পাঠক-পাঠিকা ফিচার ::::: এপ্রিল – ১২

মাসিক আদর্শ নারীর

২০০ সংখ্যা পূর্তিতে

পাঠক-পাঠিকগণের

অভিব্যক্তি ও মূল্যায়ন

 

 

————————————————————————————————————

***    ডিসেম্বর – ১৯৯৪ ঈ. থেকে শুরু হয়ে মাসিক আদর্শ নারী  চলতি এপ্রিল – ২০১২ ঈ. মাসে ২০০ সংখ্যায় পূর্ণ হলো। মাসিক আদর্শ নারীর এ ২০০ সংখ্যা পূর্তিতে মহান আল্লাহর শোকর আদায় করছি। নানা অবক্ষয়-অনাচার ও বেরাহী-গোমরাহীর ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পরিবেশে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সহীহ ইসলাম প্রচারে সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করে পাঠক-পাঠিকাগণের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করতঃ মাসিক আদর্শ নারী এ ফলক-মানযিলে উপনীত হয়েছে। এ স্মরণীয় মুহূর্তে মাসিক আদর্শ নারীর এ যাবতকালের ভূমিকা ও অবদান সম্পর্কে মূল্যায়ন করে সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাগণ মূল্যবান অভিব্যক্তি পেশ করেছেন – যা মাসিক আদর্শ নারীর পথচলাকে গৌরবান্বিত করেছে। এ জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

মহান আল্লাহ এভাবে মাসিক আদর্শ নারীর হিদায়াতধারা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত রাখুন এবং একে সহীহ দ্বীনের দাঈ রূপে সর্বত্র প্রসারিত করুন।  আমীন।।   – সম্পাদক    ***

 

 ————————————————————————————————————

মূল্যায়ন 

………………………….

 

মাসিক আদর্শ নারীর ২০০ সংখ্যা পূর্তি :

একটি বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন

 

মাওলানা শামসুদ্দীন সাদী

তেজগাঁও, ঢাকা

 

মাসিক আদর্শ নারী এক আকাশ স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা করেছিল আজ থেকে দেড় যুগ আগে। দৃঢ় প্রত্যয় আর অসীম মনোবল নিয়ে। প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকারের মনোহরী পসরা সাজিয়ে। নীরব বিপ্লব-বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে। এই স্বপ্ন-সাধনায়, বিপ্লব-বসন্তে আদর্শ নারীর কৃতিত্ব ও অবদানের মূল্যায়ন আজ সময়ের প্রয়োজনেই করতে হবে। আদর্শ নারীর দু’শ সংখ্যা পূর্তি উপলক্ষে আমরা এতে কিছুটা বিশ্লেষণের প্রয়াস পাব।

তখন সামগ্রিকভাবে ইসলামী সাহিত্যের অবস্থা ছিল নাজুক। বিশেষভাবে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্যচর্চা যখন এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ জন্য মুসলিম সর্বসাধারণ ইসলামী জ্ঞানের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য উপযুক্ত উপায় খুঁজছিল।

এমন এক কাক্সিক্ষত মুহূর্তে কিছু প্রতিভা জ্বলে উঠেছিল স্বপ্রতিভ আলোয়। নিরলস সাহিত্য সাধনা করেছিলেন তারা। এক সময় ইসলামী সাহিত্যের আকাল মোচনের লক্ষ্যে হিদায়াতদীপ্ত প্রত্যয়ে মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদীর বলিষ্ঠ সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘মাসিক হক পয়গাম’। বাংলা ভাষার ইসলামী জ্ঞানপিপাসু পাঠকদের মধ্যে তা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ, দ্বীন-ধর্ম, সমাজ-রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই পত্রিকাটি। সবকিছু মিলিয়ে তা পাঠকনন্দিত ছিল। মাদরাসার চার দেয়ালেও এই পত্রিকাটির পাঠক তৈরী হয়ে গিয়েছিল। পত্রিকাটির শিশু-কিশোর পাতা নবীন কাফেলা শিশু-কিশোরদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছিল। সেই পত্রিকাটি কালের পরিক্রমায় নামধারণ করে ‘মাসিক রাহমানী পয়গাম’।

এরপর সময়ের চাহিদাপূরণে মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদীর সম্পাদনায় আবির্ভূত হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের পত্রিকা ‘মাসিক আদর্শ নারী’। নারীকে মূল প্রতিপাদ্য করে পত্রিকাটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে। নতুন এক ধারার প্রবর্তন করে। মানব সমাজের অর্ধেক নারী সমাজকে নিয়ে যখন কেউ ভাবেনি, আদর্শ নারী তখন সত্যিই বিপ্লব নিয়ে এসেছে। তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নারী মহলে। প্রাথমিক অবস্থায় শুধু নারী লেখকদের লেখাই গ্রহণযোগ্য হত। এ যেন ছিল একটি বিপ্লব। যেখানে নারী পাঠকের দুর্ভিক্ষ, সেখানে নারী লেখককে নির্ভর করে পত্রিকার যাত্রা সত্যিই বিস্ময়কর। এই বিপ্লবে আদর্শ নারী সফলতার সাক্ষর রেখেছে।

ইতোমধ্যে মাসিক আদর্শ নারী এক বিশাল পাঠকগোষ্ঠী তৈরী করেছে। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ সর্বমহলে মাসিক আদর্শ নারী অকল্পনীয় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এ পর্যায়ে আদর্শ নারী অর্জন করেছে লক্ষ লক্ষ পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাস। এটা এক-দু’দিনে হয়নি। ধীরে ধীরে কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আদর্শ নারী পাঠকের আস্থায় এসেছে।

আদর্শ নারী পাঠকের নিকট দায়বদ্ধ থেকে তার দ্বীনী জিম্মাদারী আদায় করছে সবসময়। ইদানীংকালে ডাক্তার জাকির নায়েকের ফেৎনা সম্পর্কে সর্বসাধারণ মুসলিম সমাজকে অবগত করানোর ক্ষেত্রে আদর্শ নারী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। তেমনিভাবে আদর্শ নারীর প্রতি পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাসের মাত্রা প্রত্যক্ষ করা গেছে  মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা সংক্রান্ত গবেষণাধর্মী তাত্ত্বিক প্রবন্ধ প্রকাশের পর তার প্রভাব-প্রতিক্রিয়ায়।

বর্তমানে মিডিয়াগুলো পাঠক-শ্রোতাদের অধিক কাছাকাছি পৌঁছতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিভিন্ন উপায়ে। মাসিক আদর্শ নারী পাঠকের কাছাকাছি পৌঁছার ক্ষেত্রেও মডেল স্থাপন করেছে। বিতর্ক-বাহাস : মুখোমুখি, মন্তব্য মুখতাসার, আলোকপাত, মুক্তমঞ্চ প্রভৃতি বিভাগগুলো আদর্শ নারীকে পাঠকের একান্ত কাছাকাছি নিয়ে গেছে।

তদুপরি আদর্শ নারীর যে অবদানটি আমরা সবচেয়ে বড় করে দেখি, তা হলো – সবুজ কুঁড়ি। সবুজ কুঁড়ি সারাদেশে এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এক বিশাল লেখক গোষ্ঠী তৈরী করেছে। সাম্প্রতিককালে সত্যিই তার দৃষ্টান্ত বিরল। সবুজ কুঁড়ি নবীন লেখকদের এক আদর্শ প্লাটফর্ম। একসময় দশটি মাদরাসা ঘুরে বিশুদ্ধ ও নির্ভুল বানানে বাংলা লিখতে পারেন, এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। আদর্শ নারী তার দেড় যুগে মাদরাসার ছাত্রদের হাতে কলম তুলে দিয়ে সেই অভাব পূরণ করেছে। আজ কওমী মাদরাসার ছাত্রদের বিভিন্নমুখী সাহিত্যচর্চার পেছনে সবুজ কুঁড়ির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান অনস্বীকার্য।

শুধু কওমী মাদরাসা বলি কেন, স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিতে যারা পড়ছেন, সাহিত্য চর্চা করছেন, কালের আবর্তে হয়তো যারা এক সময় নাস্তিকতার পথে হাঁটতেন, তারা আজ শেকড়ের সন্ধান পেয়েছেন সবুজ কুঁড়ির ছায়ায়। সবুজ কুঁড়িতে যাদের লেখালেখির হাতেখড়ি, তাদের অনেকে আজ প্রতিষ্ঠিত লেখক ও সম্পাদক। তারা বলিষ্ঠ হাতে রচনা ও সম্পাদনা করছেন বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা এবং ইসলামী বই-পুস্তক। সবুজ কুঁড়িকে আশ্রয় করে তৈরী হয়েছেন অনেক কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

পরিশেষে আশা করি, মাসিক আদর্শ নারী উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। মাসিক আদর্শ নারী পৌঁছে যাবে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। হিদায়াতের দীপ্ত মশাল হয়ে শোভা পাবে প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে। আল্লাহ তা‘আলা কবূল করুন। আমীন ॥

 

 

মাসিক আদর্শ নারী : নিজেই যার তুলনা

 

এমদাদুল হক তাসনিম

মোমেনশাহী

 

‘রুচি ও প্রগতির সমন্বয়’  শ্লোগানকে ধারণ করে মাসিক আদর্শ নারীর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৯৪-এর ডিসেম্বরে। এপ্রিল – ২০১২ আদর্শ নারীর ২০০ সংখ্যা পূর্ণ হলো। ’৯৪ থেকে এ পর্যন্ত আসতে আদর্শ নারীকে অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। সময়-সমাজ, বাস্তবতা আর নানা পরিবেশ-প্রতিবেশ কাটিয়ে এ পর্যন্ত আসা সাধারণ কথা নয়। আদর্শ নারী এ অসাধারণ কাজটি সাধন করেছে আল্লাহ তা‘আলার অশেষ রহমতে।

মাসিক আদর্শ নারী ব্যতিক্রমধর্মী ইসলামী ম্যাগাজিন। মূলত নারীদের উদ্দেশ্যেই এর আত্মপ্রকাশ। বর্তমানে এর পাঠক শুধু নারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার লোকেরা তা পড়ছেন।

ইসলাম ও সমসাময়িক প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহের সমন্বয়ে প্রকাশিত হচ্ছে মাসিক আদর্শ নারীর প্রতিটি সংখ্যা। গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার, ছড়া, কবিতা আর টক-মিষ্টি-ঝালসহ থাকছে রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে মনোলোভা নানা বিচিত্র বিষয়।

মাসিক আদর্শ নারী শুরু থেকে এ পর্যন্ত দ্বীন প্রচারে নানামুখী ভূমিকা পালন করে চলেছে। দ্বীনের বিশুদ্ধ আকীদা ও সহীহ আমল-আখলাক প্রচার, সমাজের ভ্রান্তি দূরীকরণ এবং আদর্শ লেখক তৈরীসহ অনেক কাজ করেছে।

উল্টো স্রোতে প্রবাহিত নারীসমাজের হাতে মাসিক আদর্শ নারী সত্যিই আঁধারে আলোকবর্তিকার মতো। আদর্শ নারীর পরশ-ছোঁয়ায় তাদের অনেকের জীবনধারাই আজ আলোর পথে প্রবহমান। নানাভাবে বুঝিয়েও যাদেরকে দ্বীনের পথে আনা যায়নি, তারা আজ শুধরে গিয়েছেন মাসিক আদর্শ নারীর হিদায়াতে। তারা আজ নিয়মিত নামায পড়ছেন। জীবনযাপন করছেন নিয়ন্ত্রিত ও পর্দা-হিজাব পরে।

দেশ, জাতি ও সমাজের কল্যাণে আদর্শ লেখক তৈরীতেও মাসিক আদর্শ নারীর অবদান অনস্বীকার্য। মাসিক আদর্শ নারী সবুজ কুঁড়ি বিভাগের মাধ্যমে সুপ্রতিভাদেরকে ছোট ছড়াকার, ক্ষুদে কাব্যকার ও ক্ষুদে রচনাকার থেকে বড় লেখকরূপে গড়ে তোলে।  বর্তমানে এ সবুজ কুঁড়িদের সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশী।

সব মিলিয়ে মাসিক আদর্শ নারী এক সার্থক রূপায়ণ। যে-ই একটি সংখ্যা পড়ে, তার হৃদয়ই কেড়ে নেয় এর অনবদ্য আয়োজন। তাইতো এর এত জনপ্রিয়তা। এ জন্য বলা যায়, ২০০ সংখ্যা পূর্তিতে মাসিক আদর্শ নারী লক্ষ্যে পৌঁছার লক্ষণীয় মাইলফলক ছুঁয়ে ইসলামী মিডিয়া জগতকে জয় করে নিয়েছে।

 

 

আদর্শ পথের দিশারী মাসিক আদর্শ নারী

 

আলেমা সাবেরা মাহবূবা

মানিকনগর, ঢাকা

 

বর্তমান অপসংস্কৃতির যুগে পর্ণো পত্রিকার আগ্রাসনে যখন যুবসমাজের চরিত্র ধ্বংসের পথে, অনাচার ও পাপাচারের অমানিশায় আদর্শ মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, প্রগতির ধুম্রজালে নারীজাতিকে সম্মান ও সম্ভ্রমহারা করার চক্রান্ত চলছে, এ মুহূর্তে সমাজকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে সুস্থ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে আদর্শ দিশারীরূপে আবির্ভূত হয়েছে মাসিক আদর্শ নারী।

মাসিক আদর্শ নারী ইপ্সিত লক্ষ্য পানে এগিয়ে চলেছে বিরামহীনভাবে দুর্বার গতিতে। মাসিক আদর্শ নারীর ২০০ সংখ্যা পূর্তিতে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মূল্যায়নে এক্ষেত্রে সাফল্যের ধারা ঔজ্জ্বল্যমান।

মাসিক আদর্শ নারী দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণের পথে সহীহ দ্বীনী দাওয়াতের ভূমিকা সদা-সর্বদা যেন অব্যাহত রাখতে পারে – মহান আল্লাহর নিকট একান্ত কায়মনে এ দু‘আ করছি।

 

অভিব্যক্তি

……………………….

 

মাসিক আদর্শ নারীতে যাদু আছে

 

– আবদুল কাদির ইউসুফী

খোকসা, কুষ্টিয়া

 

আমি ৪০ কপি করে নিই। সেদিন ৩৫ কপি গ্রাহকদের নিকট পৌঁছিয়ে ৫ কপি তখনো বাকী রয়েছিলো। খোকসা উপজেলা হতে কুষ্টিয়া জেলা শহরে স্যাম্পনী মোবাইল সার্ভিস পয়েন্টে গেলাম এক প্রয়োজনে।

৫ কপি মাসিক আদর্শ নারীসহ অপেক্ষা করছি। আমার হাতে পত্রিকাগুলো দেখে উপস্থিত স্যাম্পনী কাউন্টারের লোকেরা পড়তে নেন। একটু পড়েই তারা পছন্দ করে ফেলেন। প্রশ্ন করেন – বেচবেন? বললাম, বেচবো তো বটে! কিন্তু নির্দিষ্ট গ্রাহকদের জন্য রাখা আছে। তবু নিতে চাইলে নিন। তাদেরকে আবার এনে দেয়া যাবে। তখন তারা তিনজন তিনকপি নগদ টাকায় নিয়ে নিলেন।

আসলে মাসিক আদর্শ নারীর এ যাদুর কথা আজ দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। যেই একবার দেখে, সে-ই এর প্রেমে পড়ে।

 

মাসিক আদর্শ নারী বাতিলের আতঙ্ক

 

– হুমাইরা ইসলাম (মিনু)

ঈশ্বরদী, পাবনা

 

বর্তমান বিশ্বে ইয়াহুদী ও খৃস্টানরা মুসলমানদের ঈমান-আমল ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ইসলামের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ওদের একটি মিশন-ই চলছে, তা হলোÑকীভাবে মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করা যায়। এমন ভয়ঙ্কর মুহূর্তে দ্বীন-ঈমান বাঁচানোর একমাত্র উপায় বা মাধ্যম হলো হক্কানী উলামায়ে কিরামের বাতলানো পথে চলা।

সেই হক্কানী আলেমগণেরই মুখপত্র মাসিক আদর্শ নারী। মুসলমানরা যেন কোনোভাবে গোমরাহীর অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয়, এজন্য তাঁরা এ পত্রিকার মাধ্যমে সতর্ক করছেন। এক্ষেত্রে ইসলামের শত্রুর মুকাবেলায় মাসিক আদর্শ নারীকে অন্যতম হাতিয়ার বলা যায়।

 

জীবন চলার প্রেরণা

 

– মাছুম বিল্যাহ

সোনাপুর, নোয়াখালী

 

মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা ও ব্যর্থতার পিছনে থাকে কোনো না কোনো নারীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান। আমার জীবনটাও তার বিপরীত নয়। এক রুচিশীল, সংগ্রামী, সত্যানুরাগী, অকুতোভয় ও প্রশংসনীয় নারীর ছায়া পড়েছে আমার জীবন চলার পথে। যার হৃদয়গ্রাহী ছোঁয়ায় আমার জীবনে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন ধারা, নতুন চিন্তা-চেতনা ও নতুন প্রেরণা।

এ নয় কোনো মানবী, এ আমার এবং সকলের প্রিয় মাসিক আদর্শ নারী। যদিও তার রক্তে-গোশতে গড়া দেহ নেই, তথাপি তার রয়েছে এক জীবন্ত শিক্ষা।

 

 

আলোকবর্তিকা মাসিক আদর্শ নারী

 

– আমিনুল হক সিকদার

কেশুয়া, চট্টগ্রাম

 

কুশিক্ষা থেকে সুশিক্ষা, অন্ধকার থেকে আলোর পথে, অন্যায় থেকে ন্যায়ের পথে, অসৎ থেকে সৎপথে, চরিত্রহীন থেকে চরিত্রবান করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাসিক আদর্শ নারী হিদায়াতের আলো বিকিরণ করে চলেছে। এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা।

অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, অবিচার, সুদ-ঘুষ ও দুর্নীতির মতো জঘন্যতম পরিবেশে মাসিক আদর্শ নারী সঠিক পথনির্দেশ করে জিহাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

 

মাসিক আদর্শ নারী হিদায়াতের পথ দেখিয়েছে

 

– মোঃ আবদুল বারিক

বদরগঞ্জ, রংপুর

 

আল্লাহর মেহেরবানীতে মাসিক আদর্শ নারী থেকে আমার অনেক অজানা বিষয় জানার সৌভাগ্য হয়েছে। বিশেষ করে সম্পাদক সাহেব সম্পাদকীয়তে যে তত্ত্ববহুল, চমকপ্রদ ও সাবলিল ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেন, তা আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য হিদায়াতের উত্তম পাথেয় বলে মনে করি।

আমি সম্পাদক সাহেবকে আরো মুবারকবাদ জানাচ্ছি যে, তিনি এদেশের মুসলমানদেরকে এক ঈমানবিধ্বংসী ফিতনা থেকে বাঁচানোর জন্য অকান্ত পরিশ্রম করে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছেন। সেই ফিতনা হলোÑডাঃ জাকির নায়েক ফিতনা। মাসিক আদর্শ নারীর সেই মূল্যবান লেখার উসীলায় অসংখ্য মানুষ এ ফিতনা থেকে নিজেদের দ্বীন ও ঈমান হিফাজত করতে পেরেছেন।

 

 

মাসিক আদর্শ নারী আমার ভালোবাসা

 

– মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী

উত্তর বাজার, লক্ষ্মীপুর

 

মাসিক আদর্শ নারী আমার প্রাণের পত্রিকা। এটি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবারই মনের খোরাক জোগায়। প্রতিমাসেই অপেক্ষায় থাকি, কখন আসবে আমার প্রিয় আদর্শ নারী।

আদর্শ নারীর প্রতিটি পাতায় খুঁজে পাই জীবন গড়ার সঠিক নির্দেশনা। আদর্শ নারী ছাড়া আমার জীবন যেন অচল হয়ে যায়। এ জন্যই আদর্শ নারী আমার এতো প্রিয়।

 

পথের দিশারী

 

– কাজী হামদুল্লাহ শায়খী

জুম্মাপাড়া, রংপুর

 

জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে মাসিক আদর্শ নারী। তাই মাসিক আদর্শ নারীকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

শুধু কলমের জোরে নয়, হৃদয়ের গহীনে গেঁথে যাওয়া একটি সত্য কথা বলছি, যারা মাসিক আদর্শ নারীকে আঁকড়ে ধরবে এবং তার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে, তারা অবশ্যই কামিয়াব হবে ইনশাআল্লাহ।

 

অনন্য পাথেয়

 

– শীন.মীম. সালাহ উদ্দিন বিন জহুর

কুঁড়িগ্রাম

 

শত ব্যস্ততার মাঝেও মাসিক আদর্শ নারী সবটুকু পড়ি। এমন গঠনমূলক ও জ্ঞানগর্ভ আলোচনা এবং চমকপ্রদ প্রবন্ধ-নিবন্ধ সমৃদ্ধ কোনো ইসলামী পত্রিকা আমি ইতোপূর্বে দেখিনি।

এ পত্রিকায় সমকালীন সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ আলোচনা, যুক্তি ও তথ্য দেয়া হচ্ছে, আর এর মাধ্যমে আমার অন্তরে উদ্রেক হওয়া চিন্তা-ভাবনার খোরাক পেয়ে যাচ্ছি।

 

হিদায়াত লাভের মাধ্যম

 

মুহাঃ আরিফ হাসান

নাজিরহাট, চট্টগ্রাম

 

অন্ধকারের মধ্য দিয়ে জীবনের দুর্গম পথ পাড়ি দিতে উপযুক্ত আলোকের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমি আলোকরূপে পেয়েছি রুচি ও প্রগতির সমন্বয় মাসিক আদর্শ নারীকে।

মাসিক আদর্শ নারীর সকল বিভাগই আমার ভাল লাগে। বিশেষ করে আল-কুরআনের আলো, হাদীস পড়ি-জীবন গড়ি, দৃঢ় করি ঈমান, মাসায়িল শিখি প্রভৃতি বিভাগগুলো আমার জীবনে দ্বীনী হিদায়াতের এক দীপ্তিময় পথের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।

 

 

স্মৃতিচারণ

……………………..

 

মাসিক আদর্শ নারীকে নিয়ে আমার কিছু স্মৃতি

 

– মুহছিনাহ উমাইয়াতুল্লাহ

সবজীবাগ, যশোর

 

যতদূর জানি, এদেশে মেয়েদের জন্য সর্বপ্রথম ইসলামী পত্রিকা মাসিক আদর্শ নারী। বর্তমানে এটি মেয়েদের একমাত্র দ্বীনী পত্রিকাও।

মাসিক আদর্শ নারীর যখন জন্ম হয়, তখন আমি ছিলাম এক অবুঝ শিশু। তখন থেকেই আমার আব্বু বাসায় মাসিক আদর্শ নারী রাখতেন। আর বছর শেষে তিনি মাসিক আদর্শ নারীর বাৎসরিক ভলিয়ামও নিয়ে আসতেন। একটু বড় হয়ে খুব অল্প বয়সে আমি বাংলা রিডিং পড়া শিখেছিলাম। তখন থেকেই বিভিন্ন গল্প ও ছড়ার বই পড়তে পছন্দ করতাম। এমন সময়ে আমার হাতে এলো মাসিক আদর্শ নারীর ১৯৯৫ সনের প্রথম ভলিয়ামটি। তখন আদর্শ নারীর টক, মিষ্টি, ঝাল ও গল্পগুলো ভীষণ ভালো লাগতো। এগুলো একবার পড়ার পর কতবার যে পড়েছি, তার হিসেব নেই। কিন্তু প্রতিবারই যেন প্রথমবারের মতোই মজা পেতাম। অবশ্য বড় হওয়ার পর প্রায় প্রতিটি লেখাই পড়ি।

সবুজ কুঁড়ি বিভাগে যখন সদস্য করা শুরু হলো, তখন আব্বু আমাকে সদস্য করে দেন। পরবর্তীতে সবুজ কুঁড়ির মাধ্যমে লেখালেখির অঙ্গনে আমার পদচারণা শুরু হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে আদর্শ নারীর অন্য পাতাতেও। আদর্শ নারীতেই প্রথম আমার নাম ছাপার অক্ষরে দেখেছি। আদর্শ নারী লেখালেখি করার জন্য আমাকে দিয়েছে দিকনির্দেশনা। লেখা ছাপার মাধ্যমে জুগিয়েছে সাহস। দিয়েছে উৎসাহ ও প্রেরণা।

 

লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রিয় পত্রিকা

 

– মারইয়াম বিনতে ফারুক

মিরপুর, ঢাকা

 

আমার জন্ম রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মভূমি পবিত্র মক্কাতে এবং সেখানে আমি এক যুগ অবস্থানরত ছিলাম। বুঝ হওয়ার পর থেকে আমার মাসিক আদর্শ নারীর সঙ্গে পরিচয় পবিত্র মক্কায় থাকাকালীন। সে সময়ই মাসিক আদর্শ নারী আমাকে আলোড়িত করে।

সৌদীতে আমাদের বাসার পাশে অনেক বাংলাদেশী ছিলেন। তাদের প্রায় সকলের বাসায় মাসিক আদর্শ নারী শোভা পেত। সেখানে আন্টিদের মেয়েরা আরবী মাদরাসায় পড়ার দরুণ বাংলা ভাষা পড়তে বা লিখতে জানত না। তারা আমার সাথে সাক্ষাত হলে মাসিক আদর্শ নারী মেলে ধরতো এবং পড়ে বুঝাতে বলতো। তখন বুঝেছি যে, এই পত্রিকাটি শুধু আমার প্রিয় পত্রিকা নয়, যারা পড়তে পারে নাÑতাদেরও প্রিয় পত্রিকা এবং এটা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের খোরাক।

 

সময়ের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী

 

আহমাদুল্লাহ রুমান

পশ্চিম মনিপুর, ঢাকা

 

মাসিক আদর্শ নারীর সাথে প্রথম পরিচয় ২০১০ সনের এপ্রিলে। সেই থেকে আমি পত্রিকাটির নিয়মিত পাঠক। মাসিক আদর্শ নারী আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। সাহস দিয়েছে আমাকে চলার পথে এগিয়ে যেতে, আদর্শ লেখক হতে। সাহায্য করেছে দ্বীনের পথে আসতে, মানুষকে হিদায়াতের পথ দেখিয়ে দিতে। যে পথ চলে গেছে সোজা চির শান্তি-সুখের জান্নাতে।

মাসিক আদর্শ নারী হচ্ছে আমার নিঃসঙ্গ সময়ের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী। মাসিক আদর্শ নারীর সাথে অন্তরঙ্গভাবে জড়িয়ে আছি, দু‘আ চাইÑআজীবন যাতে এভাবে জড়িয়ে থাকতে পারি।

 

আমার প্রথম লেখার প্রকাশ, অতঃপর…

 

– ড. মুহাম্মদ আবু সাঈদ সরকার  বড় মসজিদ, ময়মনসিংহ

 

২০০০ সালের জুন মাস। তখন আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র। অসুস্থতার জন্য দু’-তিন দিন যাবৎ স্কুলে যেতে পারছি না। হঠাৎ আমাদের ঘনিষ্ঠ ৩ বন্ধুর একজন সাইফুল ইসলাম এসে বাড়ীতে খবর দিল – আমার লেখা মাসিক আদর্শ নারীতে ছাপা হয়েছে। আর এ নিয়ে স্কুলে ও বাজারে প্রচ- হইচই পড়ে গিয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।

তখন ময়মনসিংহের তারাকান্দার এই ঢাকিরকান্দা বাজার নিয়ে মামলা চলছিল। এ সম্পর্কেই আমার সেই লেখাটি ছিলো। সাইফুল ইসলাম আরো জানালো, আমার লেখা নাকি কোর্টে দাখিল করবে বাজারবিরোধী পক্ষ।

সাইফুল ইসলাম চলে যাওয়ার পর হেড স্যার (আমার বড় মামা) এসে আমাকে খুব শাসালেন। নানা-নানী, আব্বা-আম্মা সবাই ক্রাইম নিউজ লেখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত জারী করলেন।

আমি বেশ কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে স্কুলে গেলাম। স্কুলের মাঠে পা রাখতেই সব ছাত্র-ছাত্রী যেন আমাকে মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দার ন্যায় দেখছে। নানাজনে নানা কথা বলছে। তবে বাস্তবে পুলিশ বা গোয়েন্দার দেখা পেলাম না।

এর কয়েক বছর পর বিভিন্ন পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয়েছে। সবুজ কুঁড়ির রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছি। তবুও ২০০০ সালের সেই সীরাত সংখ্যায় প্রকাশিত আমার লেখার স্মৃতি আজো অম্লানই রয়ে গিয়েছে।

 

২০০ সংখ্যা পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানাই

 

– নাজনীন খন্দকার লুনা

মহেশপুর, ঝিনাইদহ

 

প্রিয় আদর্শ নারী, অনেকদিন পর তোমায় লিখতে বসেছি। আজ তোমার কাছে অনেক কিছু লেখার আছে। দেখতে দেখতে তোমার প্রকাশনার ২০০তম সংখ্যা পূর্তি হচ্ছে। ভাবতে ভীষণ ভালো লাগছে।

সেই ছোট বেলার কথা। আব্বু অফিস থেকে ফেরার পথে একটি পত্রিকা আনলেন। আমি পত্রিকাটি পড়লাম।  ভীষণ ভালো লাগল। সেই থেকে শুরু হয়ে গেল আমার সঙ্গী আদর্শ নারী’র সাথে আমার পথ চলা।

আব্বুও পত্রিকাটি বাড়ীতে আনলে তা পড়ার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। আম্মু, বড় আপু, মেজ আপু, সেজ আপু আর ভাইয়া। তবে এ প্রতিযোগিতায় সবাইকে পিছনে ফেলে আমিই প্রথম স্থানটি নিয়ে নিতাম।

সবুজ কুঁড়ি রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলাম। কল্পনাতীতভাবে ৩য় স্থানটি অধিকার করে নিলাম। আমার ঠিকানায় পুরস্কার হিসেবে আদর্শ নারী থেকে বই আসল। কী যে আনন্দ হয়েছিল সেদিন। এ পুরস্কার আমার লেখালেখির আগ্রহ সহস্রগুণ বাড়িয়ে দিল।

সময়ের ব্যবধানে সেই ছোট লুনা মেয়েটি অনেক বড় হয়ে গেলাম। জীবনের অনেক কঠিন দিকগুলোর সম্মুখীন হতে থাকলাম। এত কিছুর মধ্যেও আদর্শ নারীকে হারাইনি।

আমি যখন কলেজে পা দিলাম, যশোর পাবলিক লাইব্রেরীতে যেতাম। প্রতিমাসের আদর্শ নারী কিনে সৌজন্য হিসেবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে দিয়ে আসতাম। যাতে সব ধরনের পাঠক এটি পড়ে উপকৃত হতে পারেন। আমার অনেক বান্ধবীকেও আদর্শ নারী কিনে উপহার দিয়েছি। আর অনেককেই সবুজ কুঁড়ির সদস্যও করে দিয়েছি নিজ টাকায়।

আজ অনেক বড় হয়ে গেছি আমি। তবে মনটা এখনও শিশুই রয়ে গেছে। এজন্যই হয়ত সবুজ কুঁড়ি পড়তে এখনও আগের মতোই ভালো লাগে।

 

 

 

হিদায়াত পরশে

………………………………

 

 

মাসিক আদর্শ নারী পাল্টে দিল

একটি মেয়ের জীবন

 

– মাশকুরা সালমান,

নেত্রকোণা

 

২০০৬ সালের ঘটনা। আমাদের থানা মহিলা মাদরাসায় সে বছরের ২য় ব্যাচে এসএসসি পরীক্ষার্থীণী ছাত্রীদের ক্বারিয়ানা কোর্সে ভর্তি চলছিল। ভর্তির সময় ভর্তিচ্ছুক ছাত্রীদের শর্ত দেয়া ছিল যে, শরীয়তমতো পরিপূর্ণ পর্দা করে মাদরাসায় আসতে হবে। ভর্তির কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা গেলÑসন্তোষজনক পরিমাণে ছাত্রী ভর্তি হলেও তাদের বাহ্যিক পর্দার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। তারা স্কুলপড়ুয়া বলে নামকাওয়াস্তে পর্দা করে মাদরাসায় এসেছে।

কাসে সকল ছাত্রীকে তা‘লীম, উপদেশ ও আদেশের মাধ্যমে পর্দার কথা বুঝিয়ে দিলাম। তাতে দু’একজন ছাড়া বাকীরা সবাই কথামতো পর্দা ব্যবস্থা গ্রহণ করল।

এই কোর্সের প্রথম মেয়ে ছিল ইসফা (বিশেষ কারণে নাম পরিবর্তিত)। সে ছিল খুব সুন্দরী ও অত্যাধুনিক। সে বিশেষ চাপের মুখে কুরআন শিখতে এসেছে। কিন্তু সে কিছুতেই বোরকা পড়তে রাজী হলো না। অনেক আদেশ-উপদেশে কাজ না হওয়ায় যখন তার কাসের পাঠ বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হলো, তখন সে নিরুপায় হয়ে তিনমাস মেয়াদী বোরকা নিতে রাজী হলো। অর্থাৎ মাদরাসায় আসা-যাওয়ার রাস্তাটুকুর জন্য বোরকা পরতে রাজী হলো। আমি অন্তত তা-ই মেনে নিলাম। ভাবলাম, সে আগে বোরকা ধরুক। তারপর কীভাবে তাকে পুরোপুরি শুধরানো যায় – সে চেষ্টা করা যাবে।

মেয়েটি আধুনিক সমাজে বেড়ে উঠলেও লেখাপড়ায় ছিল খুব ভালো এবং সে বই পড়তে খুবই পছন্দ করত। আমি এই সুযোগটা লুফে নিলাম। তাদের এই ক্বারিয়ানা কাসের সময় ছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এতোটুকু সময়ে কাসের পড়া শিক্ষা দেয়ার পর নসীহত বা হিদায়াতী তা‘লীম দেয়ার তেমন ফুরসত মিলতো না। তখন আমি এই কাজটির জন্য মাসিক আদর্শ নারীকেই উপযুক্ত মনে করলাম।

পরিকল্পনা মুতাবিক একদিন কাস শেষে ইসফাকে ডেকে এনে আমি বললাম – তুমি বই পড়তে খুব ভালোবাস, তাই না? সে উত্তর দিলো, হ্যাঁ, বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। তখন আমি তাকে বললাম, আমি তোমাকে একটি বই বা মাসিক পত্রিকা দেব। তুমি মন দিয়ে পড়বে এবং কেমন লাগল তা আমাকে জানাবে। সে সানন্দে রাজী হলো। আমি তখন মাসিক আদর্শ নারীর দু’টি পুরাতন কপি তার হাতে দিলাম।

পরদিন সে এসে মাসিক আদর্শ নারীর খুব প্রশংসা করতে লাগলো এবং আমার কাছে আরো কয়েক কপি পড়ার জন্য চাইল। এবার আমি তাকে সাধারণ হিদায়াতী সংখ্যাসহ পর্দার বর্ণনা সম্বলিত সংখ্যা এবং আদর্শ নারীর কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা দিলাম আর এক সপ্তাহ সময় দিলাম পড়ার জন্যে।

এই এক সপ্তাহে আমি তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর ইসফা আমার কাছে আরো আদর্শ নারীর কপি চাইল। তখন আমি তাকে আরো কয়েকটি আদর্শ নারীর কপি হাতে দিয়ে বিশেষ কয়েকটি লেখা দেখিয়ে মন দিয়ে পড়তে বললাম।

আল্লাহর কুদরতের কী অপূর্ব কারিশমা! ইসফার মাঝে দু’মাসে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। সে একদিন অনুতপ্ত হৃদয়ে আমার কাছে এসে বলল – “আমি এতোদিন ভুল পথে ছিলাম। মাসিক আদর্শ নারী পড়ে নিজের সেই ভুল বুঝতে পেরেছি। আমাকে সঠিক পথ কে দেখাবে “ আমি ওর কথায় খুশী হয়ে বললাম – এই আদর্শ নারীই তোমাকে আলোর পথ দেখিয়ে একজন আদর্শ নারীতে পরিণত করবে। আর নিজে তো আদর্শ নারী পড়বেই, অন্যকেও পড়তে দিয়ে সত্যের পথে দাওয়াত দিবে। ইসফা আদর্শ নারীর হিদায়াতী কথামতো চলার অঙ্গীকার করল।

তিনমাস পর অর্থাৎ কোর্স শেষে ইসফার সঠিক পরিবর্তন, তার কথাবার্তা, চাল-চলন ও শরীয়তী পর্দা দেখে অন্যান্য ছাত্রীরা এবং তার পরিচিতরা খুবই হতবাক হলো। তার পিতা-মাতাও খুব খুশী হলেন।

ইসফার সবচেয়ে বড় হিদায়াত হলো, সে এখন নামায কাজা করে না। তেমনিভাবে আদর্শ নারীতে পর্দা বিষয়ক লেখা পড়ে সে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার পরও কলেজে ভর্তি না হয়ে মাদরাসায় পড়ার সিদ্ধান্ত নিল।

এরপর থেকে ইসফা প্রতিমাসে নিয়মিত আদর্শ নারী পড়ে এবং অন্যান্য মেয়েদেরকে পড়তে উৎসাহ দিয়ে অনবরত দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সে প্রতিমাসে নিজ খরচে কয়েক কপি আদর্শ নারী কিনে অন্যদেরকে পড়তে দেয়। শুধু ইসফা নয়, হাজারো মেয়ে এভাবে মাসিক আদর্শ নারীর পরশে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে।

 

 

অকল্পনীয়ভাবে হিদায়াত লাভ

 

– মাসউদ বিন আতহার

বৌয়াকুড়, নরসিংদী

 

কিছুদিন পূর্বের কথা। এক হিন্দুপাড়ার মধ্যদিয়ে কোথাও যাচ্ছিলাম। আচমকা একলোক দৌড়ে এসে আমার সঙ্গে মুসাফাহা করলেন। লোকটির মুখভর্তি দাড়ি। গায়ে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী। মাথায় গোলটুপি।

আমার পরিচিত লোকজনের তালিকায় তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। জিজ্ঞাসুনেত্রে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। বুঝতে পেরে লোকটি নিজ থেকেই আমাকে তার পরিচয় দিতে শুরু করলেন। তখনি আমার মনে পড়লো, তিনি হচ্ছেন ওই তিনজনের একজন।

ঘটনাটি হচ্ছে, একবার এই পথ ধরেই যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে এক গাছতলায় দেখতে পেলামÑতিন যুবক পরস্পরে আলাপচারিতায় লিপ্ত। আমাকে বিনা সালামে অতিক্রম করতে দেখে তাদের একজন রসিকতা করে বললেন, ‘হুজুররা শুধু সালাম নিতেই জানে, দিতে জানে না।’ তার কথা শুনে আমি থমকে দাঁড়ালাম, বললামÑ‘ভাই! কিছু মনে করবেন না, আমি ধারণা করেছিলাম, আপনারা হিন্দু। তাই সালাম দেইনি।’

এরূপ অযাচিত উত্তর শোনে তাদের একজন উত্তেজিত হয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি করতে লাগলেন। তাকে থামিয়ে দিয়ে অন্যজন জানতে চাইলেন, ‘হিন্দু মনে করার কী কারণ?’ আমি বললাম, ‘ভাই! আপনাদের মুখে দাড়ী নেই। গায়ে সুন্নতী লেবাস নেই। উপরন্তু আপনারা এমন এলাকায় অবস্থান করছেন – যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। সেজন্য আমার ধারণার স্বাভাবিক বিচ্যুতি ঘটেছে।’ এরপর আমি সেখান থেকে প্রস্থান করলাম।

বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করার পর সম্মিলিত স্বরের একটা পিছুডাক শুনতে পাই। পেছনে ফিরে দেখি, হন্তদন্ত হয়ে ওই তিনজন আমার দিকে ছুটে আসছেন। প্রথমে আমি ঘাবড়ে যাই। কিন্তু পরে দেখি, ভিন্ন অবস্থা। কাছে এসে একজন বললেন, ‘হুজুর! আমাদের ত্রুটি বুঝতে পেরেছি। অসদাচরণের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে চলবো। আমাদের জন্য দু‘আ করবেন।’

তখন আমি তাদেরকে সংক্ষেপে সুন্নতের ওপর আমল করার ফজীলত বর্ণনা করলাম এবং বিভিন্ন হাদীস দ্বারা দাড়ী রাখা যে ওয়াজিব – সে কথা তুলে ধরলাম। কাকতালীয়ভাবে সেই মুহূর্তে আমার ব্যাগে ‘ইসলামে দাড়ী রাখার গুরুত্ব’ প্রবন্ধ সম্বলিত আদর্শ নারীর একটা পুরাতন সংখ্যা ছিলো। আমি সেটা তাদেরকে উপহার দিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ, এতে কাজ হয়েছে বুঝতে পারলাম। মুখভর্তি দাড়ী নিয়ে ইসলামী লেবাস পরে আমার সাথে মুসাফাহাকারী লোকটি তাদেরই একজন। তিনি আদর্শ নারী পড়ে তাদের হিদায়াত লাভের কথা জানালেন। আমি তাদের হিদায়াতে মহান আল্লাহর শোকর আদায় করলাম।

 

 

 চব্বিশ ঘণ্টার হিদায়াতী রত্ন

 

– আলী আকবর রেজা

চারিয়া, চট্টগ্রাম

 

আমার সঠিকভাবে জীবন পরিচালনার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে প্রাণপ্রিয় মাসিক আদর্শ নারী। এ পত্রিকাটি আমার জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকারী হলেন একজন সন্তানের জন্য তার পিতা-মাতা। এই শিক্ষা দিয়ে মাসিক আদর্শ নারী আমার মনের জানালা খুলে দিয়েছে। তখন থেকে নিজ শ্রদ্ধেয় পিতার সঙ্গে সরাসরি চিটাগাংয়ের ভাষায় ‘অনে’ করে আচরণ করে থাকি।

মাসিক আদর্শ নারীর দীক্ষা পেয়েই গরীব-দুঃখীদের সমবেদনা করতে শিখেছি, হারাম-হালাল, বিভিন্ন ধরনের মাসায়িল ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বলতে গেলে আমার চব্বিশ ঘণ্টার জিন্দেগীর মধ্যে প্রাণপ্রিয় এই পত্রিকাটির ভূমিকা অপরিসীম – যা বলে শেষ করা যাবে না।

 

 

হিদায়াতের কাণ্ডারী মাসিক আদর্শ নারী

 

– মাহবুবা আখতার সানিয়া

রায়ের বাজার, ঢাকা

 

বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির এ ভরা যৌবনে নানা অপসংস্কৃতি বিশেষত পাশ্চাত্য মিডিয়ার দাপটে মানুষ যখন গোমরাহীর পথে  ধাবমান, ঠিক এমন কণ্টকাকীর্ণ মূহূর্তে মাসিক আদর্শ নারী বিশ্বময় বাংলাভাষীদের সম্মুখে অত্যন্ত নিরলসভাবে হিদায়াতের ঝান্ডা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে পথ খুঁজে পাচ্ছে পথহারা মানুষ। এমন নজির বহু আছে, যারা আদর্শ নারীর ওসীলায় ভুল পথ ছেড়ে সুপথে এসেছে।

আমার বন্ধুর আপন বোন শিরীন আখতার। সে এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত শুধু সংসারের বদনামই কুড়িয়েছে। পরিশেষে আমি এককপি আদর্শ নারী তার হাতে দিলাম। তা পড়ে সে সেই অনুযায়ী জীবন গড়েছে। এখন সবার মুখে তার সুনাম।

অপর এক বন্ধুর চাচাতো বোন ঢাবি শিক্ষার্থী। তাকে হিদায়াত করার জন্য মাসিক আদর্শ নারী দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এর বদৌলতে সে সঠিক পথ চিনতে পেরেছে। এখন ফোন করে প্রায়ই কৃতজ্ঞতা জানায়। মাসিক আদর্শ নারীর মাধ্যমে হিদায়াত লাভের এরকম আরো অসংখ্য নজির রয়েছেÑযা বলে শেষ করা যাবে না।

 

 

আদর্শ নারীতে অপূর্ব হিদায়াত

 

– জুবাইদা জাহান জোৎস্না

ধানমন্ডি, ঢাকা

 

আমার এক প্রতিবেশী মেয়ে। সে বয়সে ছোট হলেও কথায় বড় থাকত। সে তার মা-বাবার সাথে অনেক দুর্ব্যবহার করত। একদিন তার মা দুঃখিত মনে আমার কাছে এসে পরামর্শ চেয়ে বললেন,  তুমি যদি দয়া করে আমার মেয়েটাকে বুঝাতে পার, তাহলে আমার ঘরে শান্তি আসবে।

তখন আমি ওই মেয়েকে ডাকলাম। সে আসার পরে আমি তাকে অনেক নসীহত করলাম। এমন করে ২-৩ দিন তাকে বুঝালাম। এরপর তাকে একটি আদর্শ নারী দিলাম।

সেই আদর্শ নারীতে পিতা-মাতার হক সম্পর্কে লেখা ছিল। সে ওই আদর্শ নারী পড়ল এবং মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করতে লাগল।

সপ্তাহ খানিক পর একদিন তার মা আমাদের বাসায় উপস্থিত হলেন এবং আমার অনেক প্রশংসা করতে লাগলেন। আমি তাকে এর পিছনে মাসিক আদর্শ নারীর কৃতিত্বের কথা বললাম। তখন তিনি খুশী হয়ে বললেন, প্রত্যেক মাসেই যেন আমি তাকে একটি করে মাসিক আদর্শ নারী দিই।

তারপর মেয়েটি আমাকে বললো, আসলেই মাসিক আদর্শ নারী একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা। এটা হিদায়াতের পথ দেখায়। এটাই আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছে। তার মুখে এ কথা শুনে আমি খুশীতে বাগবাগ হয়ে গেলাম।

 

 

মাসিক আদর্শ নারীর পরশে

 

 – মাওলানা এস. এম. আবদুল্লাহ

বাগেরহাট

 

মাসিক আদর্শ নারী মুসলমানদের জন্য এক অপূর্ব নিয়ামত। শরীয়ত, মারেফত, আধ্যাত্মিকতা ও দ্বীন-দুনিয়ার একটি সুন্দরতম কল্যাণময় পথ প্রদর্শনে মাসিক আদর্শ নারী কাজ করে যাচ্ছে।

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার ভট্টো খামার গ্রামের মুন্সী আব্দুল মান্নান সরদারের স্ত্রী সালেহা বেগমকে আমি জানি, তিনি কয়েক বছর ধরে মাসিক আদর্শ নারী নিয়মিত পড়ে আসছেন। তিনি আদর্শ নারী পড়ে দ্বীনী মাসায়িল ও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রচুর জ্ঞানের অধিকারীণী হয়েছেন।

আমি অনেক সময় ভেবে অস্থির হয়ে পড়ি যে, শরীয়তের অনেক বিষয়ে সঠিক শরয়ী মাসআলার ক্ষেত্রে আমার মতো আলেমদের তিনি রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি এতকিছু কিভাবে জানলেন? তিনি উত্তর দিলেন, মাসিক আদর্শ নারী পড়ে আমি এসব শিখেছি।

মহিলাটি মাসিক আদর্শ নারী পড়ে খুবই দ্বীনদার ও তাহাজ্জুদগুজার হয়েছেন। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই আল্লাহপ্রিয় মহিলার ছেলে তার নিকট একটি জিনিস চাইলে তিনি সরাসরি বললেন – তোমার আব্বার অনুমতি না হলে দিতে পারবো না। তার অনুমতি ছাড়া দিলে পাপ হবে। আমি প্রশ্ন করে জানতে পারলাম, তিনি আদর্শ নারী পড়ে এইসব আমল করেন।

আমি এই আদর্শ নারীর যে জনপ্রিয়তার জোয়ার দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হয়, বাংলার প্রতিটি মুসলিম পরিবারের ঘরে ঘরে বইটি পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। এই বইটিতে রয়েছে কুরআন, হাদীস ও ইসলামী জ্ঞানের যাবতীয় বিষয়ের আলোচনাসহ আন্তর্জাতিক সকল পর্যায়ের খবর। যেকোনো মানুষ হিদায়াতপ্রাপ্ত হতে পারে এই বইটি পড়ে। আমার জীবনও এর মাধ্যমে অনেক পরিবর্তন করেছি – আলহামদুলিল্লাহ।

Related posts

One Thought to “পাঠক-পাঠিকা ফিচার ::::: এপ্রিল – ১২

  1. মুহসিনুদ্দীন আশিক ঝিনাইদহ

    রিপ্লাইয়ের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার আদর্শ ব্লগের মানসম্মত লেখা আদর্শ নারীতে প্রকাশ হওয়ার আশা কি পূরণ হবে?
    আদর্শ নারীতে আদর্শ ব্লগ নামে নতুন বিভাগ খোলা যেতে পারে, যেখানে ব্লগের লিখা প্রকাশ করা যায়।
    কথা গুলো বললাম আদর্শ নারীকে ভালোবাসি বলে।

Leave a Comment