সরকার দুই জিম্মি বাংলাদেশির ‘খবর জানে না’

সরকার দুই জিম্মি বাংলাদেশির ‘খবর জানে না’

লিবিয়ার আল গানি তেলক্ষেত্র থেকে অপহরণের পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাতে জিম্মি দুই বাংলাদেশির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ‘কোনো ধারণা নেই’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় বেশিরভাগ জিম্মি অস্ট্রিয়া ও ফিলিপাইনের নাগরিক। ওই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

“এখনও পর্যন্ত আমরা জানি না দুই বাংলাদেশি কি অবস্থায় আছেন, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে। কোন জঙ্গিগোষ্ঠী এখনো এর দায় স্বীকার করেনি।”

আইএস জঙ্গিরা গত ৯ মার্চ লিবিয়ার সিরাত শহরের দক্ষিণে আল গানি তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে ১১ জন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করে।

নিরাপত্তা বাহিনী ওই তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর নয়জন কর্মীর অপহৃত হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের দুজন ছাড়াও চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন।

বাংলাদেশি দুজন হলেন- নোয়াখালীর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (পাসপোর্ট নম্বর এই৩৬৩০৭৫৪) ও জামালপুরের হেলাল উদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর বি০১৫৬৫৫৩)।

লিবিয়ার ত্রিপলীতে অবস্থারত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা করা হয়েছে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের ম্যাসেজ খুব লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আমরা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছি।”

পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে’ কী করতে হবে তাও তাদের জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

“সাত দিন চলতে পারে এমন শুকনো খাবার ও পানি তাদের মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। কোনো বাজে পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে।”

গত বছর ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে খিলাফত কায়েমের ঘোষণা দেয় আইএস, যার মধ্য দিয়ে নতুন করে বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা তৈরি হয়।

সিরিয়া ও ইরাকে এই জঙ্গি দলটির হাতে নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মিশর, জর্ডান ও তুরস্কের অর্ধশতাধিক নাগরিককে জিম্মি করার পর তাদের শিরোশ্ছেদ করে ইন্টারনেটে ভিডিও প্রকাশ করেছে এই সন্ত্রাসীরা।

Related posts

Leave a Comment