দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস জয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস জয়

এক সময়ে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় আড়াইশ’ পর্যন্তও যেতে পারেনি তারা। দুই বল বাকি থাকতে ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।

দুইবার বৃষ্টির বাধায় পড়া ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩২ রান।

পাকিস্তানের পেসারদের মারাত্মক বোলিংয়ে ভীষণ বিপদে পড়া প্রোটিয়াদের লড়াইয়েই রেখেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি, ৩৩ ওভার ৩ বলে ২০২ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের প্রথম জয়। আগের তিন বারই প্রোটিয়াদের কাছে হেরেছিল তারা। টানা তৃতীয় এই জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়েছে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারালে কোনো সমীকরণই কষতে হবে না সাবেক চ্যাম্পিয়নদের।

শনিবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি কককে হারায় তারা। মোহাম্মদ ইরফানের বলে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসবন্দি হয়ে যান এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান।

দ্বিতীয় উইকেটে হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসির ৬৭ রানের জুটিতে দ্রুত এগুতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু প্লেসিকে ফিরিয়ে ৯.১ ওভার স্থায়ী প্রতিরোধ ভাঙার কৃতিত্ব রাহাত আলির।

এক সময়ে ১ উইকেটে ৬৭ করা করা দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ রান যোগ করতে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।১০২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের দিকে। ডেল স্টেইন, কাইল অ্যাবটকে নিয়ে দলকে ৮ উইকেটে ২০০ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। জয়ের জন্য আর ৩২ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এমন সময় সোহেল খানের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে সরফরাজের গ্লাভসবন্দি হন ডি ভিলিয়ার্স। ৫৮ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।

পরের ওভারেই ওয়াহাব রিয়াজ ইমরান তাহিরকে সরফরাজের গ্লাভসবন্দি করলে অসাধারণ এক জয় পায় পাকিস্তান। দলে ফিরেই ৬টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করে ওয়ানডের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়েছেন ম্যাচ সেরা সরফরাজ।

Related posts

Leave a Comment