মাসায়িল শিখি ::::: এপ্রিল – ’১২

 

হিজাব বা পর্দার বিধান

 মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী

 

 

হিজাবের আভিধানিক অর্থ

হিজাব  ()   শব্দটি    হাজব  () মূলধাতু থেকে নির্গত। আল-মু‘জামুল ওয়াসীত গ্রন্থে এর আভিধানিক অর্থ বলা হয়েছে ,  অর্থ : পর্দা।

(আল মু‘জামুল ওয়াসীত, ১ম খ-, ১৫৬ পৃষ্ঠা)

হিজাবের পারিভাষিক সংজ্ঞা

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে নারী-পুরুষ উভয়েরই তাদের নিজ নিজ রূপ-লাবণ্য ও সৌন্দর্যকে একে অপর থেকে আড়ালে রাখার জন্য ইসলামে যে বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তাকে হিজাব বা পর্দা বলা হয়।

(আল মু‘জামুল ওয়াসীত, ১ম খ-, ১৫৬ পৃষ্ঠা)

ইসলামে পর্দার হুকুম

পর্দা ব্যবস্থার প্রথমত দু’টি প্রকার রয়েছে। নিম্নে প্রকারদ্বয় ও তার হুকুম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. ঘরোয়া জীবনে পর্দা

পর্দার হুকুমের প্রথম পর্যায় হচ্ছে ঘরোয়া জীবনের পর্দা। অর্থাৎ ঘরের অভ্যন্তরে পালনীয় ও অনুসরণীয় পর্দার বিধি-বিধান। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন, “তোমরা  তোমাদের ঘরের মধ্যে অবস্থান কর এবং পূর্বকালীন জাহেলিয়াতের মতো তোমরা ঘুরে বেড়াবে না।” (সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৩৩)

অনুমতি না নিয়ে অপর কারো ঘরে প্রবেশ না করাও ঘরের পর্দা বিধানের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কালামে হাকীমে ইরশাদ ফরমান, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের ঘর ছাড়া অপর কারো ঘরে প্রবেশ করো না – যতক্ষণ না গৃহবাসীর অনুমতি পাবে এবং সালাম বিনিময় করবে। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।” (সূরাহ নূর, আয়াত : ২৭)

২. ঘরের বাইরে পর্দা

পর্দার দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে, ঘরের বাইরে গেলে বয়স্ক নারী-পুরুষকে যে পর্দাব্যবস্থা মেনে চলতে হয় তা অবলম্বন করা। নিম্নে এতদসংক্রান্ত বিধান আলোচনা করা হলো :

(ক) নির্লজ্জভাবে না চলা : নারীকে প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হতে পারে। তখন হায়া-পর্দা বজায় রাখতে হবে। ইসলাম তাদেরকে জাহেলিয়া যুগের নারীদের মতো নির্লজ্জভাবে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছে। (দ্রষ্টব্য : সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৩৩)

(খ) সৌন্দর্য প্রকাশ না করা : সূরাহ নূরে মহিলাদেরকে তাদের রূপ-লাবণ্য ও যৌন-দেহাঙ্গ এবং তাদের অলঙ্কারের সাজ-সজ্জাকে প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “তারা যেন তাদের যৌন অঙ্গের হিফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।” (সূরাহ নূর, আয়াত : ৩১)

(গ) চেহারা, বক্ষ ও মাথাসহ সারা দেহ ঢেকে রাখা : নারীদের চেহারা, বক্ষ, চুল ও দেহসৌষ্ঠব দর্শনে পুরুষমাত্রই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এতে তাদের মধ্যে কুচিন্তার উদ্রেক হওয়া স্বাভাবিক। তাই সূরাহ নূরে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন : “এবং তারা যেন তাদের দেহ যিলবাব (হিজাব-বোরকা) দ্বারা আচ্ছাদিত করে।” (সূরাহ নূর, আয়াত : ৩১)

৩. দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ ও লজ্জাস্থানের হিফাজত করা : চোখের দৃষ্টি হচ্ছে এমন একটি শাণিত তীর, যা নারীর বা পুরুষের অন্তর ভেদ করে তাদেরকে অনেক নাজায়িয কর্মে নিয়ে যেতে পারে। অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা ও অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করার মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে এটি। তাই আল্লাহ তা‘আলা নারী-পুরুষ উভয়কেই চোখের দৃষ্টি হিফাজতের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন : “হে নবী! মুমিন পুরুষগণকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছুই করে, আল্লাহ তা জানেন এবং মুমিন নারীগণকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং নিজেদের যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।” (সূরাহ নূর, আয়াত : ৩০-৩১)

পর্দা সংক্রান্ত অন্যান্য বিধান

……………………………………………..

মাহরামের সাথে দেখা দেয়া জায়িয

সহীহ বুখারীতে বর্ণিত আছে, একবার হযরত আয়িশা (রা.) তার দুধচাচাকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমার দুধচাচাকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দানে তোমার আপত্তি কোথায়? হযরত আয়িশা (রা.) জবাবে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! পুরুষটি তো আমাকে দুধপান করাননি, দুধপান করিয়েছেন তার ভাই আবু কুয়াইসের স্ত্রী। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, (সতর্কতার জন্য) আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন, এতে তিনি তোমার দুধচাচা হয়ে গিয়েছেন। সুতরাং তোমার চাচাকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দাও।

(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫১০৩)

সতর্কতার স্থানে পর্দা করতে হবে

সহীহ বুখারীতে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা (রা.) বলেন, হযরত সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-এর ভাই হযরত উতবা (রা.) সা‘দ (রা.)কে বললেন, জাম‘আর দাসীর গর্ভে যে সন্তানটি আছে, তা আমার সন্তান। কাজেই সে সন্তানের চাচা হিসেবে আপনি তাকে নিয়ে নেবেন। সেই হিসেবে উতবার মৃত্যুর পর সন্তানটি হযরত সা‘দ (রা.) নিয়ে নিলেন। তখন জাম‘আর ছেলে দাবী করেন যে, সে আমার ভাই। কেননা, সে আমার পিতার দাসীর ঔরসজাত। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) ফয়সালা দিলেন, ছেলে তার হবে, ছেলের মা যার দাসী ছিল। তখন জাম‘আর ছেলে আবদের কাছে তাকে ফেরত দেয়া হয়। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত সাওদা (রা.)কে (তিনি যাম‘আর মেয়ে ছিলেন) বললেন, “হে সাওদা! (আপন ভাই ফয়সালা হওয়া সত্ত্বেও) তুমি তার থেকে পর্দা করবে।”

ছেলেটিকে জাম‘আর সন্তান বলে ফয়সালা করার পরও যেহেতু তার সাথে উতবার ঔরশের সম্ভাবনা ছিল, তাই তিনি সতর্কতার জন্য সাওদা (রা.)কে তার সাথে দেখা দিতে নিষেধ করেছিলেন। আর এ নির্দেশ তিনি যথাযথ পালন করেন।্ এ ব্যাপারে হযরত আয়িশা (রা.) সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, তিনি (হযরত সাওদা রা.) মৃত্যু পর্যন্ত তাকে (ছেলেটিকে) দেখা দেননি।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৫৪)

পর্দার জন্য ঘরে অবস্থান করা কর্তব্য

সহীহ মুসলিম শরীফে রয়েছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের গোত্রের এক সদ্য বিবাহিত যুবক আমাদের সাথে খন্দকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিদিন দুপুরে তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুমতি নিয়ে স্ত্রীর কাছে যেতেন। একদিন অনুমতি চাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, “তোমার অস্ত্র সাথে নিয়ে যাও। বনু কুরাইযার লোকেরা তোমাকে আক্রমণ করতে পারে। যুবকটি অস্ত্র নিয়ে বাড়ী গিয়ে দেখতে পেলেন, তার স্ত্রী ঘরের বাইরে দরজার সামনে দাঁড়ানো। স্ত্রীকে এভাবে পর্দা লঙ্ঘন করতে দেখে তিনি তাকে আঘাত করতে উদ্যত হলেন। স্ত্রী বললেন, থামুন! আগে দেখুনÑআমি কেন ঘর থেকে বাইরে এসেছি। তখন তিনি ঘরে গিয়ে দেখলেন : একটি বিরাট সাপ তার বিছানায় কুন্ডলি পাকিয়ে বসে আছে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৩৬)

এতে বুঝা যাচ্ছে – পর্দার জন্য মহিলাদের ঘরে অবস্থান করতে হবে। বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়া তাদের জন্য উচিত নয়।

চোখকে বেগানা থেকে হিফাজত করতে হবে

সহীহ বুখারী শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : “চোখের যেনা হলো দৃষ্টিপাত করা।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৬১২)

তেমনি তাবরানী শরীফে রয়েছেÑহযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : “কুদৃষ্টি হলো ইবলিসের বিষাক্ত তীর।” (মু‘জামুল কাবীর, তাবরানী, হাদীস নং ১০৩৬২)

তেমনিভাবে আল মারগীনানী কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন : “যে ব্যক্তি কোনো গাইরে মাহরাম নারীর প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করবে, কিয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত শিশা ঢেলে দেয়া হবে।” (আল-মারগীনানী, ৪র্থ খ-, ৩৬৮ পৃষ্ঠা)

বেগানা মহিলাদের প্রতি পুরুষদের এবং বেগানা পুরুষদের প্রতি মহিলাদের দৃষ্টিপাত করা ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। সুতরাং কোনো পুরুষ বা মহিলার জন্য তার মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো দিকে দৃষ্টিপাত করা বৈধ নয়।

মেয়েদের জন্যও পুরুষদেরকে দেখা জায়িয নয়

সুনানে আবু দাউদ শরীফে রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, একবার আমি ও মাইমুনা (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ছিলাম। এমন সময় সেখানে আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) আসতে লাগলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বললেন, “তোমরা তার থেকে পর্দা কর। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি তো অন্ধ। তিনি আমাদেরকে দেখবেন না। জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখবে না?” (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১১২)

হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নিতে হবে

যদি বেগানার প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে হবে। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছেÑহযরত ইবনে বুরাইদা (রা.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলী (রা.)কে বলেন, হে আলী! হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টি পড়ে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নিবে এবং পুনঃ দৃষ্টি দিবে না। কারণ, তোমার জন্য অনিচ্ছাকৃত প্রথমটি মাফ, ইচ্ছাকৃত দ্বিতীয়টি নয়।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২১৪৯)

হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ আল বাজালী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে ইচ্ছা ছাড়া হঠাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে নির্দেশ দেন যে, “সাথে সাথে দৃষ্টি সরিয়ে নিবে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৫৯)

নির্জনে বেগানা নারী-পুরুষের একত্রিত হওয়া নিষেধ

সহীহ ইবনে হিব্বানে রয়েছে, হযরত সুলাইমান আত-তাইমী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আবু সালিহ (রা.) থেকে শুনেছি, আমর ইবনুল আস (রা.) একবার হযরত আলী (রা.)-এর বাড়ীতে এসে অনেক ডাকাডাকি করলেন। পরে জানতে পারলেন, হযরত আলী (রা.) বাড়ীতে নেই। তাই চলে গেলেন। দ্বিতীয়বার এসে তার সাক্ষাৎ পেলেন। তখন তার উপস্থিতিতে হযরত ফাতিমা (রা.)কে ডেকে এনে কতিপয় মাসআলা নিয়ে আলোচনা করলেন। হযরত আলী (রা.) বললেন, মনে হচ্ছেÑআপনি এখানে আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন নি, এসেছেন এ মহিলার (অর্থাৎ আমার স্ত্রীর) সাথে মাসআলা সংক্রান্ত কথাবার্তা বলতে। তাহলে তখন আমি নেই বলে ফিরে গেলেন কেন? তিনি তা স্বীকার করে বললেন, আপনি না থাকা অবস্থায় আমি এ জন্য ফিরে গিয়েছিলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরকম মহিলার কাছে যেতে নিষেধ করেছেন, যার স্বামী বাড়ীতে নেই। একথা শুনে হযরত আলী (রা.) বললেন, “হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরকম মহিলার কাছে যেতে নিষেধ করেছেন, যার স্বামী বাড়ীতে নেই।” (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৫৫৮৪)

সহীহ ইবনে হিব্বানে আরো রয়েছে – একবার এক ব্যক্তি হযরত উমর (রা.)-এর কাছে এসে বললেন : “আমার ভাই যুদ্ধে গেছেন। আমাকে তার পরিবার-পরিজনের খোঁজ-খবর নিতে বলেছেন। আমি কি তাদের নিকট যেতে পারব? একথা শুনে উমর (রা.) চাবুক দিয়ে সতর্ক করে বললেন, অবশ্যই আপনি ভেতরে যেতে পারবেন না। দরজায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করবেন, তাদের কোনো কিছু প্রয়োজন আছে কি না।”

(সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৫৫৮৫)

বেপর্দা ও বিধর্মী মহিলাদের থেকে মুসলিম মহিলাদের পর্দা করতে হবে

বেপর্দা ও অমুসলিম মহিলা থেকে মুসলিম মহিলাদের পর্দা করার জন্য ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে। এ সম্পর্কে মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক শরীফে রয়েছে – হযরত কাইস ইবনুল হারিস (রহ.) থেকে বর্ণিত, হযরত উমর (রা.) হযরত আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা.)কে লিখেছিলেন, “আমি শুনতে পেলামÑমুসলিম মহিলারা আহলে কিতাব মহিলাদের সাথে গোসলখানায় গিয়ে একত্রে গোসল করে। মুসলিম মহিলাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করবেন এবং তাদেরকে বিরত রাখবেন।”

(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস নং ১১৩৬)

ইসলামের এ পর্দা বিধান পালন করা ফরজ। তা লঙ্ঘন করা কবীরা গুনাহ ও হারাম। পর্দা পালন না করলে, পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

 

Uncategorized

Related posts

Leave a Comment