‘স্যার,আপনি কি আমাকে আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য শেখাতে পারবেন?’

ছেলের জন্য বাবা-মা একজন গৃহশিক্ষক রাখলেন। পড়াশুনা শুরুর আগে ছেলেটি তার শিক্ষককে পরীক্ষা করে দেখতে চাইলো।

‘স্যার,আপনি কি আমাকে আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য শেখাতে পারবেন?’

শিক্ষক উত্তর দিল, ‘না, আমি হয়তো তা পারবো না।’

‘তাহলে অন্তত জীবনের অর্থটা শেখাতে পারবেন?’

‘আমি হয়তো তাও পারবো না’

‘আমার বাবা একজন ধনী ব্যক্তি।তাই এত বেশি পড়াশোনা করি না,ভবিষ্যতে আমি সুখে থাকবো না দুঃখে বলতে পারবেন ?’

‘আমি এটাও বলতে পারবো না।’

ছেলেটি বুঝতে পারলো যে তার শিক্ষক তেমন কিছুই জানে না।তাই সে তাকে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলো।

এবার শিক্ষক তাকে জিজ্ঞেস করলো,’তুমি কি খেতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসো?’

ছেলেটি বললো,’স্যার,পুডিং’

‘আমি তোমাকে যদি পুডিং খেতে না দিয়ে,পুডিং খেতে কেমন তা বর্ননা করে শোনাই তবে কোনটা তোমার বেশি ভাল লাগবে? নিজে খেয়ে দেখা নাকি আমার পুডিং এর বর্ননা?’

‘স্যার,নিজে পুডিং খেয়ে দেখা’

শিক্ষক এবার বললো, ‘জীবনের অর্থ আর উদ্দেশ্য বোঝার জন্যও ঠিক তেমনি ভাবে জীবনের স্বাদ নেয়াটাই একমাত্র উপায়।’

আমাদের মনে হয়তো এমন অনেক প্রশ্নই আছে যেগুলোর উত্তর আমাদের জানা নেই। সেগুলো নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ততক্ষন পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব নয় যতক্ষন না আমরা জীবনের সেই মোড়ে পৌছে যাচ্ছি।এখন প্রশ্ন গুলো নিজের মধ্যেই রেখে জীবনে এগিয়ে যান। হয়তো সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আপনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর নিজে নিজেই পেয়ে যাবেন।

Related posts

Leave a Comment