পারলাম না আমি তোমাকে ভালবাসি।
দেখতে দেখতে সবগুলো পরীক্ষাই শেষ হয়ে গেল। আজ আমাদের চৎধপঃরপধষ পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেল প্রিয়া আজ একাই এসেছে। প্রিয়াকে আজ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আজকের পর আমাদের কবে, কোথায় দেখা হবে তা আমাদের কেউ জানি না। তাই আজ আমাদের দু’জনের কারও মুখে হাসি নেই আর অন্যদিকে সবাই শেষ পরীক্ষা দিয়ে ঈদ পালন করছে। সব দু:খ যেন শুধু আমাদের উপর দিয়েই যাচ্ছে।
আমি প্রিয়ার সাথে হাটছি এর মধ্যে প্রিয়া বলল,
: তোমার কানে কানে একটা কথা বলব,
: কেন?
: ইচ্ছা, প্লিজ,
: আচ্ছা বল, আমি আমার কানটা ওর ঠোটের সামনে নিতেই ফিস ফিস করে বলতে শুরু করল: আমি তোমাকে ভালবাসি, এ জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি, আমাকে তুমি ভুলে যেও না আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে চাই না। এটুকু বলেই ঘেমে গেল, আমি বললাম; কি এতটুকুই আর কিছু বলবা না?
: তুমি কিছু বলবে না?
: আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা তুমিই বলে দিয়েছ।
: থাক হয়েছে, আর শুনো তুমি ভাল মত খাওয়া-দাওয়া করবে এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাকবে, আমাকে নিয়ে ভাববে না, আর একটা কথা হচ্ছে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাকে আর কষ্ট দিব না।
: আর এ মাত্র তিনটা মাস তারপর তো অবার আমাদের দেখা হবে।
: ও আর আমি কথা বলতে চাইলে মিস কল দিব যদি সাথে সাথে ইধপশ না কর তাহলে তোমার খবর আছে।
: আবার হুমকি দিচ্ছো?
: ঝড়ৎৎু আর হ্যাঁ জবংঁষঃ দিলেই মিষ্টি নিয়ে আগে আমাদের বাসায় আসবে তারপর অন্য সবাই, কিপটামি করবে না ঠিক আছে।
: এ তিন মাসের মধ্যে দেখা করবে না?
: সুযোগ পেলেই আমি তোমার কাছে চলে আসব,
: সত্যি?
: আবার জিগায়,
তারপর আরও কিছুক্ষণ কথা বলার পর আমাদের বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে গেল, প্রিয়া বলল,
: যাই এবার যেতে হবে,
: যাওয়ার জন্য একেবারে পাগল হয়ে গেছ?
কথাটা বলাই আমার ভুল হয়েছে,
: তোমাকে ছেড়ে আমি হয়তো এ তিনটা মাসের একটা মুহুর্তের জন্যেও মন খুলে হাসতে পারব না আমি হাসতে গেলেই আমার মনে হবে তুমি কি আমাকে ছেড়ে হাসতে পারছ?….. বলতে বলতে প্রিয়া যেন বাচ্চাদের মতই কেঁদে ফেলল, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না কি বলে যে শান্তনা দেই।
: প্রিয়া চুপ কর, আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালবাস।
: তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পার না।
: ধাৎ কি যে বল তুমি,
কথার শেষে বাধ্য হয়ে বাসার পথ ধরলাম, প্রিয়াও নিজের গন্তেব্যের দিকে ছুটতে শুরু করছে।
ভাল লাগছে না, ভাবতেই কেমন যেন ভয় লাগছে আমার এ তিনটা মাস কি ভাবে কাটবে? ধীরে ধীরে হাটছি আর ভাবছি প্রিয়া হয়তো এতক্ষণে বাসায় পৌঁছে গেছে শুধু প্রিয়াই নয় সবাই পরীক্ষার শেষে যার যার গন্তব্যে পৌছে গেছে কিন্তু আমি সবার সাথেই পরীক্ষা দিয়ে বাহির হয়েছি তারপরও আমি আমার গন্তব্যে পৌছাইনি। পৌছাইতে এখনও অনেক সময় লাগবে।
.: কিছু পাতা । মেহেদী মেনাফা :.
একটি ভালবাসার গল্প
“কিছু পাতা”উপন্যাসটি আমার জীবনের কিছু সত্য এবং কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা। এটাই আমার জীবনের প্রথম লেখা উপন্যাস, তাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।
(if you can’t read cause of Bangla text, you can try image format at this link http://www.black-iz.com/vinnokobor/kisupata.html) (Also you can download this book from this link @ http://www.black-iz.com/kp/kisupata.doc)