গবেষণা প্রতিবেদন ::::: মে – ’১২

ডাক্তার জাকির নায়েক

কুরআন ও হাদীসের

অপব্যাখ্যা করছেন

 মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী

 

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

 

ইতোপূর্বে ডাক্তার জাকির নায়েকের পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফের মনগড়া ব্যাখ্যা সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় পেশ করা হয়েছে। তেমনি ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বহু আয়াত ও বাক্য-শব্দের অপব্যাখ্যা করে মুসলমানদের মধ্যে গোমরাহী সৃষ্টি করেছেন। নি¤েœ এ সম্পর্কে আরো কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হলো।

 

 

কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা বিকৃত করে উজু ছাড়া

কুরআন শরীফ ধরা যাবে বলে স্বগতোক্তি

 

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন –

“পবিত্রতা অর্জনকারীগণ ব্যতীত কেউ কুরআন শরীফ স্পর্শ করবে না।”

(সূরাহ ওয়াক্বি‘আ, আয়াত নং ৭৯)

এখানে পবিত্র কুরআনের সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি বুঝিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লওহে মাহফূজে সংরক্ষিত পবিত্র কুরআন যেমন পবিত্র ফেরেশতাগণ ব্যতীত কেউ স্পর্শ করতে পারে না (দ্রষ্টব্য : হযরত আনাস, সাঈদ ইবনে যুবাইর ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. সূত্রে কুরতবী ও ইবনে কাছীর), তেমনি পৃথিবীতে মাসহাফে লিখিত পবিত্র কুরআন হদস (বে-উজু বা গোসল ফরজ হওয়ার অবস্থা) ও হায়েজ-নিফাস প্রভৃতি থেকে মুক্ত ও পবিত্রতা অর্জনকারী ব্যক্তি ব্যতীত কারো স্পর্শ করা যাবে না (দ্রষ্টব্য : হযরত আতা, ত্বাউস, সালেম ও বাকের রহ. সূত্রে রূহুল মা‘আনী)। এদিক দিয়ে এখানে  (সংবাদসূচক বাক্য)  ব্যবহৃত হয়েছে?    বা   (নিষেধসূচক বাক্য)-এর অর্থে। সুতরাং এর অর্থ হচ্ছে – “তোমরা পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন শরীফ স্পর্শ করো না।” (দ্রষ্টব্য : তাফসীরে  মা‘আরিফুল কুরআন – সৌদী সংস্করণ, ১৩৩১ পৃষ্ঠা)

অতএব, বুঝা যাচ্ছে – গোসল ফরজ হয়ে থাকলে গোসল করে পবিত্র হওয়া ছাড়া এবং বে-উজু থাকলে, সেই অবস্থায় উজু করা ব্যতীত কুরআন শরীফ স্পর্শ করা জায়িয নয়। আয়াতটির এ তাফসীরকেই আল্লামা কুরতবী (রহ.) অধিক স্পষ্ট বলেছেন এবং তাফসীরে মাজহারীতে এ ব্যাখ্যাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

উজু ছাড়া কুরআন শরীফ স্পর্শ করার নিষিদ্ধতা সূরাহ আবাসা’র ১৩ ও ১৪ নং আয়াত দ্বারাও বুঝা যায়। উক্ত আয়াতদ্বয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন –

“এ কুরআন রয়েছে সম্মানিত সহীফাসমূহের মধ্যেÑযেগুলো উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন ও পূত-পবিত্র।”

(সূরাহ আবাসা, আয়াত নং     ১৩ – ১৪)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে মা‘আরিফুল কুরআনে বলা হয়েছে –  বলে পবিত্র কুরআনের উচ্চমর্যাদা বুঝানো হয়েছে এবং    বলে বুঝানো হয়েছে যে, নাপাক মানুষ, হায়েজ ও নিফাসওয়ালী নারী এবং উজুহীন ব্যক্তি একে স্পর্শ করতে পারে না।

(দ্রষ্টব্য : তাফসীরে  মা‘আরিফুল কুরআন – সৌদী সংস্করণ, ১৪০৭ পৃষ্ঠা)

তেমনিভাবে বহু হাদীসে উজু ছাড়া কুরআন শরীফ স্পর্শ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। মুআত্তা ইমাম মালেক (রহ.) হাদীস গ্রন্থে হযরত আমর ইবনে হায্ম (রা.) সূত্রে বর্ণিত আছে, তাঁর নামে লিখিত পত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) উল্লেখ করেছেন –

 “পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন শরীফ স্পর্শ করবে না।”

এ হাদীসটি রূহুল আ‘আনীতে মুসনাদে আবদুর রায্যাক, ইবনে আবী দাউদ ও ইবনুল মুনযির থেকে বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপ তিবরানী শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন –

 “পবিত্রতা অর্জনকারী ব্যতীত কুরআন শরীফ স্পর্শ করবে না।”

এ সকল আয়াত ও হাদীস দ্বারা স্পষ্টরূপে প্রমাণিত হচ্ছে – কুরআন শরীফ উজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে না। তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম।

তবে কুরআন শরীফ উজু ছাড়া মুখস্ত তিলাওয়াত করা যাবে। কিন্তু যদি জানাবাত ইত্যাদির কারণে গোসল ফরজ হয়ে থাকে কিংবা কোন নারী যদি হায়েজ বা নিফাস অবস্থায় হয়, তখন কুরআন শরীফ ধরাও যাবে না এবং মুখস্ত পড়াও যাবে না।

বর্ণিত আয়াত ও হাদীসের ভিত্তিতে চার মাযহাবের সকল ইমাম এবং ফুকাহায়ে কিরাম থেকে ইজমায়ী মাসআলা বর্ণিত হয়েছে যে, বিনা উজুতে কুরআন শরীফ স্পর্শ করা যাবে না। তা হারাম ও কবীরা গুনাহ।

কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন – বিনা উজুতে কুরআন শরীফ স্পর্শ করা যাবে। কুরআন শরীফ স্পর্শ করতে উজুর প্রয়োজন নেই।

এ মর্মে ডাক্তার জাকির নায়েক কুরআনের আয়াত “পবিত্র ব্যতীত কেউ কুরআন শরীফ স্পর্শ করবে না” উল্লেখ করে তার ব্যাখ্যা বিকৃত করে বলেন – এটা আমাদের এ কুরআন সম্পর্কে বলা হয়নি, বরং লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, ফেরেশতা ব্যতীত কেউ সেটা স্পর্শ করতে পারবে না।

(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৬২৬)

অধিকন্তু আরবী সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় উক্ত আয়াতে বর্ণিত  (অর্থ – কুরআন স্পর্শ করবে না) শব্দটির অর্থ ডাক্তার জাকির নায়েক বুঝেছেন – “কুরআন স্পর্শ করার ক্ষমতা রাখবে না”। তাই তিনি এক্ষেত্রে অসার যুক্তির আশ্রয় নিয়ে দাবী করেছেন যে, আমরা যদি এটাকে আমাদের এই দুনিয়ার কুরআনের ব্যাপারে বলি, তাহলে যে কেউ (অমুসলিম) মার্কেট থেকে ৮০/১০০ টাকায় কুরআন শরীফ কিনে নিয়ে বলবে যে, কুরআন মিথ্যা। কেননা, কুরআনে বলা হয়েছে যে, পবিত্রতা অর্জনকারী ব্যতীত কেউ এটা স্পর্শ করতে পারবে না। অথচ আমি অপবিত্র হয়েও এটা স্পর্শ করতে পারলাম।

(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৬২৬)

নাউযুবিল্লাহ। এভাবে অসার যুক্তি ও কুরআন-হাদীসের অর্থ ও ব্যাখ্যার বিকৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে ডাক্তার জাকির নায়েক উম্মতের মধ্যে গোমরাহী ছড়িয়েছেন।

 

  (হুর) শব্দের মনগড়া ব্যাখ্যা করে কুরআনের আয়াতের অর্থ বিকৃতি

 

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন –

“এভাবেই হবে; আর আমি তাদেরকে ‘হুরে ঈন (আনতলোচনা স্ত্রী)’-এর সাথে জুড়ি মিলিয়ে দিবো।” (সূরাহ দুখান, আয়াত নং     ৫৪)

আল্লাহ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন –

“আমি তাদেরকে ‘হুরে ঈন’-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিবো।” (সূরাহ তূর, আয়াত নং      ২০)

আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র ইরশাদ করেন –

“সেখানে (জান্নাতসমূহে) থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ। …. তারা হবে খীমায় অবস্থানকারীণী হুর।” (সূরাহ রাহমান, আয়াত নং     ৭০ ও ৭২)

আল্লাহ তা‘আলা অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন –

“এবং (জান্নাতীগণের জন্য হবে) হুরে ঈন (আনতলোচনা হুরগণ)। যেন তারা আবরণে রক্ষিত মতি।”

(সূরাহ ওয়াকি‘আ, আয়াত নং     ২২ – ২৩)

এ সকল আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে – হুর হচ্ছেন জান্নাতে বিশেষভাবে সৃষ্ট সুন্দরী রমণীগণ। তাদেরকে জান্নাতী পুরুষগণের স্ত্রী বানিয়ে দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তাফসীরে মা‘আরিফুল কুরআনে বলা হয়েছেÑ“জান্নাতী পুরুষদের বিয়ে সুন্দরী আনতলোচনা রমণীদের সাথে যথানিয়মে সম্পন্ন করা হবে। জান্নাতে পার্থিব বিধিবিধানের বাধ্যবাধকতা থাকবে না, কিন্তু সম্মানার্থে এসব বিয়ে সম্পন্ন হবে।”

(দ্রষ্টব্য : তাফসীরে  মা‘আরিফুল কুরআন – সৌদী সংস্করণ, ১২৪০ পৃষ্ঠা)

অপরদিকে জান্নাতী নারীগণকে অকল্পনীয় নাজ-নিয়ামত দিয়ে জান্নাতের হুরদের সাইয়্যিদা (কর্ত্রী) বানিয়ে দেয়া হবে। আর তাদেরকে তাদের স্বামীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয়া হবে। সেখানে তাদেরকে পুরুষদের ন্যায় হুর প্রদানের প্রসঙ্গই উঠতে পারে না। কেননা, হুর হচ্ছেন শুধুই স্ত্রীলোক – পবিত্র কুরআনে তাদের নানা অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে স্ত্রীবাচক শব্দ বা  বিশেষণই যথা-    প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। হুরের সাথে কোথাও পুরুষ বাচক বিশেষণ ব্যবহার করা হয় নি। এতে বুঝা যাচ্ছে – হুর শুধুই নারী। পুরুষ হুর বলে কিছু নেই।  এ ছাড়াও পবিত্র কুরআনের কোথাও এবং কোনো হাদীসে নেই যে, জান্নাতে পুরুষদেরকে যেমন স্ত্রী হুর দেয়া হবে, তেমনি নারীগণকে পুরুষ হুর বা এ জাতীয় কিছু প্রদান করা হবে।

এর কারণ হলো, জান্নাতে জান্নাতীগণকে তা-ই দেয়া হবে – যা তাদের নিরঙ্কুশ সুখ ও শান্তির বিষয় হয়। কিন্তু সতী-সাধ্বী নারীদের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্বামী বা পুরুষ জুড়ি হওয়া অসহ্য ও অনাকাক্সিক্ষত ব্যাপার। যার পীড়া তাদের সুখ-শান্তির পরিপন্থী। আর এ বিষয়টি অত্যন্ত দোষণীয় এবং এ ধরনের নারীদেরকে বারবনিতা বলা হয় – যাদেরকে সমাজের কলঙ্ক বিবেচনা করা হয়। সুতরাং জান্নাতের নারীগণের জন্য তা কখনো শোভনীয় বা সমীচীন হতে পারে না।

তাইতো জান্নাতী নারীগণকে আল্লাহ তা‘আলা এমন অকল্পনীয় ও পরিপূরক অঢেল নিয়ামত দান করবেন যে, তাঁরা এতে সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। আর এ অবস্থায় তারা জান্নাতে এক একজন জান্নাতী পুরুষ স্বামীকেই সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করবেন। তারা সেখানে একাধিক স্বামী চাইবেনই না এবং এর চিন্তাও কখনো করবেন না।

পক্ষান্তরে পুরুষগণের জন্য দুনিয়াতে একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী থাকা বিধিবদ্ধ ছিলো, তাই জান্নাতে একাধিক স্ত্রীরূপে হুরগণের সঙ্গে তাদের বিবাহ হওয়া সঙ্গত। এর ভিত্তিতেই পুরুষদের জন্য জান্নাতে হুরগণকে সঙ্গীণী হিসেবে প্রাপ্তির বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে।

(দ্রষ্টব্য : তাফসীরে জালালাইন, ৪৪৬ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কুরতুবী, ১৭ খ-, ১০৭ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে তাবারী, ১১ খ-, ৬১৪ পৃষ্ঠা/ তিরমিযী শরীফ, ২য় খ-, ৮০ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)

কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের অর্থ বিকৃত করতঃ ‘হুর’ শব্দের অপব্যাখ্যা করে হুর পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রকারের হবেন এবং পুরুষ হুর জান্নাতী নারীরা পাবেন আর নারী হুর জান্নাতী পুরুষরা পাবেন বলে কুরআন ও হাদীসের খিলাফ মনগড়া মন্তব্য করেছেন। এ প্রসঙ্গে ডাক্তার জাকির নায়েকের ভাষ্য লক্ষ্য করুন –

“অধিকাংশ অনুবাদে বিশেষ করে উর্দু ভাষায় হুরকে সুন্দরী কুমারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি হুর অর্থ সুন্দরী কুমারী হয়, তাহলে মহিলারা জান্নাতে কী পাবে?

প্রকৃত পক্ষে হুর শব্দটি ‘আহওয়ার’ এবং ‘হাওয়ার’ এ দু’টি শব্দের বহুবচন। ‘আহওয়ার’ পুরুষের জন্য প্রযোজ্য এবং ‘হাওয়ার’ মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য।…… সুতরাং প্রকৃতপক্ষে হুরের অর্থ হল সঙ্গী বা সাথী। পুরুষরা পাবে বড় বড় সুন্দর চোখবিশিষ্ট নারী আর নারীরা পাবে বড় সুন্দর চোখবিশিষ্ট স্মার্ট পুরুষ।”

(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৩৫৯)

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ডাক্তার জাকির নায়েক হুর শব্দের শ্রেণীবিভাজন করে পুরুষ হুর ও নারী হুর বলে যে প্রকারভেদ করেছেন এবং জান্নাতী পুরুষদের জন্য নারী হুর আর নারীদের জন্য পুরুষ হুর বলে যে ভাগবিন্যস্ত করেছেন, তা পবিত্র কুরআনের কোথাও নেই এবং তা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কোন হাদীসে কিংবা সাহাবায়ে কিরাম (রা.), তাবিয়ীন ও তাবি-তাবিয়ীন কারো বর্ণনা বা তাফসীরে উল্লেখ নেই। তিনি এ মর্মে যে কুরআন শরীফের দু’টি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, সেখানে  শব্দের সাথে স্ত্রীবাচক বিশেষণ রয়েছে। তাই তার সেই উদ্ধৃতি তার দাবীকে প্রমাণিত করে না। তেমনি তিনি তার দাবীর সপক্ষে যে মুহাম্মদ আসাদ ও আবদুল্লাহ ইউসুফ আলীর ইংরেজী অনুবাদের বরাত দিয়েছেন, তারাও তার মতোই ইংরেজী শিক্ষিত লোক, তারা কোন আলেম নন। তাই তাদের কথাও উপযুক্ত হাওয়ালা ছাড়া গ্রহণীয় হতে পারে না। কিন্তু সে রকম উপযুক্ত কোন হাওয়ালা সেখানে নেই।

সুতরাং ডাক্তার জাকির নায়েকের এ মনগড়া তাফসীর ও ব্যাখ্যা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং বলা যায়, এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের অপব্যাখ্যা করে তিনি জান্নাতী পূত-পবিত্র নারীদের মনোবৃত্তিতে কালিমালেপন করেছেন এবং তাদের নির্মল মাহাত্ম্যকে বারবনিতাবৃত্তিক চরিত্রকল্পে কলুষিত করে দিয়েছেন।   (চলবে)

 

 

Uncategorized

Related posts

12 Thoughts to “গবেষণা প্রতিবেদন ::::: মে – ’১২

  1. Md.Saiful Alam

    ধন্যবাদ ভাই । আপনার আলোচনা ভাল লাগল । জাকির নয়েক এর ভক্তরা বলতে পারবে না এটা প্রসঙ্গ ছাড়া উদ্ধতি । আল্লাহ আমাদের সবাইকে ফেৎনা থেকে হেফাজত করুন । আমিন,

  2. Md.Saiful Alam

    ধন্যবাদ ভাই । আপনার আলোচনা ভাল লাগল । জাকির নয়েক এর ভক্তরা বলতে পারবে না এটা প্রসঙ্গ ছাড়া উদ্ধতি ।

  3. Ismail

    Foul discussion. Please try to help Islamic revolution, do not biting each other like dogs. These two topics discussed above is not a significant part of Islam; its not Farz!!

  4. zerin

    meyra akadhik purush pele kharap dekhay r chelera pele kno kharap dekhayna?? chinta vabna ato nichu kno bujhina..chele r mey uvoyei manush.chelera jodi tar wife er akadhik shami shojjo na korte pare tobe meyrao ta shojjo korte parena..so chelera jodi hur pay tobe meyrao pabe.. dr.Jakir nayek nk geani..murkho loker moto kotha bolen na..:@

  5. Moulana Nurul Amin

    Subhanallah, a dalilic article, before I publisheds it on Sunarbangla blog post, now we are very glad for got a full article. Jazakallah, May Allah protect our Ummah for the “naik” fitna. Ameen

  6. Kamal ahmedm

    জাকির নায়েকের লেকচার ,ভিডিও অথবা অডিও ।..যেখানে তিনি এ কথা বলেছেন

    1. রমজান এবং অন্নান্য কিছু কাজের চাপের কারনে আমরা আমাদের ওয়েব-সাইট টি সাময়িক ভাবে আপডেট করতে পারছি না, তবে ইনশাআল্লাহ্‌ ঈদের পর থেকে নিয়মিত আপডেট করা হবে। ঠিক একই কারনে আপনার মন্তব্যের উত্তর দেওয়া হল না, দুঃখিত।

  7. ওমর ফারুক

    আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের বুঝে আমল করার তঐফিক দিন। আমিন

  8. anwar

    জাকির নায়েকের সব কথার সাথে হয়তো আমিও একমত নই। তার অনেক লেকচারে কিছু ভুল থাকতেই পারে এটা জাকির নায়েক নিজেও স্বীকার করেন। কিন্তু একজন জাকির নায়েক সারা পৃথিবীতে দ্বীনের দায়ী হিসেবে যে ভূমিকা রাখছেন তার কানাকড়িও যদি আপনাদের পীর সাহেবরা রাখতো তাহলে দুনিয়াতে ইসলামের আরো বেশি খেদমত হতো। আমি তো মনে করি আপনার এই হাযরাত মাওলানা মুফতি সামসাবাদী ভোগবাদী সাহেব নিজেই একজন বিদগ্ধ জ্ঞানীর বিরুদ্ধে বিষেদাগারের মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কিয়ামত অতি নিকটে, সুতরাং অপেক্ষা করুন এবং দেখুন কিয়ামতের দিন ফেরেসতারা কার দাড়ি ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুন।
    ভাই কিছু মনে কইরেন না একটা কথা কই। আপনি ও আপনাদের মত দুই টাকার ফতওয়া বাজ আলেম মৌলানারা যখন কথা বলেন তখন আসলে কাদের জন্য বলেন জানেন??? গাউ গেরামের গণ্ড মূর্খ মানুষের জন্য। আপনারা আলেমরা চিন্তাও করেন না যে আপনাদের সামনে উপস্থিত মানুষেরা একেকজন রাঘব বোয়াল ।এরা আপনারা কেরোসিন কে কেরোসিন না পানি বলে চালায়া দেন তা বিবেচনা করে। কিন্তু আপনাদের সামনে কিছু হয়ত বলে না কারন আপনাদের কিছু হইলেও সম্মান তারা করেন।কিন্তু আপনারা মওলানারা যেমনে বেহুদা ফালতু কথা বলা আরম্ভ করছেন সেইদিন বেশি দেরি নাই মানুষ ধইরা জুতাপেটা করবে। একটা উদাহরন দেই, এক মওলানা মসজিদে লিখে রাখছে “এইখানে দুনিয়াবি কথা বলা নিষেধ”। বলেন তো এই দুই টাকার অপদার্থকে কি করা উচিত।কথা সাবধানে বলবেন এখন থেকে কারন আপনাদের কথা আমরা অনেকেই যাচাই করি।
    আর জাকির সাহেবের বহুত লেকচার শুনছি , বিষ্ণু শিব নিয়া উনি যা বলছেন তার কিছু পরেই উনি বলছেন যে আমরা মুসলমানরা স্রষ্টা কে আল্লাহ নামেই ডাকি। মাইন্ড ইট উনি এখানে মুসলমান শব্দটা ব্যাবহার করছেন। যাইহোক এটা নিতান্তই একটা ফালতু ব্যাপার । বিগত ৫-১০ বছরের ভিতর কোন কোন মুসলমান উনার লেকচার শুইনা আল্লাহ কে বিষ্ণু আর শিব নামে ডাকা শুরু করছে কয়েক জনের নাম বলেন তো দেখি???? অবশ্য যদি ডাকেও আপনাদের মত পিরপ্রেমিরাই ডাকব কারন আপনারা পিরদের কথামত তাদের বাপ ও ডাকেন ।….

  9. sharif

    ami dr. zakir naik er kono alochona ei porjonto eto ta …. pai ni je.. “ok kalo mokhos” bola jete pare… amar mone hoy e bepare judi aponara jara alem … sotto gyn rakhen tara bisoy ta .. kono bektigoto khob prokash na rekhe ek matro mohal allah tayalar sontosti aurjoner lokkhe alochona kora ochit… jate kore manosher moddhe dola doli sristi na hoy… thanks … and allah knows best

  10. Ashaful Islam Rakib

    a deser kisu kat munshi………..nijerai thik moto Quran er beeka dite janena.Dr.Zakir ar somalochona kore…….dom thakle Dr.Zakir naik ar sate face to face debate koren…………………….

    Dr.Zakir naik ihudi nasarader birudde boltese……..tader opoporcar ar jobab disse……….annera to hei da paren na.sudu sudu nijeder modde kker pisone lagben ai chintay besto……….

  11. শিকদার

    জাজাকাল্লাহ্‌ খায়ের। উন্মোচিত হোক এর কালো মুখশ।

Leave a Comment