তত্ত্ব বা
কারণ
বিশ্লেষণ
তোতলামী কেন হয়?
কথা বলতে গেলে অনেকের কথা আটকে যায়। অনেকের আবার কথা বলার সময় একটা বর্ণ বা পুরো একটা কথা বারবার বেরোতে থাকে। একে তোতলামী বলে। এটা কেন হয়?
কথা বলার সময় দু’টো পদ্ধতি আমাদের সাহায্য করে। (এক) স্বরযন্ত্রের স্বরপর্দার সাহায্যে বাতাসের কম্পনে শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি। (দুই) ঠোঁট, জিহ্বা, মুখবিবর, তালু প্রভৃতির সাহায্যে শব্দের উচ্চারণ। কথা বলার জন্য মুখের বিভিন্ন অংশ একযোগে নড়াচড়া করে। প্রধানত উচ্চারণে মুখের যেসব পেশী সাহায্য করে, তাতে সংকোচনের অস্বাভাবিকতার জন্য তোতলামী হয়।
নানা মানসিক কারণে পেশী সংকোচন অস্বাভাবিক হয়। আর তা অনেক ক্ষেত্রে দৃঢ়তার অভাবে হয়ে থাকে। আবার লজ্জা, ভয়, তাড়াতাড়ি কথা বলার চেষ্টা ইত্যাদি কারণেও পেশী সংকোচন অস্বাভাবিক হতে পারে। পেশীর অস্বাভাবিক সংকোচনে শব্দের ঠিকমত উচ্চারণে বাধা পড়ে। শব্দের সঠিক উচ্চারণের জন্য পেশীগুলোর সূক্ষ্ম নড়াচড়ার দরকার। আবার মস্তিষ্কে যে কথা বলার কেন্দ্র আছে – সেখানে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেও কথা বলার পেশীগুলোর সূক্ষ্ম নড়াচড়ায় বাধা পড়তে পারে। তাতে তোতলামী দেখা দেয়।
– সাহেদ আজীম
কোন্ কোন্ অঙ্গ বাদ দিলেও মানুষ বেঁচে থাকে?
মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ছাড়া আমাদের দেহের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই সংযোজন, সংস্থাপন, প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। আবার কিছু কিছু দেহাংশ এমন রয়েছে – যেগুলো বাদ দেয়াও যায় অর্থাৎ এগুলো আর প্রতিস্থাপিত করার প্রয়োজন পড়ে না।
আমাদের অন্ত্র¿কে কিছু সময়ের ব্যবধানে অল্প অল্প করে কেটে ফেলে দিলেও দেহের ওপর তেমন খারাপ কোন প্রভাব পড়ে না। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ক্ষুদ্রান্ত্রকে পর্যায়ক্রমে কেটে বাদ দিলে কোন অসুবিধা হয় না। যকৃৎ বা লিভার থেকে এক টুকরো যদি আলাদা করে নেয়া হয়, তাতেও কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই সেই স্থানটি ভরে আগের অবস্থায় চলে যায়।
আবার কিছু অঙ্গের অনুরূপ আরো একটি অঙ্গ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিম্বাশয়, অ-কোষ এবং কিডনী। এই অঙ্গগুলোর একটিই পুরো কাজ চালাবার জন্য যথেষ্ট। ফুসফুস না থাকলে বাঁচা সম্ভব নয়, কিন্তু এর একটি অংশ না থাকলে, তেমন অসুবিধা হয় না।
– নূরুজ্জামান মানিক
মহিলারা বেশী কাঁদে কী কারণে
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য হচ্ছে, হরমোন জাতীয় পার্থক্যের কারণে মহিলারা প্রায়ই পুরুষের চারভাগেরও বেশী পরিমাণ কেঁদে থাকে। আবেগতাড়িত কান্নায় প্রোল্যাক্টিন নামক এক প্রকার যৌগিক পদার্থের উপাদান থাকে। মহিলাদের রক্তে পুরুষের চেয়ে ৬০%-এর বেশী প্রোল্যাক্টিন প্রভাবিত করে। অন্যদিকে যুবতীদের এই উপাদানের পরিমাণ যুবকদের চেয়ে বেশী নয়। কেননা, বয়স যত কম, ততই এর পরিমাণটা সমান হয়ে আসে। আর এই জন্যই দেখা যায় – শিশু ও বালক-বালিকারা প্রায় সমপরিমাণই কেঁদে থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই হরমোন বেশী কেন? এর জবাব হচ্ছে – প্রোল্যাক্টিন মহিলাদের স্তনগ্রন্থিতে দুধ উৎপাদনের জন্য সংকেত পাঠায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, একইভাবে মহিলাদের কান্না গ্রন্থিতেও এ হরমোনটি কাজ করে এবং এই গোপন কান্না তাদেরকে উত্তেজিত করে। আর অপরদিকে পুরুষদের একটি হরমোন আছে, যা প্রকৃতপক্ষে কান্না দমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
– মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
বল পয়েন্ট কলম কিভাবে এলো
বলপয়েন্ট কলম ঘুরছে বিশ্বের আনাচে-কানাচে। অথচ মাত্র ৮০ বছর আগে এ কলমের প্রথম নমুনা তৈরী হলেও ১৯৪৩-এর আগ পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে তেমন সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়নি। এ কলমের প্রযুুক্তিগত উন্নয়নে মার্কিন বিমানবাহিনীই মূল ভূমিকা পালন করে। তাদের দাবী ছিল, আমাদের এমন ধরনের কলম চাই – যা বিমান চলাকালে ব্যবহার করা যাবে এবং বিমানের বিভিন্ন উচ্চতায় বায়ুচাপ কমে গেলেও কালি উগড়ে দেবে না।
বলপয়েন্ট কলমের রিফিলের মাথায় থাকে একটি ছোট পিতলের ধাতব বল। এই বলটিকে বলা হয় লেখ-বিন্দু। রিফিলে ব্যবহৃত কালি যথেষ্ট ঘন এবং বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরী। ঘন হওয়ায় এ কালি ফাঁকা দিয়ে বের হয় না। অথচ কালির প্রবাহ হয় মসৃণ এবং তার ফলে পেনের সাহায্যে অখ- লাইন আঁকা যায়। তাই ঝরণা কলমের বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে এ কলম। এ কলমের অসুবিধাও রয়েছে। এর দ্বারা সরু বা বেশী মোটা দাগ দেয়া যায় না।
– মাসুম মজুমদার
হোয়াইট হাউজ হোয়াইট কেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টগণের রাস্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার ভবন হচ্ছে হোয়াইট হাউজ। কিন্তু এই ভবনটির নাম হোয়াইট হাউজ কেন হল – অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে।
১৮১৪ সালে সংঘটিত এক ভয়াবহ অগ্নিকা-ে হোয়াইট হাউজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন দিকে। এর রঙ আগুনের থাবায় ধুয়েমুছে ছাই রঙের এবং ধূসর হয়ে যায়। পরে ঐ ছাইধূসর রঙ হোয়াইট বা সাদাটে রঙ ব্যবহারের ফলে মহত্ত্ব ছড়াতে থাকে। সেই থেকে এর নাম হোয়াইট হাউজ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেটেগণের মধ্যে জন এডাস প্রথম হোয়াইট হাউজে বাস করার সৌভাগ্য লাভ করেন।
– নাজমুল আহসান রাজ
Good Nice News